CIA Report Explained: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি আদৌ যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে? কী বলছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর নথি

Declassified CIA Report: CIA রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ২০% হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। কী সেই সব বিশেষ ক্ষেত্র, জানুন বিস্তারিত।

Declassified CIA Report: CIA রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ২০% হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। কী সেই সব বিশেষ ক্ষেত্র, জানুন বিস্তারিত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India-Pakistan War: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ।

India-Pakistan War: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। (ছবি- প্রতীকী)

CIA on India-Pak Tensions: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে CIA (Central Intelligence Agency) একটি অত্যন্ত গোপন National Intelligence Estimate (NIE) নথি তৈরি করেছে। সেই নথিতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই রিপোর্টটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জনসমক্ষে আনা হয়। বিস্ময়ের বিষয়, তিন দশক আগের সেই রিপোর্টের বহু ভবিষ্যদ্বাণী আজও প্রাসঙ্গিক।

Advertisment

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (War) সম্ভাবনা ৫-এর মধ্যে ১, অর্থাৎ ২০ শতাংশ। তবে রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও 'spectacular terror outrage' — অর্থাৎ নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা দ্রুত যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। ওই রিপোর্টে, কাশ্মীর উপত্যকার চরম উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান কীভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ওপর চাপ তৈরি করত, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- আপনার কাছের মানুষটির বিড়ি খাওয়া ছাড়াতে পারছেন না? এই ৫টি কাজ করুন, মিরাকেল ঘটবে!

CIA-র ওই রিপোর্ট অনুযায়ী

Advertisment

CIA-র ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরকে পাকিস্তানের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেও, ভারতীয় সেনার পক্ষে কাশ্মীরবাসীর বিদ্রোহ দমন করা খুবই কঠিন কাজ। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, যুদ্ধ বাধলে তা হয়তো পরমাণু সংঘাতে পরিণত হতে পারে, কারণ উভয় পক্ষের কাছেই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।

আরও পড়ুন- গরমে ঘাম, চুল পড়া বেড়েছে? ঘরোয়া এই টোটকাগুলোই হতে পারে আপনার রক্ষাকবচ!

রিপোর্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দুই উত্তেজনাপূর্ণ পর্ব— ১৯৮৭ সালের 'BRASSTACKS' মহড়া এবং ১৯৯০ সালের সীমান্তে সেনা মোতায়েন—- এর প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই দু'বার প্রায় যুদ্ধের মুখে পৌঁছে দিয়েছিল দুই দেশ।

আরও পড়ুন- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কী খাবেন? রোজ খেতে হবে এই ৫টি সুপারফুড!

রিপোর্টটি ১৯৯৩ সালে তৈরি হয়েছিল। সেখানে মূল সতর্কবার্তা হিসেবে বলা হয়েছে:-

  • ভারতীয় সেনা যদি মনে করে যে পাকিস্তান আবার কাশ্মীরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাহলে তারা সীমান্তে আগাম হামলা চালাতে পারে।
  • পাকিস্তানের পরিকল্পনায় রয়েছে প্রি-এম্পটিভ স্ট্রাইক, কারণ দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চালানোর মত কৌশলগত সামরিক ক্ষমতা তাদের নেই।
  • কোনও জঙ্গি হামলার জন্য ভারত বা পাকিস্তান একে অপরকে দায়ী করলে, তা বড়সড় যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।

আরও পড়ুন- 'আবদালি' উৎক্ষেপণ পাকিস্তানের, তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের! কেন এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এত মাথাব্যথা?

এই NIE রিপোর্ট আজও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক এখনও সেই অনিশ্চয়তার আবহেই ঘোরাফেরা করছে। কূটনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তার দিক থেকে রিপোর্টের অনেক তথ্য আজও প্রাসঙ্গিক বা বাস্তবতার কাছাকাছি।

CIA War pakistan India