Quit Bidi Smoking: আপনার প্রিয় মানুষটি বিড়ি খায়? এই অভ্যাস ছাড়াতে (treatment) সাহায্য করুন এই ৫টি সহজ ও বাস্তব উপায়ে। কারণ, ধূমপান শুধুই নিজের শরীরের ক্ষতি করে না, তার প্রভাব পড়ে চারপাশের পরিবেশ এবং প্রিয়জনদের ওপরও। বিড়ি খাওয়া সাধারণত নিম্নবিত্ত এবং গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি দেখা যায়, তবে এখন শহরেও এর প্রভাব বাড়ছে। আপনার কোনও নিকটাত্মীয় যদি এই অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে শুধু বকাঝকা করে বা ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। প্রয়োজন সহানুভূতি, ধৈর্য ও কার্যকর পরিকল্পনা।
১. সরাসরি নিষেধ না করে বোঝান
বিড়ি খাওয়া নেশার পাশাপাশি অনেক সময় মানসিক সাপোর্টের মাধ্যম হয়ে ওঠে। তাই সরাসরি "বিড়ি খেয়ো না" বললে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বরং তাঁর সাথে আলাপে বসুন, জিজ্ঞেস করুন কেন খায়, কোন সময় বেশি খায়। নিজের উদ্বেগ ও ভালোবাসার কথা বোঝান।
আরও পড়ুন- ৫ ফোড়নের জাদু! এক মিশ্রণে স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের যোগ, কী বলছে আয়ুর্বেদ?
২. ধীরে ধীরে বিকল্প দিন
একবারে পুরোপুরি ছাড়ার চেয়ে ধীরে ধীরে পরিমাণ কমিয়ে আনা বেশি কার্যকর। চুইংগাম, মিশ্রণযুক্ত লজেন্স, তুলসী পাতা বা দারুচিনি চিবানোর মতো বিকল্প দিন, যা মনোযোগ সরাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- নখকুনির সমস্যা কি প্রায়ই ভোগায়? এই ঘরোয়া উপায়ে পান আরাম, আর ছুটতে হবে না কোথাও
৩. স্বাস্থ্যঝুঁকির উদাহরণ দিন (ভয়ের নয়, বাস্তব তথ্য)
এখন ইউটিউবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ভিডিও আছে যেখানে বিড়ি বা সিগারেট খাওয়ার প্রকৃত স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরা হয়। এই ভিডিওগুলি একসঙ্গে দেখে নিলে তাঁর নিজের ভিতরে উদ্বেগ জন্মাবে এবং সচেতনতা বাড়বে।
আরও পড়ুন- ঘরে মাকড়শার উৎপাত? এই ৫টি সহজ উপায়ে দূর করুন চিরতরে!
৪. সাপোর্ট সিস্টেম গড়ুন
নিকট আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ছোট্ট একটা সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করুন, যাঁরা তাঁর পাশে থাকবে এই যাত্রায়। উৎসাহ ও প্রশংসা নিয়মিত দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন- আরশোলার উপদ্রবে টিকতে পারছেন না? ঘরোয়া টোটকায় সহজেই বিদায় দিন তেলাপোকাকে
৫. পেশাদার সাহায্য নেওয়ার উৎসাহ দিন
যদি এই অভ্যাস ছাড়ানো একান্তই কঠিন হয়ে পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মনোচিকিৎসক বা কাউন্সেলরের সাহায্য অনেক ক্ষেত্রেই দ্রুত ফল দেয়।
বিড়ি খাওয়ার মত অভ্যাস রাতারাতি বদলায় না। এটি সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। ভালোবাসা, ধৈর্য ও সঠিক পথ দেখানোর মাধ্যমে আপনি আপনার নিকটাত্মীয়কে ধীরে ধীরে এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে মুক্ত করতে পারবেন।