/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/1xRbcJkYq418dygDJTDV.jpg)
প্রতীকী ছবি।
US Fed rate cut 2025: মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট (bps) কমিয়েছে। বর্তমানে সুদের হার দাঁড়াল ৪% থেকে ৪.২৫% রেঞ্জে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, অক্টোবর ও ডিসেম্বরে সুদের হারে আরও কাটছাঁট হতে পারে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার দুর্বল হচ্ছে।
আগস্ট মাসে মার্কিন অর্থনীতিতে মাত্র ২২,০০০ চাকরি যুক্ত হয়েছে, যা জুলাইয়ের তুলনায় অনেক কম। বেকারত্ব বেড়ে হয়েছে ৪.৩%, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ, মার্কিন অর্থনীতি শ্লথ হয়ে আসছে এবং বৃদ্ধিকে টিকিয়ে রাখতে সুদের হার কমানো ছাড়া ফেডের হাতে বিকল্প ছিল না।
আরও পড়ুন- এই পুজোয় খুশি হন শ্রীকৃষ্ণ, রক্ষা করেন ভক্তকে, কবে গোবর্ধন পূজা?
ফেডের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় বাজার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সেনসেক্স প্রায় ৪৫০ পয়েন্ট বেড়েছে এবং NIFTY50 ২৫,৪৪৮ পয়েন্টের ইন্ট্রাডে হাই ছুঁয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যখন মার্কিন সুদের হার কমে, তখন মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের রিটার্নও কমে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা হাই রিটার্নের খোঁজে ভারতের মতো উদীয়মান বাজারের দিকে ঝোঁকেন। বর্তমানে ভারতীয় ইক্যুইটি আকর্ষণীয় মূল্যায়নে আছে, তাই বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FII) এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- বাঁশের এই ৮টি আশ্চর্যজনক তথ্য জানতেন? শুনলে চমকে যান অনেকেই
টাকার অবস্থান
সুদের হার কমার ফলে মার্কিন ডলার সাধারণত দুর্বল হয়। এর প্রভাবে ভারতীয় টাকা শক্তিশালী হতে পারে। শক্তিশালী টাকার সুবিধা পাবে আমদানি-নির্ভর খাত যেমন— তেল বিপণন সংস্থা, এয়ারলাইনস এবং ভোক্তা পণ্য আমদানিকারকরা।
আরও পড়ুন- পুজোর উপহার! পাশে গুগল, ইচ্ছেমতো বানান ছবি
তবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে IT ও ফার্মা কোম্পানি, কারণ তারা মার্কিন ডলার আয় করে থাকে। ফেডারেল ব্যাংক সুদের হার কমানো মানে বিশ্ববাজারে প্রভাব পড়বে। ভারতীয় কোম্পানিগুলি যাদের বিদেশি মুদ্রায় ঋণ আছে, তারা খরচ কমাতে পারবে। এতে কর্পোরেট ব্যালেন্স শিট আরও মজবুত হবে।
আরও পড়ুন- পুজোয় ঘুরতে যাবেন? এই ৬ জায়গায় না ঘুরলে আপনার বেড়ানোটাই বৃথা!
সোনা ও তেলের দামে পরিবর্তনের সম্ভাবনা
কারণ, সুদ কমালে বাজারে অর্থ বাড়ে। তখন বিনিয়োগকারীরা অ্যাসেট হিসেবে সোনা কেনে এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা বাড়ে। ফলে সোনার দাম বাড়তে পারে। একইভাবে তেলের চাহিদা বাড়লে এর দামও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ভারতীয় বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us