India Strikes Explained: ধুন্ধুমার অপারেশনে ছারখার পাকিস্তান, ২০২৫-এর ৩টি বড় বার্তা ইসলামাবাদে পাঠাল নয়াদিল্লি

Operation Sindoor 2025 Explained: ভারতের ইতিহাস ২০২৫ সালের ৭ই মে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ভোর রাতে চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor 2025) ছিল একটি সুপরিকল্পিত এবং লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ও পাকিস্তানের (india pakistan) অভ্যন্তরে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এই অপারেশন (Air Strike) কেবল পাহেলগামের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধই নয়, বরং গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটে যাওয়া একের পর এক সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত বার্তাও।

১. দীর্ঘমেয়াদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একক বার্তা

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এই অভিযানের উদ্দেশ্য কেবল পাহেলগাম নয়। ২০০১ সালে সংসদ হামলা থেকে শুরু করে ২৬/১১ মুম্বাই হামলা পর্যন্ত, এবং এর পরবর্তী সব জঙ্গি কার্যকলাপ—সব কিছুরই জবাব হিসেবে এই পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতার ধারাবাহিকতা তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন- অপারেশন Sindoor জাগিয়ে তুলেছে বালাকোটের স্মৃতি! জানেন কী ঘটেছিল ২০১৯-এর সেই এয়ার স্ট্রাইকে?

২. জঙ্গি গোষ্ঠীর পরিকাঠামোয় সরাসরি আঘাত

অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM), লস্কর-ই-তইবা (LeT) ও হিজবুল মুজাহিদিন (HM)-এর মতো সংগঠনের মূল ঘাঁটি যেমন বাওয়ালপুরের ‘মারকাজ সুভান আল্লাহ’, মুরিদকির ‘মারকাজ তাইবা’ এবং সিয়ালকোটের ‘মেহমুনা জোয়া’ লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসী পরিকাঠামো ধ্বংস করা এখন সরাসরি জাতীয় নীতি।

আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি আদৌ যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে? কী বলছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর নথি

৩. যুদ্ধ নয়, লক্ষ্য প্রতিক্রিয়া

ভারতের সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও ঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। এটি যুদ্ধের আহ্বান নয়, বরং একটি লক্ষ্যভিত্তিক, পরিমিত ও সংযত প্রতিক্রিয়া। যদিও, হামলার গভীরতা এবং পরিধি স্পষ্টভাবে বোঝাচ্ছে যে ভারত এখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় কাজ করছে।

আরও পড়ুন- 'আবদালি' উৎক্ষেপণ পাকিস্তানের, তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের! কেন এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এত মাথাব্যথা?

এখন কী হতে পারে?

আরও পড়ুন- 'জিহাদি জেনারেল' আসিম মুনির! পাক সেনাপ্রধানের 'কাশ্মীর জিহাদ'-এর কাহিনি শুনলে শিউড়ে উঠবেন

এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের প্রতিরোধ ক্ষমতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে যদি পাকিস্তান পালটা প্রতিক্রিয়া দেয়, তবে ভারতের জবাবী পদক্ষেপ আরও তীব্র হতে পারে— এমন বার্তাই দিয়ে রেখেছে দিল্লি। আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যে ভারতের অবস্থানকে নজরে রাখছে, এবং অনেকেই এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের ‘নতুন নিয়ম’ হিসেবে দেখছেন।