Pakistan's Hafiz General: পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনির, সেদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি শুধু সামরিক বাহিনীর প্রধান নন, বরং একটি ধর্মীয় আদর্শের ধারক। 'হাফিজ-ই-কোরআন' খেতাব পাওয়া এই জেনারেল তাঁর বক্তব্যে নিয়মিত কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেন, আর তাঁর বক্তৃতায় ‘জিহাদ’ শব্দটি সাধারণভাবেই ঘুরেফিরে আসে।
হামলার আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে ভারতীয় নাগরিকদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই ইসলামাবাদে তিনি ঘোষণা করেছেন, “কাশ্মীর পাকিস্তানের জাগুলার ভেইন (জীবনীশক্তি)।” এই বক্তব্য ভারতীয় গোয়েন্দা মহল তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখছে, কারণ তা পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের উৎসাহ দেওয়ারই নামান্তর।
আরও পড়ুন- দ্রুত চুল পড়ে যাচ্ছে? টাক পড়া ঠেকাতে অব্যর্থ এই ঘরোয়া কৌশলগুলি জেনে নিন!
প্রথম জীবন
আসিম মুনিরের (Asim Munir) জীবন শুরু হয়েছিল রাওয়ালপিণ্ডিতে, তাঁর বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম। মাদ্রাসায় পড়াশোনার পর তিনি অফিসার্স ট্রেনিং স্কুল, মাঙ্গলা থেকে অফিসারের দায়িত্ব পান। যা পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির প্রায় সমতুল্য। তিনি জেনারেল জিয়া উল হকের ইসলামিক সেনা সংস্কারের শেষ ফল। সেই সেনা সংস্কার ধর্মনির্ভর সেনাবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল।
আরও পড়ুন- মোজা পরলেই পায়ের গন্ধ? মাত্র কয়েক দিনে মিলবে মুক্তি এই উপায়ে!
২০১৮ সালে মুনির ISI প্রধান নিযুক্ত হন এবং পুলওয়ামা হামলার (Pulwama Attack) সময় দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু, মাত্র আট মাসের মাথায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে তাঁকে ISI প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইমরানপত্নী বুশরা বিবির দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে চাওয়াতেই মূলত এই শাস্তি বলে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- আরশোলার উপদ্রবে টিকতে পারছেন না? ঘরোয়া টোটকায় সহজেই বিদায় দিন তেলাপোকাকে
বর্তমান পরিস্থিতি
২০২২ সালে তিনি সেনাপ্রধান হন। বর্তমানে ইমরান খান কারাবন্দি ও মুনিরকে সেই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করা হয়। তবে বর্তমানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বালুচিস্তানের বিদ্রোহ, তেহরিক-ই-তালিবানের হামলা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ— সব মিলিয়ে মুনির এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন- ঘরে মাকড়শার উৎপাত? এই ৫টি সহজ উপায়ে দূর করুন চিরতরে!
মুনির সম্প্রতি বলেন, “আমরা হিন্দু আর মুসলমান—দুটি আলাদা জাতি।” এই বক্তব্যে ভারত-পাকিস্তান বিভেদের ঐতিহাসিক ভিত্তিকেই যেন নতুন করে সামনে এনেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলতে গেলে, আসিম মুনির শুধু একজন সেনাপ্রধান নন, বরং পাকিস্তানের এক নতুন রাজনৈতিক ধর্মীয় সামরিক আদর্শের বাহক শাসক। ভারতবিরোধী জিহাদ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন এবং ধর্মীয় উগ্রতা— এই তিন দিকেই তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত। এমনটাই মনে করেন ভারতীয় সেনাকর্তারা।