/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/gaza-trump-2025-10-09-17-54-09.jpg)
Gaza-Trump: এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তা হবে ট্রাম্পের কাছে এক বিরাট সাফল্য।
Israel Hamas Ceasefire: ইজরায়েল ও হামাস প্রথম ধাপের শান্তি পরিকল্পনায় একমত হয়েছে, যা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হতে পারে।
যুদ্ধ ও সংঘাতের প্রেক্ষাপট
এই যুদ্ধ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর থেকে ইজরায়েলের প্রতিক্রিয়া এবং গাজায় বিমানবাহিনী ও স্থল অভিযান মারাত্মক লড়াইয়ের জন্ম দেয়। গাজায় ব্যাপক ধ্বংস ও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে— নিহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। হামাস বহু বছর ধরে ইজরায়েলের সঙ্গে শত্রুতা চালাচ্ছে এবং গাজা অঞ্চলে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি রয়েছে। দীর্ঘ সংঘর্ষ ও মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতির জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন- সতীপীঠ, ভক্তদের ভরসাস্থল 'মেলাইচণ্ডী মায়ের মন্দির'!
চুক্তির প্রথম ধাপে ঠিক হয়েছে- দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা বন্ধ করা হবে। গাজায় বন্দি থাকা ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইজরায়েলে থাকা হামাস বন্দিরাও মুক্তি পাবে। ইজরায়েল গাজা থেকে সামরিক বাহিনী কিছু অংশ সরিয়ে নেবে এবং নির্ধারিত সীমায় ফিরে যাবে। ট্রম্প তাঁর Truth Social প্ল্যাটফর্মে এবিষয়ে জানিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণাকে বিশ্ব নেতারাও স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বাড়িতে এই ৭ প্রাণীকে পুষতে গেলেই মিলবে কঠোর সাজা, হতে পারেন গ্রেফতার!
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শান্তির চুক্তিকে তাঁর 'ডিল মেকার' ও 'পিসমেকার' পরিচিতির সোনালি বলয় হিসেবে দেখছেন। যদি চুক্তির অগ্রগতি হয়, তবে এটি হতে পারে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ট্রাম্পের অভিলাষ — নোবেল শান্তি পুরস্কার — অর্জনের পথও খুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- সকালে হলুদ, আমলকি ভেজানো জল খান, মিলবে ৫টি আশ্চর্য উপকার!
যদিও এই চুক্তির ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন, হামাস কি অস্ত্রত্যাগে রাজি হবে? গাজা কে শাসন করবে? যতবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চুক্তি হয়েছে, সববারই দ্রুত ভেঙে গেছে। ইজরায়েলের নেতারা এই চুক্তি করলে দেশের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। চুক্তির বাস্তবায়ন সফল হবে কি না, সেটি আগামী দিনগুলির রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন- জলখাবারের জন্য সহজেই বানান সয়াবিন কাটলেট, স্বাদে খাসা, মন কাড়বেই!
চুক্তি যদি সফল হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি জন্ম নেবে। অনেক দেশের কাছে এই শান্তিচুক্তি একটি বার্তা। যে বার্তা বোঝায় যে, দীর্ঘ লাগামহীন সংঘাতের পথ ছেড়ে শান্তিপথে ফেরা যায়। তবে গাজার পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও আশ্রয়হীনদের বাসস্থান গড়ে দেওয়াও প্রশাসনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
আপাতত মনে করা হচ্ছে, শান্তিচুক্তির এই প্রথম ধাপ সফলভাবে চালু হলে, পরবর্তী ধাপ হবে চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনা, যেখানে হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে হবে এবং গাজার স্থায়ী শাসন এবং নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। কিন্তু সেই পথে এই প্রথম ধাপই সবচেয়ে কঠিন ধাপে পরিণত হতে পারে। এই শান্তির চুক্তি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় হতে পারে। তবে সেটি কীভাবে এগোবে— সেটা সময়ই বলবে।