Canada Hindu Minister: ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু মহিলা অনিতা আনন্দ কানাডার নতুন বিদেশমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এই নিয়োগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চরম টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নতুন বিদেশমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক শিকড় এবং অতীত ভূমিকা এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গঠনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে দুই দেশেই।
ভারতীয় শিকড় ও ব্যক্তিগত পরিচয়
অনিতা আনন্দ ১৯৬৭ সালে কানাডার নোভা স্কটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন তামিল, মা পঞ্জাবি। তিনি হিন্দু ও শিখ, উভয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং তাঁর ভারতীয় পরিচয়কে গর্বের সঙ্গেই বয়ে বেড়ান। সংসদে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, 'আমি একজন কানাডিয়ান, তবে আমার তামিল ও পঞ্জাবি শিকড়ের জন্য আমি গর্বিত।'
আরও পড়ুন- 'অপারেশন সিন্দুর'-এ শত্রু ধ্বংস! তাক লাগিয়েছে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রহস্যটা কী?
রাজনৈতিক পথচলা
২০১৯ সালে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা, পরিবহণ আর ট্রেজারি বোর্ড সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব পান। ২০২১ সালে, তিনি কানাডার ইতিহাসে দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন এবং ইউক্রেন সংকটের সময় সামরিক সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, কূটনৈতিক চিন্তা-ভাবনা এবং ভারতের ব্যাপারে সংবেদনশীলতা তাঁকে বিদেশমন্ত্রী পদের জন্য আদর্শ প্রার্থী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন- ভারত-পাক সংঘর্ষে প্রথমবার আছড়ে পড়ল BrahMos, সুপারসনিক অস্ত্রের আঘাতে বুক চাপড়াচ্ছে পাকিস্তানিরা
ভারত-কানাডা সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট
২০২৩ সালে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যু ঘিরে কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। উভয় দেশই পরস্পরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং পরস্পরকে দোষারোপ করে। এই প্রেক্ষাপটে, অনিতা আনন্দের নিযুক্তি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে আশার আলো জাগাচ্ছে।
আরও পড়ুন- অপারেশন Sindoor জাগিয়ে তুলেছে বালাকোটের স্মৃতি! জানেন কী ঘটেছিল ২০১৯-এর সেই এয়ার স্ট্রাইকে?
তাঁর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সম্ভাবনা
অনিতা আনন্দ আগেই ভারতবিরোধী কার্যকলাপ, হিন্দু মন্দিরে হামলা, এবং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ২০২৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর ভাস্কর্যের সমালোচনা করেছিলেন এবং হিন্দু মন্দির ভাঙচুরকে 'গ্রহণযোগ্য নয়' বলেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি ভারতের উদ্বেগকে বিশেষ গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি আদৌ যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে? কী বলছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর নথি
ভারতের প্রত্যাশা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কানাডার নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলেও ভারত বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। অনিতা আনন্দের মত একজন Exভারসাম্যপূর্ণ নেতার হাত ধরে এই সম্পর্ক আবার পুনর্গঠনের পথে এগোতে পারে।