Operation Sindoor Explained: 'অপারেশন সিন্দুর'-এ শত্রু ধ্বংস! তাক লাগিয়েছে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রহস্যটা কী?
Indian Air Defence System: অপারেশন সিন্দুরে নজিরবিহীন সাফল্য ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। IAF-এর IACCS সিস্টেম সফলভাবে শত্রু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। জেনে নিন কেমনভাবে কাজ করেছে এই স্বয়ংক্রিয় কমান্ড সিস্টেম।
Indian Air Defence System: অপারেশন সিন্দুরে নজিরবিহীন সাফল্য ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। IAF-এর IACCS সিস্টেম সফলভাবে শত্রু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। জেনে নিন কেমনভাবে কাজ করেছে এই স্বয়ংক্রিয় কমান্ড সিস্টেম।
Indian Air Defence System: সোমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর 'অপারেশন সিন্দুর' নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আইএসিসিএসের এই ছবিটি দেখানো হয়েছে। (ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
Indian Air Defence System: অপারেশন সিন্দুরে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স (আইএএফ)-এর ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) শত্রু দেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করেছে, বাধা দিয়েছে এবং ধ্বংস করেছে। যা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতাকে এক নতুন উচ্চতায় তুলে ধরেছে।
Advertisment
গত সোমবারই 'অপারেশন সিন্দুর' প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে সামরিক কর্তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) সম্পর্কে একটি ভিডিও দেখিয়েছেন। ছবিতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে সামরিক সংঘাতের সময় পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রর বিরুদ্ধে কেমন দুর্ভেদ্য ঢাল তৈরি করেছিল ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
শত্রুপক্ষের বিমান হামলা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি জাতির প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি রাডার, নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধবিমান এবং স্থল-ভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, কামান এবং ইলেকট্রনিক্স যুদ্ধ ব্যবস্থা- এই সমস্ত কিছু নিয়ে তৈরি। সেই জটিল ব্যবস্থাপনাই পাকিস্তান থেকে আসা শত্রু বিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র-সহ আকাশপথে ধেয়ে আসা যাবতীয় হামলা ঠেকিয়েছে।
Advertisment
সরকারি মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL)-এর তৈরি, IACCS হল একটি স্বয়ংক্রিয় কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। যা স্থলে বা ভূমিতে থাকা রাডার। এই রাডার বায়ুপথে আসা বিভিন্ন সিগনাল গ্রহণ করতে পারে। এর পাশাপাশি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF)-এর বিভিন্ন কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র-সহ সমস্ত বিমান প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। একত্রিত ডেটাসেটের প্রাপ্যতা অনুযায়ী রিয়েল-টাইম আপডেট-সহ একাধিক স্তরের সামরিক কমান্ডারদের হাতে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য তুলে দেয়। IACCS-এর ওভারল্যাপিং রাডার এবং রেডিও ডেটা কভারেজ আকাশসীমা ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে আর অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন মেটায়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘আকাশতির’ নামে একটি আলাদা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এটিও BEL দ্বারা তৈরি এবং বর্তমানে IACCS-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। আকাশতির যুদ্ধক্ষেত্রে নিম্নস্তরে আকাশ পর্যবেক্ষণ করে এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে।
ভারতের বিমান প্রতিরক্ষাকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে—
১. MANPADS ও কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম ২. পয়েন্ট ডিফেন্স সিস্টেম ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৩. মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৪. দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
এই স্তরগুলো একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে, যার ফলে শত্রুপক্ষের জন্য ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আগামী দিনে IACCS আরও বেশি আধুনিক হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), বিগ ডেটা বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও নির্ভুল ও গতিশীল করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ধরনের সংযুক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার মেরুদণ্ড হয়ে উঠছে। এটাই এখন ভারতবাসী হিসেবে আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার।