Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলায় নাম জড়িয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর! কীভাবে কাশ্মীরে জাল ছড়াল এই সংগঠন?

The Resistance Front (TRF): 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' (TRF) কাশ্মীরে এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানুন, কীভাবে ২০২০ সালে এই গোষ্ঠীটি তৈরি হয়েছিল এবং কীভাবে তারা জাল ছড়িয়েছে।

The Resistance Front (TRF): 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' (TRF) কাশ্মীরে এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানুন, কীভাবে ২০২০ সালে এই গোষ্ঠীটি তৈরি হয়েছিল এবং কীভাবে তারা জাল ছড়িয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Security in Kashmir: কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি

Security in Kashmir: কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি। (ছবি- প্রতীকী)

Pahalgam Attack: কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পিছনে দায়ী করা হচ্ছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ সংগঠনকে। প্রশ্ন হল, কীভাবে উত্থান ঘটল এই সংগঠনের? ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)' গোষ্ঠীকে 'জঙ্গি সংগঠন' ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি, এই গোষ্ঠীটি কাশ্মীরের পহেলগাঁঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক এবং স্থানীয় ঘোড়াচালক নিহত হয়েছেন।

Advertisment

সরকার ২০২৩ সালে নিষিদ্ধ করলেও TRF গোষ্ঠীটির ইতিহাস অনেক গভীরে, এবং এটি প্রথম পরিচিতি পায় ২০২০ সালে। সেই সময় কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে শুরু করেছিল। ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস বাতিল হওয়ার পর পাকিস্তান এই গোষ্ঠীটি গঠন করে, যাতে এটি কাশ্মীরের জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করতে পারে।

আরও পড়ুন- সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত ভারতের! কী এই চুক্তি, কেন শঙ্কায় পাকিস্তান?

TRF কীভাবে তৈরি হয়েছিল?

Advertisment

লস্কর-ই-তৈবা (LeT), কাশ্মীরে (kashmir) ১৯৮৫ সালে গঠিত একটি বড় জঙ্গি (Militant) গোষ্ঠী (pahalgam terror attack)। এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা। তবে ২০১৮ সালের পর, লস্কর-ই-তৈবার নেতৃত্ব বড় ধাক্কা খায়। তাদের শীর্ষ কমান্ডাররা ভারতীয় রক্ষীদের হাতে প্রাণ হারান। এর পর, পাকিস্তান চেয়েছিল এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে, যা ধর্মীয় নয়, বদলে সেকুলার ভাবমূর্তির হবে।

আরও পড়ুন- রামবান জেলায় বৃষ্টির প্রবল তাণ্ডব, প্রশাসনের কাছে বিরাট দাবি বাসিন্দাদের, এতবড় বিপর্যয়ের আসল কারণটা জানেন?

একজন পুলিশ আধিকারিক ২০২০ সালে এই প্রসঙ্গে বলেন, 'পাকিস্তান লস্কর এবং জইশ-ই-মহম্মদ এর ধর্মীয় পরিচয় এড়িয়ে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করতে চেয়েছিল, যে সংগঠন আরও বেশি কাশ্মীরের হবে। ওই সংগঠনের নাম তারা রেখেছিল ‘রেজিস্ট্যান্স’।'

আরও পড়ুন- পৃথিবী ধ্বংসের পথে? বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্রুতগতিতে গরম বাড়ছে ইউরোপে! চরম আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

TRF কীভাবে বেড়ে উঠেছে?

TRF এর সদস্যরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এই জঙ্গিগোষ্ঠীতে ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশের এবং বিদেশি জঙ্গিদের মিশ্রণ রয়েছে। ২০২০ সালে, যখন কেরান অঞ্চলে ভারতীয় সেনার সঙ্গে গুলিবিনিময়ে পাঁচ জন ভারতীয় জওয়ান এবং পাঁচ TRF জঙ্গি মারা যায়, তখন থেকে এই জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিস্তার শুরু হয়।

আরও পড়ুন- বিশ্বের ১০টি সবচেয়ে দামি ঘড়ি, দাম আর তার বৈশিষ্ট্য শুনলে যে কোনও মধ্যবিত্তর মাথা ঘুরে যাবে

TRF বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সক্রিয়— যেমন ফেসবুক, টেলিগ্রাম, এবং হোয়াটসঅ্যাপে। সেখানে তারা নিজেদের প্রোপাগান্ডামূলক ভিডিও পোস্ট করে থাকে। ওই পোস্টে তারা বিভিন্ন হামলার দায়ও স্বীকার করে থাকে।

বিশ্বব্যাপী প্রভাব:

TRF গোষ্ঠীটি একদিকে যেমন কাশ্মীরের তরুণদের মধ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের প্রতি আগ্রহ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তেমনই পাকিস্তানও তার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যাতে ক্ষতি না-হয়, সেই চেষ্টা করে চলছে। FATF (Financial Action Task Force) এর গ্রে-লিস্টিংয়ে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি রয়েছে, তাই পাকিস্তান কাশ্মীরের যুবকদেরকেই সামনে রেখে এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি তৈরি করেছে।

 

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারত সরকারের কাছে এখন এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী TRF এর সক্রিয়তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, যাতে কাশ্মীরে আরও হামলা রোধ করা যায়।

kashmir Militant pahalgam terror attack