/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/tcs-layoffs-protest-2025-08-21-15-10-13.jpg)
TCS Layoffs Protest: টিসিএস ছাঁটাই বিতর্ক।
TCS Layoffs Protest: টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি পরিষেবা সংস্থা। বিশ্বব্যাপী ৬ লক্ষাধিক কর্মী নিয়ে এটি শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইটি কোম্পানি। তবে সম্প্রতি টিসিএস ছাঁটাই বিতর্ক ঘিরে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
আইটি ও আইটিইএস কর্মচারী ইউনিয়নের (UNITE) অভিযোগ
আইটি ও আইটিইএস কর্মচারী ইউনিয়ন (UNITE) অভিযোগ করেছে যে টিসিএস প্রায় ৩০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। তারা জানিয়েছে, ছাঁটাই মূলত অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীদের ওপরই বেশি প্রভাব ফেলছে। ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক চন্দ্রশেখর আজাদ বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত যাঁদের সরানো হয়েছে, তাঁদের সবার মধ্যে একটি মিল আছে, সেটা হল এঁরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ।'
আরও পড়ুন- সবচেয়ে বেশি মিস ইউনিভার্স জয়ী সেরা ১০ দেশ, ভারত আছে কত নম্বরে?
অন্যদিকে, টিসিএস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মী পুনর্গঠন পরিকল্পনায় মাত্র ২ শতাংশ কর্মী সমস্যায় পড়বেন। সংখ্যাটা প্রায় ১২,০০০ কর্মীর মত। টিসিএস দাবি করেছে যে এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হল প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্তিশালী করা—বিশেষত ক্লাউড, এআই এবং ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে মনোযোগ দিতে চায় সংস্থা।
আরও পড়ুন- H-1B ভিসাধারী ও NRI-দের জন্য ভারতে ফেরার দুর্দান্ত গাইড, দেখুন চূড়ান্ত নির্দেশিকা
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন শহরে ইউনিয়ন কর্মীরা টিসিএসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (CITU) এই আন্দোলন সমর্থন করেছে। কর্ণাটকের শ্রম দফতর এই অভিযোগের ভিত্তিতে সমঝোতা বৈঠকের ডাক দিয়েছে। একটি বৈঠকে টিসিএসের এইচআর টিম কর্ণাটক শ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছে যে তারা এখনও শহরভিত্তিক বা দেশভিত্তিক ছাঁটাইয়ের সঠিক সংখ্যা স্থির করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- আজ খুলেছে বিক্রম সোলার আইপিও, জিএমপির ইঙ্গিতে আনন্দে লাফাচ্ছেন ক্রেতারা
ইউনিয়ন সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে টিসিএসের কিছু ক্যাম্পাসে, যেমন সিরুসেরি ক্যাম্পাসে, কর্মীরা বাধ্যতামূলকভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির সরঞ্জাম ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। ইউনিয়নের সদস্যরা বলেছেন যে, এর ফলে কর্মীরা বিকল্প সরঞ্জামের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও এই অভিযোগ এখনও যাচাই করা হয়নি।
ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MeitY) ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। কর্ণাটকের শ্রম কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে যে ১৯৪৭ সালের শিল্প বিরোধ আইনের অধীনে এই মামলা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে আইটি শিল্পে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক কোম্পানি ঐতিহ্যবাহী মডেল থেকে বেরিয়ে প্রোডাক্ট-অরিয়েন্টেড ডেলিভারি মডেলে যাচ্ছে। এর ফলে বহু পুরনো সংস্থা পুনর্গঠনের রাস্তায় হাঁটছে। TCS-ও সেই পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে।
Union of IT And ITES Employees protested tofay in Chennai against the announced TCS layoff of 12000 employees and the government inaction. pic.twitter.com/E3kDPLUZVW
— UNITE (@UNITEITORG) August 19, 2025
আরও পড়ুন- কারা ভারতের সেরা ১০ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার? তালিকা দেখলে চমকে উঠবেন!
ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তারা প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। অন্যদিকে, কোম্পানি বলছে যে প্রভাবিত কর্মীদের পুনর্বাসন ও স্থানান্তর সহায়তা দেওয়া হবে। তবে প্রকৃত ছাঁটাই কতজন হবেন, তা সময়ই বলবে। ইউনিয়নগুলোর অভিযোগ, টিসিএস ছাঁটাই বিতর্ক শুধুমাত্র একটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত নয়, বরং ভারতের বৃহত্তম আইটি খাতের কর্মীদের ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এই ছাঁটাই। এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন ও কোম্পানির মধ্যে এই সংঘাত কীভাবে মিটবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।