Top 10: কোন রাজ্যগুলির অপরাধের হার দিল্লির থেকেও বেশি? দেখুন সেরা ১০-এর তালিকা
Crime Rate in India: NCRB‑এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেরা ১০ রাজ্যের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, দিল্লির চেয়ে বেশ কিছু রাজ্যে অপরাধের হার বেশি। জেনে নিন বিস্তারিত।
Crime Rate in India: NCRB‑এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেরা ১০ রাজ্যের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, দিল্লির চেয়ে বেশ কিছু রাজ্যে অপরাধের হার বেশি। জেনে নিন বিস্তারিত।
Crime Rate in India: ভারতে অপরাধের হারে প্রথম ১০-এ কারা?
Crime Rate in India: ভারত, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, প্রতিদিন নানা ধরনের সামাজিক এবং নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। ১৪০ কোটিরও বেশি জনগণের দেশটিতে প্রতিটি রাজ্য নিজস্বভাবে অপরাধ, আইন-শৃঙ্খলা এবং সামাজিক কাঠামোর বিচিত্র চিত্র তুলে ধরে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু রাজ্যে অপরাধের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
Advertisment
সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, মাথাপিছু অপরাধের হারে শীর্ষ ১০টি রাজ্য হল:
র্যাঙ্ক
রাজ্য
মাথাপিছু অপরাধ হার
১
উত্তরপ্রদেশ
৭.৪
২
অরুণাচল প্রদেশ
৫.৮
৩
ঝাড়খণ্ড
৫.৩
৪
মেঘালয়
৫.১
৫
দিল্লি
৫.০
৬
আসাম
৪.৪
৭
ছত্তিশগড়
৪.০
৮
হরিয়ানা
৩.৮
৯
ওড়িশা
৩.৮
১০
অন্ধ্রপ্রদেশ
৩.৬
Advertisment
দিল্লি ৫ম স্থানে: কেন জাতীয় রাজধানী নিরাপদ নয়?
দিল্লি দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র। সেখানে মাথাপিছু ৫টি অপরাধের ঘটনা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসা, ছিনতাই এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ দিল্লিতে বাড়ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থাকলেও, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিল্লিকে শীর্ষ অপরাধপ্রবণ রাজ্যের তালিকায় তুলে এনেছে।
প্রচুর জনসংখ্যার কারণে উত্তরপ্রদেশে মাথাপিছু অপরাধের হার পৌঁছেছে ৭.৪-এ। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। চুরি, সংঘর্ষ, সম্প্রদায়ভিত্তিক হিংসা এবং খুনের ঘটনা এখানে দিনকে দিন বাড়ছে।
অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয়—এই দুই পাহাড়ি রাজ্যে কম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও মাথাপিছু অপরাধে শীর্ষে। এই তথ্য অনেককেই অবাক করতে পারে। বিশেষ করে রাতের নিরাপত্তা, সড়ক যোগাযোগ এবং আইনশৃঙ্খলার অভাব এসব সমস্যার অন্যতম কারণ।
অসম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও হিংসা এবং অস্থিরতার চিত্র
এই তিন রাজ্যের অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, মাওবাদী কার্যকলাপ এবং পরিকাঠামোগত দুর্বলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। গ্রামীণ এলাকা এবং সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে পুলিশের উপস্থিতি কম থাকায় অপরাধ দমন কঠিন হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিকতম (২০২৪ সালের) এই তথ্য শুধু জনগণকে সচেতন করতেই নয়, প্রশাসনকে বাস্তব ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অপরাধের প্রবণতা ভিন্ন হলেও একটি বিষয় স্পষ্ট— জননিরাপত্তার প্রশ্নে আরও পরিকল্পিত, তথ্যভিত্তিক এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দরকার আছে। দিল্লির মত যেখানে ব্যাপক নজরদারি আছে, সেই সব এলাকাও তালিকায় থাকায় বোঝা যায়, কেবল প্রযুক্তি বা জনবলই নয়, ঠিকঠাক শাসনই অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।