Urban Play Spaces: শিশুরা খেলতে খেলতে শেখে—এই সত্যকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আধুনিক শহরগুলোতে খেলার স্থানগুলো কীভাবে গঠিত হচ্ছে, সেই বিষয়ে গভীর চিন্তা জরুরি। নিরাপত্তার নামে প্রাচীর ঘেরা, পূর্বনির্ধারিত খেলাধুলার জায়গা শিশুদের কতটা স্বাধীনতা দেয়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ও ইতালির ভেনিস শহরে গবেষণা করেছেন একদল গবেষক।
খেলার মাঠ বনাম খোলা শহর
অকল্যান্ডের টাউমাটা রিজার্ভ হল একদম স্ট্যান্ডার্ড মডেল—সবুজ ঘাস, দোলনা, স্লাইড, এবং নিরাপত্তার জন্য বহু দূরে ফেন্স। বাইরে থেকে দেখে নিঃসন্দেহে এটি শিশুদের আদর্শ পার্ক বলে মনে হবে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের ছোটাছুটি এখানে কম। যেটুকু হয়, সেটা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে এবং তার মধ্যে সৃজনশীলতাও কম।
আরও পড়ুন- অল্প বয়সেই চুল পাকছে? চিকিৎসকের ঘরোয়া হেয়ার ডাইয়ের টিপসই ফেরাবে চুলের কালো রং
অন্যদিকে, ভেনিসের ক্যাম্পো সান গিয়াকোমো ডেল ‘ওরিওতে শিশুরা ছবি আঁকে, দৌড়ায়, পাথরের ওপর চড়ে বসে, সেতুর নীচে লুকোচুরি খেলে। এই জায়গাটি কোনও গেট দিয়েও ঘেরা নয়, স্রেফ শহরের গঠনের অংশ। গবেষকরা মনে করছেন, অকল্যান্ডের নিয়ম-কানুন শিশুদের মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে দিচ্ছে না। আর ভেনিসের পথ এবং খোলামেলা পরিবেশ শিশুর বিকাশকে উৎসাহিত করছে।
আরও পড়ুন- নোংরা চিরুনি ঝটপট পরিষ্কারের টিপস! জলের দরকার নেই, এই ঘরোয়া টিপসেই চিরুনি করবে ঝকমক
এখান থেকে শহরগুলো কী শিখতে পারে
১. প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে খেলা: কাঠ, পাথর, জল—শিশুদের বিকাশের সহায়ক।
২. যানজট কমানো: গাড়ির সংখ্যা ও গতি কমিয়ে শিশুর স্বাধীন চলাচলের সুযোগ তৈরি করা উচিত।
৩. রাস্তা পুনরুদ্ধার: সবার যাতায়াতের জন্য খোলামেলা রাস্তা রাখা উচিত।
৪. গাড়িমুক্ত আশপাশের এলাকা: স্কুল, পার্ক, লাইব্রেরির আশপাশে নিরাপদ খোলা পরিবেশ রাখা উচিত।
৫. শিশুদের মতামত শোনা: শিশুদের কথা এবং অভিজ্ঞতা শোনা উচিত।
৬. শিশুদের কর্মশালা: শিশুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নতুন কিছু সৃষ্টি করা উচিত।
৭. সফলতার পরিমাপ: শিশুর আত্মীয়তাবোধ, কৌতূহল, আনন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
৮. পরিবেশ পরিবর্তনে অংশগ্রহণ: সময়ের সঙ্গে শিশুর পরিবেশ উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত।
আরও পড়ুন- বর্ষায় চুল পড়া বেড়েছে? মহিলাদের জন্য এই ঘরোয়া টিপসে চুল পড়া আটকান সহজেই
খেলা মানেই শেখা
খেলা থেকে শিশুরা ঝুঁকি নিতে শিখে, সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। প্রকৃতির মধ্যে খেলা শিশুর বিচারবুদ্ধি এবং মানিয়ে নেওয়ার শক্তি গড়ে তোলে। এটি শুধু একটি শারীরিক কাজ নয়, শিশুর মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ারও একটি পথ।
আরও পড়ুন- আঁচিল বা তিলের ওপর চুল গজিয়েছে? কাটবেন না! ঘরোয়া উপায়ে করুন এই সমস্যার সমাধান
ভবিষ্যতের শহর কেমন হওয়া উচিত?
শুধু নিরাপত্তাই নয়, শিশুদের সৃজনশীলতা, স্বাধীনতা আর সামাজিক যোগাযোগ—একটি শহরকে শিশুদের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। শহর যেন শিশুদের জন্য শুধুই খেলার মাঠ হয়ে না ওঠে, বরং শেখার, খোঁজার, বন্ধুত্বের এবং নিজস্বতা গড়ে তোলার এক উন্মুক্ত মঞ্চ হয়ে ওঠে।