Hair Moles Treatment: অনেকেই ভাবেন, তিল বা আঁচিলের ওপর চুল গজানো মানেই সেটা বিপদের লক্ষণ, কিন্তু আদৌ কি তাই? চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নেওয়া যাক। তাহলেই বোঝা যাবে যে কোনটা সত্যি আর মিথ্যা।
কেন আঁচিল বা তিলে চুল গজায়?
আমাদের শরীরের ত্বকে যেসব কোষ রং তৈরি করে (melanocytes), সেগুলো অনেক সময় গুচ্ছভাবে জমে তিল বা আঁচিলও তৈরি করে। ত্বকের এই অংশে যদি হেয়ার ফলিকল থাকে, তাহলে সেখান থেকে চুল গজানো স্বাভাবিক। এটি খুবই সাধারণ ও প্রাকৃতিক ব্যাপার। তবে হঠাৎ করে রঙ বা আকার বদলানো, রক্তপাত বা ব্যথা হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন- আপনি ফ্ল্যাটে থাকেন, জলের জন্য চুল ঝরছে অঝোরে? জানুন, কোন ঘরোয়া কায়দায় মিলবে সুরাহা
কী করবেন না:
-
তিল বা আঁচিলের উপর গজানো চুল প্লাক বা উইথ পিন দিয়ে তুলবেন না
-
ব্লেড বা রেজার দিয়ে কাটবেন না
-
ঘষাঘষি বা জোর করে ঘরোয়া উপায়ে উঠানোর চেষ্টা করবেন না
এসব করলে সংক্রমণ, রক্তপাত বা চর্মরোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন- বাঘ বনাম চিতা! মরণবাঁচন লড়াই হলে প্রকৃতির দুই ভয়ংকর যোদ্ধার মধ্যে কে জিতবে?
ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল ও চুল নিয়ন্ত্রণের কৌশল:
১. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) থেরাপি
আরও পড়ুন- মাত্র একবার টমেটোর সঙ্গে এই গুঁড়োটি লাগালেই ত্বক হবে উজ্জ্বল! জানুন সামুদ্রিক শৈবালের ৬টি রূপচর্চার প্যাক
২. লেবু ও বেকিং সোডার পেস্ট
-
১ চামচ বেকিং সোডায় ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
-
সপ্তাহে ২-৩ বার আঁচিলে লাগান
-
এতে স্কিন টোন হালকা হয় এবং হেয়ার ফ্রিকোয়েন্সি কমে
আরও পড়ুন- প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন ১০টি পোকা, যাদের দেখে মনে হবে শিল্পীর তুলিতে আঁকা
৩. রসুনের পেস্ট
৪. ক্যাস্টর অয়েল ও বেকিং সোডার প্যাক
বিশেষ পরামর্শ:
-
যদি তিল বা আঁচিলের আকার, রঙ বা চুলের গঠন হঠাৎ পরিবর্তন হয়, তবে এটি Skin Cancer (Melanoma)-এর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
-
সেক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে দ্রুত পরামর্শ নিন।
প্রতিদিনের যত্নে কী করবেন?
-
আঁচিল বা তিলের উপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
-
অতিরিক্ত ঘাম বা ধুলা থেকে দূরে রাখুন
-
মুখ বা শরীর পরিষ্কার করার সময় আলতো হাতে ঘষুন
-
ত্বক যাতে শুষ্ক না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন
তিল বা আঁচিলের উপর চুল গজানো যতটা সাধারণ, ঠিক ততটাই তা উপেক্ষা করাও উচিত নয়। যদি এটি নিয়মিত থাকে এবং কোনও অস্বাভাবিকতা না দেখা যায়, তবে চিন্তার কিছু নেই। তবে যদি হঠাৎ করে পরিবর্তন বা অস্বস্তি হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। একইসঙ্গে ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।