Xi Jinping's Southeast Asia Diplomacy: Strategic Visits Amid US-China Tariff Tensions: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপ নিয়ে যখন বিশ্ব রাজনীতি সরব, ঠিক তখনই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ সফর করলেন— ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া। এই সফরের তাৎপর্য শুধুমাত্র কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব বিস্তার ও ট্যারিফ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত চাল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
🔹 চিন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক:
চিন ও ভিয়েতনাম উভয়েই কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। কিন্তু দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। যদিও চিনের থেকে ভিয়েতনামের আমদানি ও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ প্রায় সমান, তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশি মজবুত। ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ ৪৬% পর্যন্ত ছিল, যেটি শিথিল হলেও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। তবুও ভিয়েতনাম দক্ষতার সঙ্গে চিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে।
আরও পড়ুন- মেহুল চোকসিকে কি ভারতে ফেরানো সম্ভব? দেশে ফিরলে তার ভবিষ্যৎ কী?
🔹 চিন-মালয়েশিয়া সম্পর্ক:
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম স্পষ্ট করে বলেছেন, চিন মালয়েশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। যদিও দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে, তবুও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় বহু পরিকাঠামো প্রকল্প চলছে। মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর রফতানির বড় উৎস, যা বর্তমান ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন- নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে স্বীকৃতি চিকিৎসক মহলের, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আসতে পারে বড় পরিবর্তন
🔹 চিন-কম্বোডিয়া সম্পর্ক:
কম্বোডিয়া চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। যদিও অতীতে চিন খেমার রুজ সরকারের সমর্থক ছিল। বর্তমানে, কম্বোডিয়ার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চিনের ঋণ ও সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও চিন কম্বোডিয়ার প্রধান অংশীদার, যদিও মার্কিন ট্যারিফ বা শুল্ক নীতির প্রভাবে কম্বোডিয়াও বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন- সংশোধিত Waqf আইন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ, এই আইনে কী বলা আছে, কেন এত গন্ডগোল জানেন?
🔹 কৌশলগত বার্তা:
শি জিনপিং-এর এই সফর মার্কিন ট্যারিফ নীতির পাল্টা কূটনৈতিক বার্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। চিন একদিকে তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে 'shared future' ধারণা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে মার্কিন বাজারের বিকল্প খুঁজছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষমতা এতটাই বিশাল যে কোনও দেশই একচেটিয়াভাবে চিনের দিকে ঝুঁকতে পারছে না। তবে চিন এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়িয়ে তুলছে এবং ভবিষ্যতে শক্তি প্রদর্শনের কৌশল নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন- এই কয়টি বিষয় মাথায় রাখুন, আপনিও পা রাখতে পারবেন শিবধাম কৈলাসে
সার্বিকভাবে, শি জিনপিং-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর বিশ্ব বাণিজ্য এবং ভূরাজনৈতিক সমীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।