Mehul Choksi's Extradition: What Are the Possibilities and What Lies Ahead If He Returns to India: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসি অবশেষে বেলজিয়ামে গ্রেফতার হয়েছেন। এই ধনকুবের দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বাইরে পলাতক ছিলেন এবং অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে প্রত্যাবর্তন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ভারত সরকারের দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে বেলজিয়ামে তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এখন প্রশ্ন, তাঁকে কি আদৌ ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
ভারত-বেলজিয়ামের চুক্তি
ভারতের সঙ্গে বেলজিয়ামের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। এর ভিত্তিতেই ভারত সরকার তাঁকে ফেরানোর জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। তবে, মেহুল চোকসির আইনি দল ইতিমধ্যেই তাঁর জামিনের আবেদন করেছে এবং জানিয়েছে,মেহুল ক্যানসারে ভুগছে এবং স্বাস্থ্যগত কারণে তাঁকে ভারতে ফেরানো ঠিক হবে না। এই যুক্তিই চোকসির আইনজীবীরা তার ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন- বাংলা নববর্ষে কেন হয় লক্ষ্মী-গণেশের পুজো? পিছনে এক বিরাট কাহিনি
যদি তাকে ভারত ফিরিয়ে আনা যায়, তবে চোকসির বিরুদ্ধে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তহবিল তছরুপ, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারা। তাকে ফেরানো গেলে, মেহুলের বিরুদ্ধে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার শুরু হতে পারে এবং PNB কেলেঙ্কারির তদন্তে চোকসিকে বাকি জীবনটা জেলেই কাটাতে হতে পারে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের মহাদশায় বিভিন্ন রাশিতে আমূল বদল, কারা পাবেন সোনালি জীবন, কাদের জুটবে ব্যর্থতা?
ফলে, মেহুল চোকসির দেশে ফেরা মানে কেবল তার গ্রেফতার নয়, বরং এক বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির (Scam) তদন্তের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগোনো। এখন দেখার, আইন তাকে কত দ্রুত ভারতের মাটিতে ফেরাতে পারে। গ্রেফতারের আগে চোকসি বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে চিকিৎসার জন্য থাকছিল। তার স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক।
আরও পড়ুন- সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি
২০১৮ সালে পিএনবি-র পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর চোকসি এবং তার সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংক থেকে ভুয়ো লেটার অফ আন্ডারটেকিং-এর মাধ্যমে বিপুল টাকা ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছে চোকসি। পরবর্তীতে ইডি অভিযোগ করে, মেহুল চোকসি বেআইনিভাবে ঋণ নেওয়া টাকা বিদেশি অ্যাকাউন্টে পাচার করেছে।
আরও পড়ুন- বিরল যোগে বিরাট বদল, নতুন বছরে ভাগ্য চমকাবে এই তিন রাশির
এরপরই তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপ, প্রতারণা এবং দুর্নীতির ধারায় মামলা শুরু হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে চোকসি অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করে এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভারত ছেড়ে চলে যায়। এরপরে তাকে ডোমিনিকায় ধরা হলেও আইনি জটিলতায় ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। বরং, অ্যান্টিগুয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।