ভারতে ফের প্রাণ কাড়ল করোনা। একলাফে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হল ১৬। দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৬৯৪। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন বলে খবর। এদিকে, দেশের বিভিন্ন অংশের মতো করোনার ভয়াল থাবা পশ্চিমবঙ্গেও। এখানেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার নয়াবাদের এক ৬৬ বছরের বৃদ্ধের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নজরে এসেছে। এ মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। তবে বরাভয় দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবংআইসিএমআর। তাদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকা মেনে চললে দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব।
করোনা রুখতে আঁটোসাঁটো লকডাউনের মধ্যে রাজ্যের পরিস্থিতি সচল রাখতে রেশন-সহ জরুরি পরিষেবা চালু রাখার কথা বুধবারই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রেশন দোকান যেন ঠিকমতো চলে। দরকার হলে একমাসের চাল একবারে দিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে বারবার আসতে হবে না জনসাধারণকে। যাঁরা বাজারে যাবেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন”। পাশাপাশি মমতা এও বলেন, ”সবজিওয়ালা, মুটেদের আটকানো যাবে না। কৃষকদের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা না মানলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
যত দিন যাচ্ছে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। বুধবার বারাণসীতে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন। মোদী বলেন, ”মহাভারতের যুদ্ধ ছিল ১৮ দিনের। এটাও একটা যুদ্ধ, করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে ২১দিন সময় লাগবে”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Situation Live Updates in India, West Bengal, Kolkata, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবরের আপডেটস জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনার জেরে কেবল মানুষ নয়, আক্রান্ত দেশের অর্থনীতিও। দেশব্যাপী লকডাউনে অথৈ জলে পড়েছেন শ্রমিকেরা। ক্ষতির মুখে মাঝারি এবং ছোট খুচরো ব্যবসায়ীরাও। তবে এই পরিস্থিতিতে সেই সকল অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে থাকতে নগদ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। এছাড়াও তাঁদের পরিবারের প্রত্যেককে ৭ কেজি ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
করোনা মোকাবিলা করতে ২১ দিনের দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করার পর ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের চাহিদা তুঙ্গে। সেই আবহে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, বিগবাস্কেট, জ্যোমাটো, সুইগির মতো ডেলিভারি সংস্থাগুলি সামগ্রী ডেলিভারী দিতে অস্বীকার করায় এবার ময়দানে নামল মোদী সরকার। বিগ বাজার পরিচালনাকারী ফিউচার রিটেইলের মতো অফলাইন খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পুলিশ তাঁদের কর্মীদের বাইক এবং চাবি বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকী তাঁদের মারধরও করেছে। এহেন পরিস্থিতি সামলাতে এবার কার্ফু পাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
বিশ্বব্যাপী করোনা-সঙ্কটের জেরে এক বছর পিছিয়ে গেছে আগামি জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিক। এই পিছিয়ে যাওয়াতে খুশি ভারতের তারকা অ্যাথলিটরা। যাঁরা পরিষ্কার জানাচ্ছেন, ‘জীবন সবার আগে’, এবং অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার তুলনায় বাঁচাটা এখন ঢের বেশি জরুরি।২০১২-র লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার মেরি কম পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “অবস্থা এখন অত্যন্ত খারাপ। জীবন সবচেয়ে আগে। বাকি সব কিছু অপেক্ষা করতে পারে। প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সবার আগে। অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ভাল। এখন আমি প্রস্তুতির জন্য আরও বেশি সময় পাব। এটা আমার জন্য শুধু নয়, বিশ্বের সমস্ত অ্যাথলিটদের জন্যই সত্যি। বিস্তারিত পড়ুন- অলিম্পিকের পিছিয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানালেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে জীবাণু নাশক স্প্রে করছে কলকাতা পুরসভা। আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে শহরে জীবাণু নাশকের কাজ শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে জলের সঙ্গে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে ট্রাক মাউন্টেড সুইপার ও হ্যান্ড মেশিন দিয়ে জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। একদিকে ম্যান পাওয়ার ও অন্যদিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মহানগর পরিস্কারের কাজ চলছে। সবিস্তারে পড়ুন- শহরজুড়ে জীবাণু নাশক স্প্রে কলকাতা পুরসভার, এসেছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। সবিস্তারে পড়ুন...
করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্য়বহার করলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাণসীতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে মোদী বলেন, ”হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাদা পোশাক পরে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা এখন আমাদের ভগবান। তাঁদের সম্মান করা উচিত। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন”। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে যাঁরা সহযোগিতা করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্য়বস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ডিজিপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতে ফের প্রাণ কাড়ল করোনা। একলাফে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হল ১৬। দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৬৯৪। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন বলে খবর।
ভারতীয়রা সরকারের সঙ্গে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে না এলে এবং সব নির্দেশ মেনে না চললে কোভিড-১৯ ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে না। কিন্তু, আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি এবং সঠিক সময়ে যথার্থ চিকিৎসা গ্রহণ করি, সেক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল। আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে আর গঙ্গা জানিয়েছেন, সরকারের পদক্ষেপগুলি এতটাই কার্যকরী যে আমরা যদি তা কঠোরভাবে মেনে চলি, তাহলে দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নেওয়া যাবে।
করোনায় লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের জন্য উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বাংলার শ্রমিকদের খাদ্য়, বস্ত্র, আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আর্জি জানিয়ে ১৮ রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। পড়ুন- করোনায় ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, কী লিখলেন?
এ কোন দৃশ্য! এ যেন অচেনা কলকাতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর ২১ দিনের লকডাউনের এমনই চিত্র দেখল রাজ্য। শুনশান রাস্তাঘাট, বন্ধ বাজার। অবাঞ্চিত কারণে রাস্তায় বেরলেই তেড়ে আসছে পুলিশ। যেন এ কার্ফুর চেয়েও বেশি। কারণ? করোনা। মারণভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশবাসীকে বন্দি করেই এমন আক্রমণ রুখতে চেয়েছে সকলে। যদিও এরই মধ্যে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১০ জনে। দেশে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৩। বিস্তারিত পড়ুন- করোনার জের! লাফিয়ে বাড়ল সবজির দাম, নিয়ম ভাঙায় গ্রেফতার কয়েকশো
বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর প্রত্যক্ষ করল প্রথম করোনার থাবায় মৃত্যু। তবে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। এখনও পরযন্ত সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে ২১,২৮৭তে। ইতালি দেখেছে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুমিছিল। সেখানে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫০৩। বুধবার পর্যন্ত চিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৪৭ জনের। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭১,৪০৭।
রাজ্যে করোনা সতর্কতা তৈরি করতে এবার গান বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বহুবার সচেতনতা ও নিজের কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে একাধিকবার তুলি ও কলম তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্যবাসীকে করোনা নিয়ে আশ্বস্ত করতে ফের তাই সুরকেই হাতিয়ার করলেন মমতা। গানটিতে সুর দিয়েছেন তিনি নিজেই। গানটি গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল রায়। পড়ুন- করোনায় গান বাঁধলেন মমতা
করোনা মোকাবিলায় বিজেপির ১৪ জন সাংসদ ও একজন বিধায়ক নিজেদের উন্নয়ন তহবিল থেকে মোট ১০কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া স্থানীয় উন্নয়ন তহবিল থেকে দিয়েছেন ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। উন্নয়ন তহবিল থেকে সিপিএমের বিধায়করা দিয়েছেন আড়াই কোটি টাকার ওপর। রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়করা দিচ্ছেন ১ লক্ষ টাকা করে। করোনা তহবিলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ কোটি টাকা। সবিস্তারে পড়ুন- করোনা তহবিলে মুক্ত হস্তে দান সাংসদ-বিধায়কদের
লকডাউনের জের। দুর্গাপুর স্টেশনে আটকে ভবঘুরেরা। সংক্রমণ রুখতে স্টেশন চত্বরেও থাকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় তাঁদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারাও এগিয়ে আসেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন পরবর্তীতে তাঁদের থাকার জায়গারও ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।
ছবি- অনির্বাণ কর্মকার
করোনার জেরে বন্ধ হয়েছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম রেল। আগামী ১৪ মার্চ অবধি লকডাউনের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে এই পরিষেবা। পাশাপাশি ১৪ মার্চ অবধি টিকিট বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল রেল। এর আগে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত যাবতীয় প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করার পাশাপাশি ৩১শে মার্চ পর্যন্ত টিকিট বুকিং বাতিল করা হয়েছিল রেলের তরফে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউনের নতুন ঘোষণার পরে আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত মালবাহী ট্রেন ছাড়া যাবতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এমনকী ১৪ই এপ্রিল রাত্রি ১২টার পরে থেকে মিলবে ই-টিকিট।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। এদিকে পণ্যেরও যোগান নেই। ফলে বন্ধ দোকানপাট। হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার একটি বাজারে এমনই হাল। এই বাজারের অধিকাংশ আনাজ ও সব্জি ব্যবসায়ী বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে ট্রেনে-বাসে করে নিত্য পণ্য কিনে এনে বিক্রি করেন। ট্রেন ও বাস বন্ধ থাকার ফলে টান পড়ছে যোগানে। অনেকেই কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া করে পণ্য আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যার ফলে থাকছে দাম বাড়ার আশংকাও রয়েছে বলে জানালেন জনৈক স্থানীয় ব্যাবসায়ী।
ছবি- অরিন্দম বোস
দুর্গাপুর সগরভাঙ্গা গ্রামের চড়কতলায় রেশন তোলার জন্য সাধারণ মানুষের বিশাল জমায়েত দেখা গেল।করোনার জেরে লকডাউনে গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারেশন তুলছেন দুর্গাপুরের মানুষ। এমনকী রেশন দোকানের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু নিয়ম পালন করা হচ্ছে।
ছবি- অনির্বাণ কর্মকার