করোনা নিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠক। নিয়ম মেনে সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। এদিকে লকডাউন ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তীব্র হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পন্য কিনতে বাজারে ভিড় জমছে। অত্যাবশকীয় পরিষেবা যাতে থমকে না যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দিলেন মমতা।
করোনা মোকাবিলায় মধ্যরাত থেকেই দেশজুড়ে জারি হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। যুক্তিহীন প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে পা রাখলেই অপেক্ষা করছে কড়া শাস্তি। তিন সপ্তাহ লকডাউনের কারণ ব্যাখ্যা করে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'লকডাউন না করা হলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে।' সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে গত রবিবারের জনতা কার্ফুর দিন যা যা পরিষেবা চালু ছিল, তা সবই বজায় থাকবে। এরই মধ্যে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত-৬০৬।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলি পরিদর্শন করেন। রাজ্যের যাঁরা আর্থিক সংকটে রয়েছেন, তাঁদের হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, মঙ্গলবার নবান্নে নতুন প্রকল্প ‘প্রচেষ্টা’রও ঘোষণা করে একথা জানিয়েছেন মমতা। বাংলা এই মূহুর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯। লকডাউন সত্ত্বেও বহু মানুষকে মঙ্গলবারও রাস্তায় বেরোতে দেখা গিয়েছে। লকডাউন লংঘন করলেই কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। চলছে সচেতনতাও।
Read full in English
Live Blog
Coronavirus Situation Live Updates in India, West Bengal, Kolkata. করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবরের আপডেটস জানতে চোখ রাখুন এখানে...
লকডাউন ভঙ্গকারীদের চরম হুঁশিয়ারি দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি বলেন, ‘মানুষ বাড়ি থাকতে না চাইলে ২৪ ঘন্টার জন্য কার্ফু জারি করতে বাধ্য হব। তাতেও কাজ না হলে সেনা ডাকব ও নিয়মভঙ্গকারীদের উদ্দেশে গুলি মারার আদেশ জারি করব।'
ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩৯। রাজ্যজুড়ে ভীতির আবহ। প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তারপরই নিয়মভঙ্গকারীদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আবারও জনদরদি অবতারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যাঁরা আর্থিক সংকটে রয়েছেন, তাঁদের হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, মঙ্গলবার নবান্নে নতুন প্রকল্প ‘প্রচেষ্টা’র ঘোষণা করে একথা জানিয়েছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”রাজ্য় সরকারের নতুন প্রকল্প প্রচেষ্টা ঘোষণা করা হল। যাঁরা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন, যাঁদের আয় নেই, তাঁদের সরকার হাজার টাকা করে দেবে। ১৫ এপ্রিল থেকে আবেদন করা যাবে”।
এর আগে,করোনা আবহে বিনামূল্য়ে ২ টাকা করে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিস্তারিত পড়ুন
মহারাষ্ট্রের পুণেতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) দেশের দুটি বেসরকারি সংস্থাকে করোনাভাইরাস ‘টেস্টিং কিট’ তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছে। সংস্থা দুটি হলো জার্মানির অ্যালটোনা ডায়াগনস্টিকস (Altona Diagnostics) এবং পুণের সংস্থা মাইল্যাব ডিসকভারি সল্যুশনস (Mylab Discovery Solutions)।
মঙ্গলবার থেকে দুদিন আগে বেসরকারি ভাবে COVID-19 পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু নতুন নির্দেশিকা জারি করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), যার ফলে বেসরকারি ল্যাবে শুধুমাত্র ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (USFDA) অথবা ইউরোপীয় সিই (European CE) অনুমোদিত ‘টেস্টিং কিট’ই ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও নির্দেশিকার আওতা কিছুটা প্রসারিত করে NIV-র অনুমতি সাপেক্ষে ভারত বা ভারতের বাইরে তৈরি কিট ব্যবহার করারও অনুমতি দেওয়া হয়। বিস্তারিত পড়ুন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অতি দ্রুত সংক্রমণের মোকাবিলায় মধ্যরাত থেকে গোটা দেশে আগামী ২১ দিনের জন্য জারি হয়েছে লকডাউন। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তেমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। তবে এই আবহে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে গত রবিবারের জনতা কার্ফুর দিন যা যা পরিষেবা চালু ছিল, তা সবই বজায় থাকবে। অর্থাৎ মুদির দোকান, ওষুধের দোকান, এটিএম-এর মতো জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে। বন্ধ গণপরিবহণ। কোনকোন পরিষেবা চালু ও বন্ধ তা জানতে বিস্তারিত পড়ুন
করোনার সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারত। মারণ ভাইরাসকে হারাতে মরিয়া মোদী সরকার। এই আবহে এবার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে আগামী ৩ সপ্তাহের জন্য় দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন ”দেশবাসীকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ ছাড়া আর উপায় ছিল না। এটা একধরনের কার্ফু। দয়া করে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না”। লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবাকে। বিস্তারিত পড়ুন
মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনকে কার্ফুর থেকেও কঠোর পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হল ৬০৬।
করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্য়বহার করলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাণসীতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে মোদী বলেন, ''হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাদা পোশাক পরে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা এখন আমাদের ভগবান। তাঁদের সম্মান করা উচিত। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন''। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে যাঁরা সহযোগিতা করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্য়বস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ডিজিপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ''সকল নাগরিকের কাছে আবেদন করছি, ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্য়বহার করা হচ্ছে, এ ধরনের আচরণ যদি আপনাদের নজরে আসে, তাহলে তাদের বোঝান যে, তাঁরা ঠিক কাজ করছেন না''। বিস্তারিত পড়ুন
মালদায় লকডাউন অগ্রাহ্য কার শাস্তি।।
লকডাউন চলাকালীন অত্যাবশকীয় পরিষেবা যাতে থমকে না যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দিলেন মমতা। নবান্নে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”সব অত্য়াবশকীয় পণ্যের হোম ডেলিভারির অনুমতি দিতে বলছি সমস্ত থানাকে। বিডিও, এসডি, এসপি সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। সবজিওয়ালা, মুটেদের আটকানো যাবে না। কৃষকদের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা না মানলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। বিস্তারিত পড়ুন
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি জায়গায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের পাঁচটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ টেস্ট করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে আইসিএমআর-এর কাছে। তাদের আবেদন বিবেচনা করার জন্য বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। করোনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে তা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত পড়ুন
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি আবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো নিশ্চিত করবার ব্যাপারে সমস্ত পদক্ষেপ নেবে। আপাতত ২১ দিনের জন্য সারা দেশলে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে আবশ্যিক যা, সেই খাদ্যের জোগানের ব্যাপারে ভারত কতটা প্রস্তুত – খতিয়ে দেখল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা ভীতি। ক্যবিনেট বৈঠকেও যার প্রভাব পড়ল। তিন সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে এদিন বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রী মন্ত্রীরা। সতর্কতা মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখে বসলেন মন্ত্রীমশাইরা। বৈঠকে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সব শীর্ষ আমলারা। লোক কল্যাণ মার্গে চলছে বৈঠক।
ভিড়েঠাসা যশোর রোড একেবারেই সুনসান। বন্ধ দোকানপাট, চলছে না বাস-অটো-টোটো। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় মানুষের দেখা নেই।
ছবি: শশী ঘোষ
করোনা প্রতিরোধ লকডাউনের ঘোষণায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন রাজ্যের মানুষ। সোমবার প্রথম করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির শবদাহ নিয়ে তুলকালাম ঘটে গিয়েছে নিমতলা শ্মশানে। ওই দিন রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে দফায় দফায় লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছে। এবার করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহ সৎকার করার জন্য মহানগরের দু’টি জায়গা নির্দিষ্ট করল কলকাতা পুরসভা। দাহ করা হবে ধাপায়, কবরস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাগমারিতে। বিস্তারিত পড়ুন
দেশজুড়ে জারি লকডাউন। পরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, সবজি মিলবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই আশঙ্কাতেই বুধবার সকাল হতেই বাজারে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে মানুষজনকে। বারাসতের কাজিপাড়া বাজারে বুধবার সকালে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ছবি: শশী ঘোষ