'করোনা আমাদের স্বনির্ভরতার পাঠ দিয়েছে।' জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন ই-গ্রাম স্বরাজ অ্যাপের সূচনা করলেন তিনি। গ্রামীণ উন্নয়নের যাবতীয় খাঁটিুনাটি এই অ্যাপে থাকবে। পাশাপাশি গ্রামে অনলাইন পরিষেবার সুযোগ বেড়েছে বলেও জানান মোদী। তাঁর কথায়, 'ব্রড ব্যান্ড পরিষেবা ১.২৫ লাখ গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কমন সার্ভিস সেন্টার হয়েছে।' মহামারী রুখতে ভারত দৃষ্টান্ত বলেও জানান প্রদানমন্ত্রী বলেন, 'করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ গোটা বিশ্বের কাছে নতুন বিষয়। কিন্তু, করোনা আমাদের স্বনির্ভরতার পাঠ দিয়েছে। ন্যূনতম সম্পদ নিয়ে আমরা করোনার বিরুদ্ধে দারুনভাবে লড়াই করছি।'
শুক্রবার এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯২১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে করোনা পজেটিভ ২৩ হাজার অতিক্রান্ত। সংক্রামিতের সংখ্যা ২৩,০৭৭। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৪৪৮ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৭,৬১০। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৮ জনের। লকডাউনের মেয়াদ শেষের ১০ দিন আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ভাইরাস দেশের মোট জেলার অর্ধেকেরও বেশিতে ছড়িয়ে পড়েছে, তবে তা একই আঞ্চলে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এদিকে, করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল পত্রযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫ পাতার কড়া চিঠির পাল্টা এদিন ফের টুইট করেন জগদীপ ধনকড়। লেখেন, 'আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। রাজ্য যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবেলায় সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে যাতে গভীর সঙ্কটে থাকা মানুষগুলি কিছুটা সান্ত্বনা পায়।' রাজ্যে সরকারের দেওয়া তথ্যনানুশারে, বাংলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৪ জন। মৃত ১৫। করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ১০৩ জন। এ রাজ্য়ে কর্মরত ৯ আরপিএফ কর্মী করোনা আক্রান্ত। শুক্রবার এই খবর জানিয়ে টুইট করেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেকও ব্রায়েন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা মুক্ত দু’জনের শরীরে ফের মিলল কোভিড ১৯। এমনটাই ঘটেছে গুজরাতের পটান জেলায়। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় করোনা আক্রান্ত ২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল। তাঁরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এরপর গত ২২ এপ্রিল তাঁদের দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষার ফল পজিটিভ মিলেছে। ফলে ওই দুই করোনা আক্রান্তকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা শহরে লকডাউন সফল করতে পথে নেমেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। চিহ্নিত হটস্পট এলাকা সিল করা হয়েছে। অপ্রোয়জনে কাউকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে ত্রুটির অভিযোগ ওঠার পরে চিন থেকে আগত করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট দিয়ে টেস্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আইসিএমআর। কিন্তু, তারপরও চিন থেকে প্রায় ২০ বিমান বোঝাই স্বাস্থ্য সরঞ্জাম আসছে ভারতে। বৃস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত দু'সপ্তাহে চিন থেকে প্রায় ৪০০ টন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এসেথে এ দেশে। ২৪টিরও বেশি বিমানে ভারতে আসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, ব়্যাপিড টেস্ট কিট, অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট, পিপিই। পড়ুন বিস্তারিত
এ রাজ্যে কর্মরত ৯ আরপিএফ কর্মী করোনা আক্রান্ত। শুক্রবার এই খবর জানিয়ে টুইট করেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেকও ব্রায়েন। টুইটে তিনি লেখেন, 'খুব উদ্বগেজনক খবর। বাংলায় ৯জন আরপিএফ কর্মীর করোনা ধরা পড়েছে। খড়গপুরে ৬ জন, মেচেদা ও উলুবেড়িয়াতে ১ জন করে। তারা সকলেই ১৪ই এপ্রিল ট্রেনে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। লকডাউন চলাকালীন কি করে তারা ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন? কারা তাদের পাঠিয়েছে? স্ক্রিনিং? কত লোকের সাথে দেখা হয়েছিল?'
'আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। রাজ্য যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবেলায় সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে যাতে গভীর সঙ্কটে থাকা মানুষগুলি কিছুটা সান্ত্বনা পায়।' করোনা আবহে বৃহস্পতিবারের পত্রাঘাতের পর এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একথাই লেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
'করোনা আমাদের স্বনির্ভরতার পাঠ দিয়েছে।' জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন ই-গ্রাম স্বরাজ অ্যাপের সূচনা করলেন তিনি। গ্রামীণ উন্নয়নের যাবতীয় খাঁটিুনাটি এই অ্যাপে থাকবে। পাশাপাশি গ্রামে অনলাইন পরিষেবার সুযোগ বেড়েছে বলেও জানান মোদী। তাঁর কথায়, 'ব্রড ব্যান্ড পরিষেবা ১.২৫ লাখ গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কমন সার্ভিস সেন্টার হয়েছে।' মহামারী রুখতে ভারত দৃষ্টান্ত বলেও জানান প্রদানমন্ত্রী বলেন, 'করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ গোটা বিশ্বের কাছে নতুন বিষয়। কিন্তু, করোনা আমাদের স্বনির্ভরতার পাঠ দিয়েছে। ন্যূনতম সম্পদ নিয়ে আমরা করোনার বিরুদ্ধে দারুনভাবে লড়াই করছি।'
'যে কোনও বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বাংলা সবসময় সংঘবদ্ধ থেকেছে। মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব ও সবসময় রাজ্যে শান্তি-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করব, আসুন, এই পবিত্র মাসে আমরা একে অপরের কাছে এই সংকল্পই করি।' শুক্রবার টুইটে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড করেছে মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এ রাজ্য থেকে ৭৭৮ জনের সংক্রমণের খবর এসেছে এবং এর মাধ্যমে দেশে এখনও পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।
বৃহস্পতিবারের হিসেব ধরলে মহারাষ্ট্রে সব মিলিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৪২৭। এ রাজ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণের সংখ্যাবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে, গত এক সপ্তাহের পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রে পজিটিভের সংখ্যা ছিল ৩২০২। পড়ুন বিস্তারিত
দিল্লি আইআইটির বানানো কোভিড-১৯ টেস্ট কিটকে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। এই প্রথমবার দেশের কোনও অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউটের বানানো টেস্ট কিটকে সবুজ সঙ্কেত দিল আইসিএমআর। এই কিটের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে কম খরচে করোনা পরীক্ষা সম্ভব।আইআইটির-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, 'কম খরচে আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট বানিয়েছে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। এই কিট মারফৎ নির্ভুলভাবে কম খরচে করোনা পরীক্ষা সম্ভব। দিল্লি আইআইটির-র বানানো আরটি-পিসিআর টেস্ট কিটকেই প্রথমবারের জন্য স্বীকৃতি দিল আইসিএমআর।' পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনের মধ্যে স্তব্ধ কাজ। খাঁ কাঁ করছে কুমোরটুলি। দুর্গাপুজোর বরাত ঘিরেও কালো মেঘ দানা বেঁধেছে। তবে, শিল্পী ব্যস্ত করোনাভাইরাসের রেপ্লিকা তৈরিতে।
ছবি: পার্থ পাল
এদিন সকালে কেরালার কোঝিকোড়ে করোনা পজেটিভ চার মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে শিশুটি হৃদরোগে ভুগছিল। শিশুটির বাবা-মা সংক্রামিত ছিলেন না। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল। তেঙ্গানার বাসিন্দার ৪৫ বছরের ওই আত্মীয়ের গত রবিবারই মৃত্যু হয়। তার দ্বারাই কোনওভাবে ওই শিশুর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে করোনা পজেটিভ ২৩ হাজার অতিক্রান্ত। সংক্রামিতের সংখ্যা ২৩,০৭৭। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৪৪৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯২১ জন। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৭,৬১০। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৮ জনের।