করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হল। হটস্পট নয় এমন এলাকা হিসেবে ২০৭টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রক। এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়েই চলেছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। করোনায় দেশে মৃত বেড়ে হয়েছে ৩৯২। আক্রান্তদের মধ্য়ে ভারতে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৩৪৩ জন। দেশের মধ্য়ে মহারাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্য়া ২ হাজার ছাড়িয়েছে।
বর্ধিত লকডাউনের সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বর্ধিত লকডাউনে কৃষি, ই-কমার্স ও নির্দিষ্ট কিছু শিল্পকাজকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে। সংশোধিত গাইডলাইন অনুসারে, বিমান, ট্রেন ও সড়ক পরিবহণ পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শিল্প, বাণিজ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বন্ধ রাখতে হবে, সিনেমা হল, শপিং মল, থিয়েটার। কোনও ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জমায়েতও করা যাবে না। বাড়ির বাইরে বা কাজের জায়গায় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় কড়া জরিমানার উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। হটস্পট এলাকা থেকে বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া বা বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল থেকে কৃষি ও কৃষিজাত কার্যকলাপে ছাড় ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে ও খাদ্যপণ্যের যোগান অব্যাহত রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। কৃষি ছাড়াও ছাড়ের আওতায় রয়েছে, ডিজিটাল ইকোনমি, ব্যাঙ্ক, অপরিহার্য দ্রব্য বোঝাই পরিবহণ চলাচল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও সংশ্লিষ্ট সামাজিক কার্যক্রম।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ফের সোচ্চার হলেন রাহুল গান্ধী। টুইটারে কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, ‘করোনা পরীক্ষার কিট কিনতে দেরি করেছে ভারত। দেশে নমুনা পরীক্ষার হার প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্য়ে ১৪৯। আমরা লাওস, নিগার, হন্ডুরাসের মতো দেশগুলির মতো অবস্থায় রয়েছি। করোনা রুখতে গণপরীক্ষা জরুরি। বর্তমানে সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি দেশ”।
লকডাউনের মধ্য়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য় বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে, এ খবর প্রকাশের অভিযোগে এক মারাঠি সাংবাদিককে বুধবার গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। উল্লেখ্য়, লকডাউন ভেঙে ঘরে ফেরার দাবিতে মঙ্গলবার বান্দ্রায় ভিড় করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জমায়েতের ঘটনায় ৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। Read the story in English
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্য়েই বাংলায় সব জুটমিল ও ইটভাটা খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ”রাজ্য়ের সব জুটমিলে কাজ শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগানো হবে”। একইভাবে বাংলায় ইটভাটা খোলার কথা বলেছেন মমতা। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হল। হটস্পট নয় এমন এলাকা হিসেবে ২০৭টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রক।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্য়েই বাংলায় সব জুটমিল ও ইটভাটা খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ”রাজ্য়ের সব জুটমিলে কাজ শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে লাগানো হবে”। একইভাবে বাংলায় ইটভাটা খোলার কথা বলেছেন মমতা। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য় সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার। করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হবে, বুধবার নবান্নে একথা ঘোষণা করলেন রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অন্য়দিকে, উচ্চমাধ্য়মিকের বাকি তিন বিষয়ের পরীক্ষা জুন মাসে করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। বিস্তারিত পড়ুন
কৃষি, একশ দিনের কাজ সহ কয়লা, খনিজ পদার্থ উত্তোলনের কাজগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এতেই গরীব মানুষদের হাতে অর্থ যোগানো সম্ভব বলে মনে করেছে মোদী সরকার। গ্রামীণ অর্থনীতিও এর ফলে সচল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লকডাউন নির্দেশিকা যাতে মেনে চলা হয় তারজন্য কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজ্যগুলোর মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, ‘ ২০ তারিখ থেকে যাতে নির্দেশিকা মেনে কাজ চালু হয় তার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিদের নিয়ে বৈঠক করছেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। পিএমও, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রধান সচিবরাও ওই বৈঠকে হাজির রয়েছেন।’
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক গাইডলাইনকে উদ্ধত করে বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, মনরেগা, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিকরণ, গ্রামীণ এলাকায় শিল্প চালু, সড়ক ও নির্মাণ প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি বিষয় ছাড়ের আওতাধীন করার কাজের সুযোগ তৈরি হবে। গরীবের হাতে টাকা আসবে। বিস্তারিত পড়ুন
২০ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি সব অফিসে কাজ চালু হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় গাইডলাইন নির্দেশিকায় সেই উল্লেখ রয়েছে। নির্দেশিকা মোতাবেক, ২০ তারিখ থেকে অতিরিক্ত সচিব বা তদুর্ধ্ব পর্যায়ের সব কর্মীই কাজে যোগ দেবেন। তবে, গ্রুপ ‘সি’ পর্যায় ও তার নিম্ন স্তরের ৩৩ শতাংশ কর্মী অফিসে আসবেন। বিস্তারিত পড়ুন
গ্রামীণ অর্থনীতিতে সচল রাখতে ১০০ দিনের কাজে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে বিশে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেচ ও জল সংরক্ষণের কাজকে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মোতাবেক ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের শ্রমিকদের মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। স্থানীয় কর্তৃপক্ষই এবিষয়টি নিশ্চিত করবে। এছাড়াও লকডাউনে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য বিক্রি, পণ্য আদান-প্রদানে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বিমানের টিকিট বাতিলের হিড়িকও। তবে বাতিল টিকিটের টাকা ফেরত দিতে নারাজ বিমান সংস্থাগুলো। বদলে, কোনও অতিরিক্ত ফি ছাড়াই পরবর্তী ক্ষেত্রে উড়ানে যাতাযাত করা যাবে। এমনই প্রস্তাব দিচ্ছে উড়ান সংস্থাগুলো।
লকডাউনে আগামী ২০ তারিখ থেকে কিছুটা ছাড় মিলবে। বিশেষ করে হটস্পট বা হটস্পট হতে পারে এমন এলাকা ছাড়া পণ্য পরিবহণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যোগান নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ, পণ্য পরিষেবায় ব্যবহার করা ট্রেন, লরি ও অন্যান্য মাধ্যমকে আটকানো হবে না। এই পরিষেবায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাঠানো যেতে পারে। ফলে হাইওয়েতে ধাবা, ট্রাক-লরি মেরামতির দোকানও খোলা থাকবে। পড়ুন বিস্তারিত
করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সামাজিক দূরত্ব রাখাই একমাত্র উপায়। একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। কিন্তু আদৌ কি যথাযথভাবে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ পালন করা সম্ভব হচ্ছে মানুষের পক্ষে? অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে। তাহলে কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন আপনি, সেটি জানিয়ে দেবে অ্যাপেল এর নতুন ‘টুল’।
ম্যাপ এর অধীনে ‘মবিলিটি ডেটা ট্রেন্ড’ আপনাকে জানিয়ে দেবে কোন রাস্তায় এবং কোথায় মানুষের সংখ্যা বেশি রয়েছে। অ্যাপেল এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। মানুষ কোথায় কোন কমিউনিটিতে যাতায়াত করছে, কোথায় গিয়ে দাঁড়ানো উচিত, সব বলে দেবে এই ‘টুল’। পড়ুন বিস্তারিত
দেশজুড়ে লকডাউনের জন্য বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা, হোটেল পরিষেবা সহ একাধিক ক্ষেত্র। অথচ সব বুকিং বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ছোট বড় সংস্থাগুলো। এর ফলে ব্যবসায় যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে তা পোষাতে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে জিএসটি রিফান্ড দাবি করার অনুমতি দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস। ইনভয়েস জেনারেট হওয়ার পর বুকিং বাতিল হলে জিএসটি রিফান্ড দাবি করতে পারবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। পড়ুন বিস্তারিত
প্রট্রোল পাম্প, এলপিজি, পেট্রোলিয়াম-গ্যাস যোগান, মজুত ও সরবরাহের কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ডাক বিভাগ, ইন্টারনেট, টেলিফোন পরিষেবা ছাড়েও আওতায়।
লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, শিশু, মানসিকভাবে অক্ষম, বয়স্কদের হোমকে। চলবে অঙ্গনওয়াড়ির কাজও। খোলা থাকবে পর্যবেক্ষণ হোনগুলিও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মনরেগার কাজ হবে।
আরবিআই, সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক, এটিএম, সেবির নির্দেশিকার মেনে শেয়ার বাজারের কাজ চলবে। এছাড়াও বিমা কোম্পানিগুলোকেও ছাড়ার আওতায় রাখা হয়েছে।
ফসল উৎপাদন, মান্ডি বা জেলা প্রশাসন নির্ধারিত জায়গা থেকে পাইকারী ও খুচরো কৃষি পণ্য বিক্রি, শস্যের বীজ ও কীটনাশক বিক্রি করা যাবে। সমুদ্রে বা নদী-পুকুরে মৎস চাষ, মাছ পরিবহণ, পশুপালন, দুধ, পোলট্রি, চা, কফি, রাবার চাষকে লকডাউনের মধ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, পোলট্রি, চা, কফি, রাবার চাষে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ করে কর্মী কাজ করতে পারবেন।
গ্রামীন এলাকায় খাদ্য প্রক্রিকরণ, সড়ক নির্মাণ, সেচ, মনরেগার কাজ করা যাবে।
সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও সংশ্লিষ্ট বিষয় চালু থাকবে।
হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, পশু হাসপাতাল খোলা থাকবে। ওষুধ তৈরির কারখানা, মেডিক্যাল সরঞ্জাম চালু হবে।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতো করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১১,৪৩৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১,৩০৫ জন। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত ১৬০ জন। এর পরেই রয়েছে, দিল্লি ও তামিলনাড়ু।