Ceasefire Announced Between India and Pakistan: শনিবার অবশেষে ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সমস্ত ধরণের গুলিবর্ষণ ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, 'দেরিতে হলেও এটা একেবারে সঠিক পদক্ষেপ। যদি দু'দিন আগে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, তবে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত।'
তিনি বলেন, 'ডিজিএমও পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষ সংঘর্ষবিরতি রক্ষায় সম্মত হয়েছে। এখন প্রশাসনের দায়িত্ব হল দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।' জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই সংঘর্ষবিরতি কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি মানবিকতার জয়।
বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার-এ লিখেছেন, 'ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার আপোষহীন অবস্থান বজায় রাখবে। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই চেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন- উত্তেজনা আবহে ট্রাম্পের গর্জন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে কি চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। শনিবারই ঘোষণা করা হয়েছে, ডিজিএমওরা ১২মে ফের বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন- সাক্ষাৎ যমদূত! স্নান করতে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত, এই প্রাণীর বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১,২০০ গুণ শক্তিশালী!
শুক্রবার পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোন হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ভোরে সীমান্তের ওপার থেকে গুলিবর্ষণ ও হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'এই শত্রুতা অব্যাহত থাকলে ক্ষতির শিকার হবে মূলত পাকিস্তানই। তাদের কোনও লাভ হবে না।'
আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে দুরমুশ করতে আরও একধাপ, লাহোর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দিল ভারত
বর্তমানে কাশ্মীর প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর অবস্থা মূল্যায়ন শুরু করেছে। বাড়ি, ফসল, পরিকাঠামোর ক্ষতির হিসেব করে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজে নেমেছে।
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তান তুমুল উত্তেজনার জের! দেশের সবকটি বিমানবন্দরে জারি তুখোড় সতর্কতা
এই সংঘর্ষবিরতি দুই দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। তবে, যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবেই তা সম্ভব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে বহুবার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হলেও সেগুলি খুব অল্প সময়ের জন্যই কার্যকর ছিল। এবার আপাত শান্তি কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটাই দেখার বিষয়।