Deadliest Animal: সাক্ষাৎ যমদূত! স্নান করতে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত, এই প্রাণীর বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১,২০০ গুণ শক্তিশালী!

More Lethal Than Cyanide: বিশ্বে এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যাদের বিষ একবার শরীরে প্রবেশ করলেই মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু আপনি কি জানেন, এমন একটি প্রাণী রয়েছে যার বিষ সায়ানাইডের তুলনায় প্রায় ১,২০০ গুণ বেশি শক্তিশালী? এই প্রাণীটি হল বক্স জেলিফিশ (Box Jellyfish) — এক ভয়ংকর সামুদ্রিক প্রাণী, যাকে 'Silent Killer' নামেও ডাকা হয়।

বক্স জেলিফিশ কী?

বক্স জেলিফিশ মূলত একটি সামুদ্রিক প্রাণী যা মূলত অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পাওয়া যায়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগর উপকূলেও এদের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় জুম চাষ ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে, আদৌ কোনও ভবিষ্যৎ আছে?

বিষের কার্যকারিতা

বক্স জেলিফিশের শরীরে রয়েছে অসংখ্য স্টিঙ্গিং সেল, যেখান থেকে নিঃসৃত হয় প্রবল নিউরোটক্সিন। এই বিষ এতটাই মারাত্মক যে এটি মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্র, হৃদপিণ্ড ও ত্বক এক মুহূর্তেই অকেজো করে দিতে পারে। মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যেই বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন- এবারের বুদ্ধ পূর্ণিমা, যুদ্ধের আবহে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও বাংলাদেশে কীভাবে উদযাপিত হবে?

বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতে বিপদের আশঙ্কা

বক্স জেলিফিশ সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু পছন্দ করে। বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ জলে এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, বরিশাল ও খুলনা উপকূলে এবং ভারতের দিঘা, বকখালি ও সুন্দরবন অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন- আজকের দিনে ইতিহাসে, ১০ মে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা

সাঁতারু ও পর্যটকদের জন্য সতর্কতা

যেহেতু এই প্রাণী স্বচ্ছ ও ছোট আকারের, তাই জলে নামার সময় এগুলোকে সহজে দেখা যায় না। অনেক সময় সাঁতারুরা বুঝতেই পারেন না যে তারা বক্স জেলিফিশের সংস্পর্শে এসেছে। অতএব:

• জলে নামার আগে স্থানীয় সতর্কবার্তা লক্ষ করুন

• রাতের বেলা ও গরমের সময় সমুদ্রে না নামাই ভালো

• স্টিং হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন

চিকিৎসা ও প্রতিকার

বর্তমানে বক্স জেলিফিশের (deadliest animal box jellyfish) বিষের কোনও নিশ্চিত প্রতিষেধক নেই। তবে ভিনেগার দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ধোয়া যেতে পারে, যা কিছুটা বিষক্রিয়া হ্রাস করতে পারে। তা সত্ত্বেও, চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়া এ বিষ থেকে বাঁচা প্রায় অসম্ভব।

আরও পড়ুন- পায়ের কড়ার যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? কোথাও ছুটতে হবে না, দেখে নিন কীভাবে ঘরোয়া কায়দায় মিলবে দ্রুত আরাম!

কেন এই তথ্য জরুরি?

এই ধরনের প্রাণীর সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যেসব অঞ্চল সমুদ্র উপকূলবর্তী— যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও বাংলাদেশ। একদিকে এই তথ্য জীবন রক্ষা করতে পারে, অন্যদিকে এটি আমাদের পরিবেশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সম্পর্কেও সচেতন করে তোলে।