Jammu and Kashmir News Updates: জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল (দ্বিতীয় সংশোধন)। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এখন থেকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকছে। কিন্তু লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। এদিন সকালে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। Read the full story on J K NEWS in English
বিস্তারিত পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা আসলে কী? কোথা থেকে এল এই আইন?
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখালেন পিডিপির দুই সাংসদ নাজির আহমেদ ও এমএম ফায়েজ। ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব পেশের পরই প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ধিক্কার জানিয়েছে কংগ্রেস। ‘ঐতিহাসিক ভুল শোধরাচ্ছে মোদী সরকার’, এ ভাষাতেই টুইট করলেন বিজেপির রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘‘এটা সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত, ঐতিহাসিক’’। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সরকারের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জম্মু-কাশ্মীর-সহ দেশের স্বার্থের জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল’’।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটারে মেহবুবা লিখেছেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজ কালো দিন’’। পাশাপাশি পিডিপি নেত্রী লিখেছেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
Live Blog
Jammu and Kashmir News Updates: জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব সরকারের। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
#WATCH Delhi: Prime Minister Narendra Modi arrives at the Parliament. pic.twitter.com/yzx4P6u8pv
— ANI (@ANI) August 5, 2019
কাশ্মীরে ছন্দপতন, তবে স্বাভাবিক ছন্দে লে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতোই লে-তে সকাল থেকেই খুলেছে স্কুল-কলেজ। এখানে জারি করা হয়নি ১৪৪ ধারা।
#WATCH Jammu & Kashmir: Latest visuals from Leh. People carry out their daily chores normally. Classes in schools, colleges and other educational institutions resumed normally today. Restrictions under Section 144 CrPC have not been imposed in the region. pic.twitter.com/SD8FtNvuI3
— ANI (@ANI) August 5, 2019
জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংসদ চত্বরে বৈঠকে বসল বিরোধীরা। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার জন্য নোটিস দিয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ। সিপিআই, সিপিএম, আরজেডি, আপ, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন।
নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মুও। জম্মুর বিক্রমচকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
#WATCH: Latest visuals from Vikram Chowk in Jammu; security has been tightened in the city. #JammuandKashmir pic.twitter.com/qW7SJFsHm8
— ANI (@ANI) August 5, 2019
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একটু পরেই রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করবেন অমিত শাহ। কী বলেন মোদী সেনাপতি, সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল।
#Delhi: Union Home Minister Amit Shah leaves from 7 Lok Kalyan Marg after the Union Cabinet meeting concludes. pic.twitter.com/fg6Y0VQHdL
— ANI (@ANI) August 5, 2019
শ্রীনগরে জারি ১৪৪ ধারা। চারদিকে রাস্তা শুনশান। শুধুই চলছে পুলিশি টহল।
#WATCH: Security forces deployed in Srinagar in view of the imposition of section 144 CrPC from midnight 5th August. pic.twitter.com/lXiuzB9rQJ
— ANI (@ANI) August 5, 2019
আজ রাজ্যসভায় জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল ২০১৯ পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ১ জুলাই লোকসভায় এই বিলটি পাস করা হয়। যদি এই বিলটি রাজ্যসভায় পাস হয়, তবে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ রাজ্যসভায় ভাষণ দেবেন শাহ। লোকসভায় দুপুর ১২টা নাগাদ বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংসদে আছড়ে পড়ল কাশ্মীর উত্তাপ। কাশ্মীর ইস্যুতে সংসদের সামনে কালো ব্যান্ড পরে প্রতিবাদে শামিল পিডিপির রাজ্যসভার সাংসদ নাজির আহমেদ ও মীর মহম্মদ ফায়েজ। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জিরো আওয়ার নোটিস দিয়েছেন পিডিপি সাংসদরা। ছবি: অনীল শর্মা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। মোদীর বাসভবনে চলছে বৈঠক। সাধারণত প্রতি বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এ সপ্তাহে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
কাশ্মীর ইস্যুতে সংসদে নোটিস দিলেন কংগ্রেস নেতারা। নোটিস দিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, কে সুরেশ, অধীর চৌধুরী, মনীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনি-সহ অন্যরা।
Congress MPs Adhir Ranjan Chowdhury, K Suresh and Manish
Tewari have given Adjournment Motion notice in Lok Sabha, over Kashmir issue. (file pics) pic.twitter.com/ny51FSlwNN— ANI (@ANI) August 5, 2019
লাদাখে জারি করা হয়নি ১৪৪ ধারা। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে লাদাখে খুলেছে স্কুল। লাদাখে কলেজেও শুরু হয়েছে পঠনপাঠন।
Jammu & Kashmir: Schools to reopen normally today in Ladakh region after summer vacations, classes to resume normally in colleges and other educational institutions too. Restrictions under Section 144 CrPC have not been imposed in the region.
— ANI (@ANI) August 5, 2019
লাদাখে জারি করা হয়নি ১৪৪ ধারা। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে লাদাখে খুলেছে স্কুল। লাদাখে কলেজেও শুরু হয়েছে পঠনপাঠন।
Jammu & Kashmir: Schools to reopen normally today in Ladakh region after summer vacations, classes to resume normally in colleges and other educational institutions too. Restrictions under Section 144 CrPC have not been imposed in the region.
— ANI (@ANI) August 5, 2019
যাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, যাঁরা শান্তির জন্য লড়াই করেছেন, আজ তাঁদেরইৃকেই গৃহবন্দি করা হল। গোটা দুনিয়া দেখছে কীভাবে জনগণের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, টুইট পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। রবিবার মধ্যরাতে গৃহবন্দি করা হয়েছে মেহবুবাকে।
How ironic that elected representatives like us who fought for peace are under house arrest. The world watches as people & their voices are being muzzled in J&K. The same Kashmir that chose a secular democratic India is facing oppression of unimaginable magnitude. Wake up India
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) August 4, 2019
সকাল সাড়ে ৯টায় আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে মোদী সরকার। আজকের বৈঠকে ঠিক কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
Delhi: Union Cabinet to meet today at 9.30 am, at 7 Lok Kalyan Marg (in pic). pic.twitter.com/9eLHcMW8tc
— ANI (@ANI) August 5, 2019
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা-সহ নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিস থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আর এন রবিকেও। অমিত শাহের সঙ্গে তিনি আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন না কি ওই বৈঠকেই ছিলেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
শুনশান কাশ্মীর। শুধুই নিরাপত্তা বাহিনীর টহল উপত্যকায়। চারদিক যেন খাঁ খাঁ করছে।
Jammu & Kashmir: Security tightened in Srinagar in view of the imposition of section 144 CrPC from midnight 5th August. pic.twitter.com/qErNGidUDi
— ANI (@ANI) August 5, 2019
রবিবার গভীর রাতে ১৪৪ ধারা জারি করার কিছুক্ষণ আগে গৃহবন্দি করা হয় রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বকে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি। এই পদক্ষেপের আঁচ যে আগেই পাওয়া গেছে, তার প্রমাণ মিলেছিল ওমর আব্দুল্লার টুইট থেকেই।
I believe I’m being placed under house arrest from midnight tonight & the process has already started for other mainstream leaders. No way of knowing if this is true but if it is then I’ll see all of you on the other side of whatever is in store. Allah save us 🙏🏼
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) August 4, 2019
অন্যদিকে, ৩১ জুলাই থেকে ১ আগস্টের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়েছিল পাক সেনাবাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয় । সাদা পতাকা দেখিয়ে নিহতদের দেহ ফিরিয়ে নিতে বলা হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। শনিবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, এসএসজি কমান্ডার অথবা সম্ভাব্য জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের করার চেষ্টা করেছিল কেরান অঞ্চলে।
রাজ্যসভায় পাস করা হল জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল (সংশোধিত ২)।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পিছনে অন্য রহস্য দেখতে পাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, সংসদে কোনও বিবৃতি নেই, কোথাও কোনও আলোচনা নেই, এভাবে একতরফা সিদ্ধান্তে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করে, এই ধারা যোগ না হলে কাশ্মীর ভারতেই থাকত না। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন নিল বিজেপি, সেই প্রশ্ন তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ৩৭০ ধারা রদের পিছনে ‘রহস্য’ দেখছে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম
মুখে একগাল দাড়ি। অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন তিনি। পিছনে ব্যানার টাঙানো। তাতে লেখা ‘বাতিল করা হোক ৩৭০ ধারা, সন্ত্রাস শেষ হোক, গণতন্ত্র বাঁচাও’। মাঝে কেটে গেছে বহু বছর। এখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে। ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ’ করলেন। তিনি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে যখন তোলপাড় দেশ, ঠিক সে সময় মোদীরই একটি পুরনো ছবি টুইট করে হইচই ফেলে দিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে মোদীর বিক্ষোভ প্রদর্শনের সেই ছবি টুইট করে বিজেপি নেতা রাম মাধব লিখেছেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি পূরণ’’ হল। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে যুবা মোদীর ‘কথা রাখলেন’ প্রধানমন্ত্রী মোদী
৩৭০ ধারা রদ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে অনুন্নয়নের জন্য দায়ী ৩৭০ ধারা ও ৩৫ এ। কারণ এই ধারাগুলির জন্যই রাজ্যে গণতন্ত্র কখনই প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। রাজ্যে দুর্নীতি ক্রমশ বাড়ছিল। কোনও উন্নয়ন হয়নি’’।
জম্মু কাশ্মীরের সঙ্গে তাদের নাড়ির যোগ রয়েছে, এমনটা বরাবর বিশ্বাস করে এসেছে বিজেপি, বিশেষ করে কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে দলের জন্মলগ্নের একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এই যোগসূত্র যাঁর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে, তিনি প্রখ্যাত বঙ্গসন্তান ডাঃ শ্যমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় – সুবিখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষাবিদ, এবং একদা জওহরলাল নেহরুর ক্যাবিনেট মন্ত্রী, যাঁর মৃত্যু হয় ২৩ জুন, ১৯৫৩ সালে, শ্রীনগর জেলে, যেখানে সরকারি নিষিদ্ধকরণ-নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার অপরাধে তাঁকে বন্দী করেছিল শেখ আবদুল্লার সরকার। মৃত্যুর দু’বছর আগে, ১৯৫১ সালে, শ্যামাপ্রসাদ গঠন করেন আরএসএস-এর রাজনৈতিক শাখা, নাম হয় ভারতীয় জন সঙ্ঘ, যা কালক্রমে হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বিস্তারিত পড়ুন
কাশ্মীর প্রসঙ্গে পরোক্ষে মোদী সরকারের পাশেই দাঁড়ালেন ইরফান পাঠান। কাশ্মীরে পরিস্থিতি বেশ বিপজ্জনক। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উপত্যকায়। পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের বিপক্ষে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তারপরেই ইরফান পাঠান সরাসরি জানালেন, দেশের সেনাবাহিনীর জন্য তাঁর হৃদয় কাঁদছে। বিস্তারিত পড়ুন, কাশ্মীরে মোদী সরকারের পাশেই পাঠান, বিস্ফোরক মন্তব্যে টেনে আনলেন ধর্মও
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সরকারের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জম্মু-কাশ্মীর-সহ দেশের স্বার্থের জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল’’।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর পাকিস্তানের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাকিস্তানের দাবি নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত বিরোধী পদক্ষেপ করেছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত সরকার এককভাবে এই মর্যাদা বদল করতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান এ সিদ্ধান্ত কোনও দিন মেনে নেবে না। এই আন্তর্জাতিক বিতর্কিত বিষয়ের অংশীদার হওয়ায় পাকিস্তান বেআইনি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেবে।” বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত বিরোধী: পাকিস্তান
৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করে সরব হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এদিন রাজ্যসভায় চিদম্বরম বলেন, ‘‘কয়েক মুহূর্তে আপনারা ভাবতে পারেন যে, আপনারা জয়লাভ করেছেন। কিন্তু এটা ভুল। আপনারা যে ভুল করলেন, তা ইতিহাসই প্রমাণ করে দেবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বুঝবে, আজ সংসদে কী ভুল করা হল’’।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাবের পরই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হল। দিল্লি মেট্রোয় রেড অ্যালার্ট জারি করা হল। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) নেটওয়ার্কজুড়ে চরম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ায় মেট্রো স্টেশনে সিকিউরিটি চেক জোরদার ভাবে করা হচ্ছে। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ৩৭০ ধারা রদ, দিল্লি মেট্রোয় জারি রেড অ্যালার্ট
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আজকের সোমবারের দিনটা কালো দিন। সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন আজ। সংবিধানের জন্য কালো দিন, রাজ্যসভার জন্য কালো দিন’’।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই কার্যত উৎসবের মেজাজে শিবসেনা। মিষ্টি বিতরণ করলেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
জম্মু -কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। সোমবার সকাল থেকেই নিম্নমুখী ছিল সেনসেক্স। রাজ্যসভায় অমিত শাহের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাবের খবরেই ফের ছন্দে ফিরল শেয়ার বাজার। সোমবারের সকালে শেয়ার বাজার খুলতেই বিএসই সেনসেক্সের সূচকে বড় পতন হয়েছিল। এক ধাক্কায় সেনসেক্স নেমেছিল ৬৫০ পয়েন্ট। নিফটি নেমে আসে ১০,৮০০ পয়েন্টের নিচে। বেলা গড়ালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই নির্দেশে সই করার সঙ্গে সঙ্গেই ফের ঊর্ধ্বমুখী হয় সেনসেক্স। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের খবরে ছন্দে ফিরল সেনসেক্স-নিফটি
আজই রাজ্যসভায় পাস হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। সম্ভবত কালই লোকসভায় আনা হবে এই বিল।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছে বিজেপি। রাতে চোরের মতো আচরণ করছে সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলে আরও ভোট পেতে সুবিধা করবে বিজেপিকে। কখনও ভাবিনি যে এভাবে জম্মু-কাশ্মীরকে ধ্বংস করা হবে। জম্মু-কাশ্মীরের পরিচয়কে ধুলিস্মাৎ করেছে বিজেপি। একইসঙ্গে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে’’।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার প্রস্তাবের বিরোধিতা জানিয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টেয় পার্লামেন্ট স্ট্রিটে বিক্ষোভ প্রদর্শন বামেদের।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে টুইটারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি। আশা করছি, এর ফলে রাজ্যে উন্নয়নে গতি আসবে’’।
বিগত কয়েক দিন ধরে চলা জল্পনাই সত্যি হল। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পথেই এগোল মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হল। রাজ্যসভায় যে বিল অমিত শাহ পেশ করেছেন, তার মূল বিষয় ছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া। এই ধারার মধ্যে দিয়েই বিশেষ মর্যাদার তকমা পেত কাশ্মীর। এই বিল পেশের পরেই রাজ্যসভায় চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। সেই হট্টগোলের জন্য শাহের বিবৃতির পরেই রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার; কী রয়েছে নির্দেশে?
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাল বসপা, বিজেডি, শিবসেনা, ওয়াইএসআরসিপি, আপ। অন্যদিকে, বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও জেডিইউ।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটারে মেহবুবা লিখেছেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজ কালো দিন’’। পাশাপাশি পিডিপি নেত্রী লিখেছেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ বলে বর্ণনা করলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। টুইটারে সুষমা লিখেছেন, ‘‘এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’’।
‘ঐতিহাসিক ভুল শোধরাচ্ছে মোদী সরকার’, এ ভাষাতেই টুইট করলেন বিজেপির রাজ্যবর্ধন রাঠৌর।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাল বিএসপি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় বসপা সাংসদ সতীশ চন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘আমাদের দল সম্পূর্ণ সমর্থন করছে। আমরা চাই বিল পাস করা হোক। ৩৭০ ধারা নিয়ে আমরা কোনও বিরোধিতা করছি না’’।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখালেন পিডিপির দুই সাংসদ নাজির আহমেদ ও এমএম ফায়েজ। ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব পেশের পরই প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা।ছবি: রেণুকা পুরী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পথেই এগোল মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে আইনসভা থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লাদাখে কোনও আইনসভা থাকবে না, এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহের এই প্রস্তাবে তুমুল প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। রাজ্যসভায় অমিত শাহের বিবৃতি পেশের সময়ই তুমুল হট্টগোল জুড়ে দেন বিরোধীরা। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে বাতিল ৩৭০ ধারা, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ জোড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মুকাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে কাশ্মীর ও সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ: কী, কেন, কোথা থেকে এল
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দিলেন অমিত শাহ। তবে জম্মু-কাশ্মীরে আইনসভা থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লাদাখে কোনও আইনসভা থাকবে না, এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জম্মু- কাশ্মীর নিয়ে বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। ৩৭০ ধারা তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এ সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা।