Justice Sanjeev Khanna: দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন বিচাপতি সঞ্জীব খান্না। বিচারপতি খান্না, ১৯৮৩ সালে আইনের প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সোমবার দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। বিচারপতি খান্না ১৩ মে, ২০২৫ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে আসীন থাকবেন। বিচারপতি হওয়ার আগে, তিনি ১৯৮৩ সালে তিস হাজারী আদালতে আইনের প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি দিল্লি হাইকোর্টেও প্র্যাকটিস করেছেন এবং এখন আগামী ছয় মাসের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় চরম অঘটন! তরুণীর মর্মান্তিক পরিণতির নেপথ্যের ঘটনায় তাজ্জব হবেন!
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ১৪ মে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লি বার কাউন্সিলের একজন মেম্বার হিসাবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে তিস হাজারী কমপ্লেক্সের অবস্থিত জেলা আদালতে অনুশীলন করেন এবং পরে দিল্লি হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালে প্র্যাকটিস শুরু করেন। আয়কর দপ্তরের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৪ সালে তিনি দিল্লির স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল (সিভিল) হিসেবে নিযুক্ত হন।
বিচারপতি খান্না ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৬ সালে ওই হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বিচারপতি খান্না বর্তমানে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বিচারপতি খান্না অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অংশ ছিলেন। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সবুজ সংকেত দেওয়া বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি খান্না। বিচারপতি খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ED মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল।
'আলোর শহর' ফুটছে উৎসবের উষ্ণতায়! বাড়ি বসেই দেখুন প্রতিমা নিরঞ্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
বিচারপতি খান্না সেই ডিভিশন বেঞ্চের অংশ ছিলেন, যে বেঞ্চ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছে। তিনি সেই বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন যে বেঞ্চ ২০১৮ সালের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি অবৈধ বলে ঘোষণা করে। ২৬ এপ্রিল, বিচারপতি খান্নার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ ইভিএম কারচুপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন ব্যালটে ফিরে যাওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। বিচারপতি খান্না দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেব রাজ খান্নার ছেলে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এইচ আর খান্নার ভাগ্নে।