Indus Waters Treaty On Hold: পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার পরই কড়া পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানের সাথে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা করেছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তে পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, শিমলা চুক্তি-সহ একাধিক চুক্তি স্থগিত ও বাণিজ্যও বন্ধ করার।
এবার এই বিষয়ে, জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব দেবশ্রী মুখোপাধ্যায় পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিবকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে "ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হচ্ছে।" বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ভারত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার মতামত জানিয়ে দিয়েছে।
সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্সের বার্তা আরও জোরালো হয়েছে।
সরকারী চিঠিতে চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা
জলবিদ্যুৎ মন্ত্রকের সচিব দেবশ্রী মুখার্জি পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, "ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হচ্ছে।" ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরান ভ্যালিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে বেড়াতে আসা নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় কমপক্ষে ৫-৬ জন জঙ্গি।
হামলায় ২৬ জন নিহত হন
লস্কর-ই-তৈয়বা-র ছায়া সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারতের এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারত বারবার বলে এসেছে— সন্ত্রাস ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্যে একসঙ্গে চলা যায় না। এবার সেই বার্তা আরও একধাপ বাস্তব রূপ পেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তি স্থগিত হওয়ায় পাকিস্তানে চাষাবাদ, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ উৎপাদন—সবেতেই এর প্রভাব পড়তে পারে।সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীর উপর পাকিস্তান অনেকটাই নির্ভরশীল। এখন এই চুক্তি বাতিলের ঘোষণায় পাকিস্তানে ব্যাপক জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে।
পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার পর শুক্রবার সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শুক্রবার কাশ্মীরে পৌঁছেছেন। সেনা সূত্রে জানা গেছে, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম.ভি. সুচিন্দ্র কুমার। সফরকালীন সময়ে সেনা প্রধান কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সন্ত্রাস দমন অভিযান এবং সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবেন। এবিষয়ে এক সেনা কর্তা বলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে সেনাপ্রধান নির্দেশ দিচ্ছেন। এই পদক্ষেপ বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।”