Rajnath Singh Warning On Pahalgam Terrorist Attack: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার দিল্লিতে জোরালো পদক্ষেপের শক্তিশালী বার্তা দিয়ে বলেন, “যারা ভারতকে আঘাত করার সাহস করে, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন পহেলগাঁও হামলার পর থেকে সীমান্তে সেনাবাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে। একইসাথে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় সেনাবাহিনীকে "সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা" দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
বাবা ফেরিওয়ালা, রাজমিস্ত্রির কাজ করে মাধ্যমিকে তাক লাগানো ফল, ভবিষ্যতের লক্ষ্য জানলে গর্ব হবে
রাজনাথ সিং আরও বলেন, “আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আপনারা যেটা আশা করছেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।”
মোদী সরকারের অধীনে এর আগেও উরি (২০১৬) ও পুলওয়ামা (২০১৯) হামলার পর যথাক্রমে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বালাকোট বিমান হামলার মাধ্যমে জবাব দিয়েছিল ভারত।
জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরান ভ্যালিতে হামলার একদিন পর রাজনাথ সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা শুধু যারা হামলা চালিয়েছে তাদের নয়, যারা পর্দার আড়ালে বসে এই ষড়যন্ত্র করেছে, তাদেরও চিহ্নিত করব এবং সকলকে বিচারের আওতায় আনব।”
প্রয়াত যোগগুরু পদ্মশ্রী পুরষ্কার প্রাপ্ত বাবা শিবানন্দ, ১২৯ বছরে নিভল জীবন প্রদীপ
গতকাল ফের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ টেনে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা সকলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুব ভালো করে চেনেন, তাঁর কাজের ধরণ এবং দৃঢ়তার সঙ্গে আপনারা পরিচিত। জীবনে তিনি যে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা শিখেছেন তাও আপনারা জানেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আপনারা যা চান, তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে'।
'তাড়ানো হবে পাকিস্তানিদের'! লাখো ভারতীয়দের আবেগ ছুঁয়ে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
২২শে এপ্রিল, জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে কয়েক ডজন পর্যটকের উপর নির্বিচারের গুলি চালায়, যার ফলে একজন বিদেশী সহ ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকায় এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সহযোগী রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। যার পর ভারত সকল ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে।