ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার রানা কাপুরকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে শনিবার রাত তিনটে নাগাদ মুম্বইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাতে রানা কাপুরকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। জেরায় ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
রবিবারই রানা কাপুরকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ১১ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনবে এসবিআই
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ডিএইচএফএল, ডিওআইটিইউভি সহ বেশ কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে রানা কাপুরের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঘুষের টাকা জমা পড়েছিল বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেদের দিল্লি ও মুম্বইয়ের বাসভবন এবং দফতরেও।
গত বৃহস্পতিবার, ইয়েস ব্যাঙ্কে লেনদেনের আর্থিক মূল্য বেঁধে দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। আগামী এক মাসের জন্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরবিআইয়ের নির্দেশিকায় ব্যাঙ্কের সমস্ত অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধের কথাও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ইয়েস সংকট: ‘দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছেন মোদী’
ইয়েস সঙ্কটের পর পরই শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছিলেন যে, টাকা তোলার ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত থাকবে। দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে। ইয়েস ব্যাঙ্কের দুরাবস্থা প্রসঙ্গে কংগ্রেস অবশ্য মোদী সরকারকেই দুষেছিল। টুইটারে মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী লিখেন, ‘‘নো ইয়েস ব্যাঙ্ক, মোদী ও তাঁর ভাবনা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে’’।
এদিকে, ইয়েস ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে আসরে নামল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ইয়েস ব্যাঙ্কেরর ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। চেয়ারম্যানের ঘোষণা সমস্যা জর্জরিত ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কিনতে এসবিআইয়ের ব্যায় হবে ২, ৪৫০ কোটি টাকা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন