Temple: জাগ্রত ১০০ বছরের পুরোনো মন্দির! এখান থেকে খালিহাতে ফেরেন না ভক্তরা

100-years-old Temple: শতবর্ষ প্রাচীন এই দেবীর মন্দিরে ভক্তরা আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। জানুন, এই মন্দিরের ইতিহাস, পুজোর সময় এবং অলৌকিক ঘটনার কথা।

100-years-old Temple: শতবর্ষ প্রাচীন এই দেবীর মন্দিরে ভক্তরা আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। জানুন, এই মন্দিরের ইতিহাস, পুজোর সময় এবং অলৌকিক ঘটনার কথা।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Devi Bagala: দেবী বগলা

Devi Bagala: দেবী বগলা।

100-years-old Temple: বাংলার অলিগলিতে রয়েছে বহু মন্দির। যার মধ্যে অনেকগুলোই বেশ জাগ্রত। কয়েকটি আবার বেশ প্রাচীনও। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সব মন্দিরে বছরের পর বছর ভিড় করেন। সেখান থেকে বিগ্রহের আশীর্বাদে জীবনের নানা মনস্কামনা পূর্ণ করেন। দূরের অনেকে এই সব মন্দিরগুলোর ব্যাপারে জানেন না। তাঁরা আত্মীয়-পরিজন বা বিভিন্ন মাধ্যমে এই সব মন্দিরের খোঁজ পান। আর, সেখানে ছুটে যান।  

Advertisment

কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে?

এমনই একটি প্রাচীন এবং জাগ্রত মন্দির- দমদম নাগেরবাজারের মা বগলামুখী মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা যা মনস্কামনা করেন, তা দেবী পূরণ করে থাকেন। শিয়ালদহ উত্তর সেকশনে দমদম অতি পরিচিত জংশন। প্রায় সব লোকাল ট্রেনই সেখানে থামে।

আরও পড়ুন- মে মাসজুড়ে বাজবে বিয়ের সানাই, জেনে নিন এই মাসে বিয়ের শুভ দিনগুলো

Advertisment

দমদম স্টেশন থেকে বেরিয়ে নাগেরবাজারে যাওয়ার বাস বা অটো ধরতে হবে। নামতে হবে মতিঝিল গার্লস স্কুল স্টপেজে। যেদিকে নামবেন, রাস্তা পার হয়ে তার উলটোদিকে বাসন্তী সুইটসের পাশের গলিতে ঢুকে পড়তে হবে। ওই গলিতে তিন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যেতে পারবেন দেবী বগলামুখীর মন্দিরে।  

আরও পড়ুন- যমুনোত্রী থেকেই কেন শুরু হয় পবিত্র চারধাম যাত্রা? জানুন এর পিছনে রয়েছে কোন রহস্য

এই মন্দির (Hindu) শতবর্ষ প্রাচীন। দুপুরে ১২টা থেকে পুজো (pujo) শুরু হয়। চলে দেড়টা পর্যন্ত। সন্ধ্যাবেলায় সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় পুজো। চলে ৯টা পর্যন্ত। একশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাধিকাপ্রসাদ সান্যাল।

আরও পড়ুন- শুক্রের রাশি পরিবর্তন! মেষে প্রবেশে কাদের ভাগ্যে আসছে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি, আপনিও কি সেই দলে?

যেখানে এই মন্দির, তার মাটির নীচে ছিল দেবীমূর্তি। সেকথা তিনি স্বপ্নাদেশেই জানতে পেরেছিলেন। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে দেবীর মূর্তি উদ্ধার করেছিলেন রাধিকাপ্রসাদ। এই মন্দিরে প্রতিদিন দেবীর অন্নভোগ হয় সকালে। সন্ধ্যায় দেবীকে দেওয়া হয় ফলের নৈবেদ্য। 

আরও পড়ুন- গভীর হবে প্রেম, আজ দাম্পত্যে চরম সুখ পাচ্ছেন কারা?

দেবীর দশমহাবিদ্যার একটি রূপ হল দেবী বগলা। ভক্তরা জানিয়েছেন, একবার এই মন্দিরে পুজো চলাকালীন হলুদ শাড়ি পরা এক নাবালিকা মন্দিরে ঢুকেছিল। সে আসার পর এই মন্দিরে নানা অলৌকিক কাহিনি ঘটে। ওই নাবালিকাকে আর মন্দির থেকে বের হতে দেখা যায়নি। তারপর থেকে এই মন্দিরের খ্যাতি আরও ছড়ায়। বিয়ে, চাকরিতে বাধা-সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। ভক্তদের দাবি, তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়।  

Temple pujo Hindu