/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/02/aparajita-puja-2025-10-02-05-40-24.jpg)
Aparajita Puja: অপরাজিত পূজা।
Puja 2025: দুর্গাপূজার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু আচার-অনুষ্ঠান। এর মধ্যে অন্যতম হল অপরাজিতা দুর্গা পূজা। দেবী দুর্গার আরেক রূপ হিসেবে অপরাজিতা পূজিত হন। ঈশানকোণের অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে অপরাজিতা বলা হয়। ঋগ্বেদ, আশ্বলায়ন গৃহ্যসূত্র, মনুসংহিতা এবং দেবীপুরাণে দেবী অপরাজিতার উল্লেখ পাওয়া যায়।
ঈশানকোণ ও অপরাজিতা দিক
শাস্ত্র মতে, উত্তর-পূর্ব দিক বা ঈশানকোণ দেবী অপরাজিতার বিশেষ স্থান। তাই এই দিককে “অপরাজিতা দিক” বলা হয়। পূজা চলাকালীন সময়ে এই দিকেই দেবীকে আহ্বান করা হয়। ‘অপরাজিতা’ শব্দের অর্থ— যাঁকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। দেবী সর্বদা দৈত্য ও অসুরদের বিনাশ করে বিজয় লাভ করেন। তাই তাঁকে বিজয়া ও অপরাজিতা নামেও অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুন- রাহুর অশুভ প্রভাব কাটাতে দুর্গার এই রূপের জুড়িমেলা ভার! কীভাবে করবেন আরাধনা?
দেবীপুরাণে বলা হয়েছে, দৈত্যরাজ পদ্মকে বধ করার পর দেবী বিজয়া নামে খ্যাত হন এবং অপরাজিতা নামেও পূজিতা হন। মনুসংহিতায় বানপ্রস্থাশ্রমী সাধকদের জন্য অপরাজিতা দিকের উল্লেখ রয়েছে। ছান্দোগ্য উপনিষদে ব্রহ্মার নগরীর নাম অপরাজিতা বলা হয়েছে। শ্রীচণ্ডীতে দেবতারা দেবীকে অপরাজিতা বলে সম্বোধন করে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝান্ডি, মোহময়ী দৃশ্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরাবেই
দুর্গাপূজার বিজয়াদশমীর দিন ঘট বিসর্জনের পর অপরাজিতা পূজা করা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঈশানকোণে অষ্টদল পদ্ম এঁকে তার ওপর অপরাজিতা লতা রেখে দেবীর পূজা করার প্রথা প্রচলিত। পূজার শেষে অপরাজিতা লতা ছোট ছোট পুঁটলিতে বেঁধে ভক্তদের হাতে বাঁধা হয়। যা দেখে অনেকে একে রাখিবন্ধন প্রথার সঙ্গেও তুলনা করেন। অপরাজিতা দেবীর ধ্যানমন্ত্রে তাঁকে চতুর্ভুজা, পীতবস্ত্রা, শঙ্খচক্রধারিণী এবং ভয়নাশিনী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য মন্ত্রে তাঁকে নীলপদ্মবর্ণা, সর্পাভরণধারিণী ও ত্রিনয়নী রূপেও জানা যায়।
আরও পড়ুন- দুর্গাপূজায় থিমের ছড়াছড়ি, প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নানা জিনিস দিয়ে, শাস্ত্রে কী বলা আছে?
বৌদ্ধ তন্ত্রগ্রন্থেও অপরাজিতা দেবীর উল্লেখ রয়েছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেবী অপরাজিতার ভগ্নমূর্তি পাওয়া গেছে। কলকাতা মিউজিয়ামেও দেবীর একটি প্রাচীন মূর্তি সংরক্ষিত আছে। অপরাজিতা পূজা মূলত বিজয়, সর্ববিঘ্ন বিনাশ এবং সর্বকাম পূরণের জন্য করা হয়।
আরও পড়ুন- পুজোর মধ্যেই বাংলার ছেলের এশিয়া জয়, জোড়া সোনা জিতে দেশের গৌরব অঙ্কিত
দুর্গাপূজার সমাপ্তির আগে এই পূজা করার মাধ্যমে ভক্তরা জীবনের সব বাধা দূর করে সাফল্য কামনা করে। অপরাজিতা দুর্গা হলেন শক্তির অপরাজেয় রূপ। বৈদিক যুগ থেকে তিনি আজও পূজিতা হয়ে আসছেন। এই ঐতিহ্যের কারণেই ২০২৫ সালের দুর্গাপূজার সময়ও অপরাজিতা পূজা সকল ভক্তের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us