Buddha Purnima 2025: বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব, যা গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিপ্রাপ্তি ও মহাপরিনির্বাণ— এই তিনটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়। ২০২৫ সালে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে ১২ মে, সোমবার। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম এবং বাংলাদেশে (Bangladesh) এই উৎসব ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে বুদ্ধ পূর্ণিমা
কলকাতা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, ও কালিম্পং জেলার বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে বুদ্ধ পূর্ণিমা অত্যন্ত উৎসাহ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ উপবাস, প্রার্থনা, ধ্যান এবং ধর্মীয় উপদেশ দেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধের মূর্তিতে ফুল, ধূপ ও প্রদীপ নিবেদন করেন। রাজ্যে শান্তিনিকেতন ও বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগ্রহও বেড়ে যায় এই সময়।
আরও পড়ুন- আজ শনিবার ১০ মে, কলকাতার সঙ্গে ত্রিপুরা-অসম-বাংলাদেশেও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা
ত্রিপুরায় উদযাপন
ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলা, খোয়াই ও ধর্মনগরের বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠে এই উৎসব খুবই আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। ত্রিপুরার ত্রিপুরেশ্বরী বৌদ্ধ মন্দির, শান্তিনিকেতন বিহার-সহ বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ভক্ত জমায়েত হন।
আরও পড়ুন- আজকের দিনে ইতিহাসে, ১০ মে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা
অসমে বুদ্ধ পূর্ণিমা
অসমে বরাক উপত্যকা ও কাজিরঙা অঞ্চলের বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয় বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বিশেষভাবে নামঘর, গুম্ফা ও বিহারগুলোতে আলো ও ধূপের ব্যবস্থা থাকে।
আরও পড়ুন- পায়ের কড়ার যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? কোথাও ছুটতে হবে না, দেখে নিন কীভাবে ঘরোয়া কায়দায় মিলবে দ্রুত আরাম!
বাংলাদেশে বুদ্ধ পূর্ণিমা
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলে বুদ্ধ পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। মহাস্থবিরদের নেতৃত্বে ধর্মোপদেশ, পাঠ, ধ্যান ও দান-ধর্ম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা, কক্সবাজার ও ময়মনসিংহেও বৌদ্ধ ভক্তরা এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন ব়্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
আরও পড়ুন- গরমে ত্বক রাখুন ব্রণ ও ধুলোমুক্ত, ঘরে বানানো এই মিশ্রণেই মিলবে ফ্রেশ লুক!
ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব
বুদ্ধ পূর্ণিমা কেবলমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি মানবতা, অহিংসা ও সত্যের প্রতীক। এই দিনে অনেকেই গরিব ও দুস্থঃদের দান করেন এবং আত্মিক শুদ্ধির জন্য উপবাস করেন। বিভিন্ন জায়গায় আলোয় বৌদ্ধ বিহারগুলো সাজানো হয়, যা এই উৎসবকে আরও সুন্দর করে তোলে।
সামাজিক মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রচার
বর্তমানে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবেও বিভিন্ন ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
এবছর পরিস্থিতি আলাদা
তবে এবছর পরিস্থিতি আলাদা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পরবর্তী রাজনৈতিক পালাবদলে হানাহানি বেড়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজনও আতঙ্কিত। শুধু তাই নয়। ভারতেও অপারেশন সিন্দুরকে কেন্দ্র করে উত্তাপ চরমে। এই পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ পূর্ণিমা কতটা শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় অনেকেই।