Cornstarch Health Risk: সস ও স্যুপে অতিরিক্ত ঘন ভাব আনতে আমরা অনেক সময় কর্নস্টার্চ ব্যবহার করি। এটি সহজলভ্য এবং দ্রুত কাজ করে – কিন্তু জানেন কি, এই কর্নস্টার্চই হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের বিরাট ক্ষতির কারণ?
কর্নস্টার্চ কী?
কর্নস্টার্চ হল ভুট্টার প্রক্রিয়াজাত এক ধরনের স্টার্চ বা শ্বেতসার। যা সাধারণত স্যুপ, সস, গ্রেভি, এবং ডেজার্ট ঘন করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি কর্ন সিরাপ তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয়। যদিও এই স্টার্চ পরিমাণমত খেলে অসুবিধা নেই। কিন্তু, এটা বেশি খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন- ইংরেজি নাম ক্রিকেট! বিজ্ঞানীদের কাছে 'প্রকৃতির থার্মোমিটার,' ঝিঁঝিঁপোকার কাণ্ড শুনলে চমকে যাবেন
কর্নস্টার্চ কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে?
১. পুষ্টিহীন:
কর্নস্টার্চ একটি পরিশোধিত খাদ্য, যার মধ্যে প্রায় কোনও ভিটামিন, খনিজ বা ফাইবার নেই।
২. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি:
এটি খুব তাড়াতাড়ি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভীষণ ক্ষতিকারক।
৩. ওজন বৃদ্ধি ও হজমের সমস্যা:
বেশি পরিমাণে কর্নস্টার্চ খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি:
উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত হওয়ায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন- কারিপাতার সঙ্গে চুল পড়া ঠেকানোর কোনও সম্পর্কই নেই, এমনটাই দাবি চিকিৎসকের
কতটা কর্নস্টার্চ খাওয়া নিরাপদ?
অ্যাপোলো স্পেকট্রা হাসপাতালের পুষ্টিবিদ মিসেস মঞ্জুলা শ্রীধর বলেন, 'সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে মাঝে মাঝে রেসিপিতে ১-২ টেবিল চামচ কর্নস্টার্চ খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে নিরাপদ।'
আরও পড়ুন- নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান এই রস, দাদ দূর হবে তিন দিনের মধ্যে
কর্নস্টার্চের স্বাস্থ্যকর বিকল্প কী কী?
ঘন করার জন্য:
-
ট্যাপিওকা স্টার্চ: হালকা এবং সহজপাচ্য।
-
আলুর স্টার্চ: গ্লুটেন-ফ্রি এবং ঘন স্যুপে ভালো কাজ করে।
-
চালের আটা: ঘরে থাকা এই খাদ্যদ্রব্য তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন- গমের না জোয়ারের রুটি, ডেইলি ডায়েটে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জানুন পুষ্টিবিদদের মতামত
এছাড়াও রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে:
-
ডিম: প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং বেকিংয়ে আদর্শ।
-
চিয়া বীজ: ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
-
তিসির বীজ: ফাইবারসমৃদ্ধ এবং পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে।
স্বাদ বাড়াতে স্যুপ বা সস ঘন করা জরুরি – কিন্তু কর্নস্টার্চের ক্ষতিকর দিকগুলো এক্ষেত্রে অগ্রাহ্য করলে চলবে না। তাই খাবার আগে জেনে নিন, আপনি যে স্যুপ বা সস খাচ্ছেন, সেটা কী দিয়ে তৈরি। আর, স্বাস্থ্যকর জীবনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যান।