Advertisment

বারাসতের ডাকাত কালী, অত্যন্ত জাগ্রত এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রঘু ডাকাতের নাম

দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে মনস্কামনা পূরণের জন্য আসেন। তাঁরা দাবি, দেবী কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dakat kali 1

পশ্চিমবঙ্গের অলিগলিতে ছড়িয়ে আছে কালীমন্দির। তার বেশিরভাগের খোঁজই ভক্তরা জানেন না। কিন্তু, এখানকার বহু কালীমন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। জড়িয়ে আছে অলৌকিক কাহিনি। এমন ধরনের কালীমন্দিরের অন্যতম বারাসতের বিখ্যাত ডাকাত কালী মন্দির।

Advertisment

বারাসতের চাঁপাডালি থেকে কাজিপাড়া পেরিয়ে নদীভাগ হয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার গেলেই পড়বে ডাকাত কালীবাড়ি। বহু পুরোনো স্থাপত্য ও সময়ের ভারে জরাজীর্ণ এই মন্দিরের বয়স আনুমানিক ৫০০ বছর। কথিত আছে, এখানে উপাসনা করত রঘু ঘোষ ওরফে রঘু ডাকাত ও তার ভাই বিধুভূষণ ঘোষ ওরফে বিধু ডাকাত।

ভক্তদের বিশ্বাস এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। এখানে কোনও মূর্তি নেই। কথিত আছে, ডাকাতি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল রঘু। সেই রাগে সে অষ্টধাতুর দেবীমূর্তিটি তরোয়াল দিয়ে ভেঙে ফেলে। পরে নাকি সেই ভগ্ন মূর্তিকেই সে পুজো করত।

স্বাধীনতার পর এখানে বাসুদেবের একটি মূর্তি দেখা যেত। কিন্তু, সেই মূর্তি চুরি হয়ে যাওয়ায় আর কেউ এখানে মূর্তি স্থাপনের সাহস দেখাননি। এখানকার ভক্তরা বহু অলৌকিক ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন বলে দাবি করেন। অনেকে আবার দাবি করেন, তাঁদের স্বচক্ষে দেবীর দর্শন হয়েছে।

আরও পড়ুন- মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন ‘পোড়া মা’, বহুদূর থেকেও তাঁর টানে ভক্তরা আসেন নবদ্বীপে

কথিত আছে আগে এখানে নরবলি হত। ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে রঘু ডাকাত এখানে নরবলি দিয়ে পাশের পুকুরে ভাসিয়ে দিত দেহ। মন্দিরের পাশে সেই পুকুর আজও রয়েছে এখানে। বর্তমানে এখানে মন্দির গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা বট গাছকেই পুজো করেন ভক্তরা। মন্দিরের মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বাঁ দিকে গাছের শিকড়়ে দেখা যায় হাতের ছাপের মত অবয়ব। এখানে গাছের যে অংশকে কালী রূপে পুজো করা হয়, তা দেখতে অনেকটা মানব দেহের নিম্নাংশের মত।

প্রতি অমাবস্যা এবং মঙ্গলবারে এখানে হোমযজ্ঞের মাধ্যমে দেবীকে বন্দনা করেন ভক্তরা। বহু দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে মনস্কামনা পূরণের জন্য আসেন। তাঁরা দাবি, দেবী কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। স্থানীয় বাসিন্দারাই বহু প্রাচীন এই মন্দিরের দেখভাল করেন।

Kali Puja Kali Temple Ma Kali
Advertisment