Rice water face wash: আমরা অনেকেই প্রতিদিন ত্বকের যত্নের জন্য বাজারের দামি ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরের এক সাধারণ জিনিস, চালের জল দিয়েই বানানো যায় দুর্দান্ত ফেসওয়াশ? কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে বহুদিন ধরেই rice water একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দিয়ে স্কিন সেল রিনিউ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে পরিষ্কার করে।
চাল ভিজিয়ে রাখলে অথবা রান্নার সময় যে জল দিয়ে চালকে ভিজিয়ে রাখা হয়, তা দিয়েই তৈরি হয় এই ফেসওয়াশি। চাল ধোওয়া জল ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলি ত্বককে হাইড্রেট করে, ব্রণ কমায়, ফাইন লাইন, পিগমেন্টেশন কমায়। চাল ধোওয়া জলের নিয়মিত ব্যবহারে নিস্তেজ ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়।
আরও পড়ুন- মাত্র ১০ মিনিটে ৮৫ কোটি টাকায় বিক্রি হল বিশ্বের প্রথম হার্মিস বার্কিন ব্যাগ! হুলুস্থুল কাণ্ড নিলামে
যা লাগবে
আধাকাপ চাল ভেজানো জল, ২ কাপ জল, ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ টেবিল চামচ হালকা ফেসওয়াশ, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ৩/৪ ফোঁটা।
আরও পড়ুন- এইডসের আর্থিক সাহায্য বন্ধ হলে ২০২৯ সালের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৪০ লক্ষ মানুষের! চরম সংকটে ভারত
কীভাবে তৈরি করবেন এই ফেসওয়াশ?
একটি পরিষ্কার বাটিতে চাল ধোওয়া জল নিন। তাতে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে দিন। এরপর আপনার ব্যবহৃত ফেসওয়াশ মিশিয়ে দিন। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা তেল দিন। গোটা মিশ্রণটা ভালো করে নাড়ুন। একটি কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ১৫-২০ দিন ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন- উপবাস না করেও উপবাসের সুফল পেতে চান? ফলো করুন এই ডায়েট
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ফেসওয়াশটি একটু হাতে নিয়ে মুখে লাগান। মিনিট ২ মুখে ম্যাসাজ করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে ২ বার, সকালে এবং রাতে এমনটা করতে পারেন।
আরও পড়ুন- মশার কামড়ে চরম সমস্যায়? কলার খোসাতেই পান আরাম, দাবি বিশেষজ্ঞদের
এর উপকারিতা
ত্বক উজ্জ্বল হবে। ব্রণ এবং মুখের দাগ কমবে। বয়স কম মনে হবে। এই ফেসওয়াশ সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন আর প্রাকৃতিক।
যে সতর্কতা গ্রহণ করবেন
যদি ফেসওয়াশে নতুন কিছু মেশান, তবে আগে সেটা পরীক্ষা করে নেবেন। ফ্রিজে রাখার সময় ফেসওয়াশটা ভালোভাবে ঢেকে রাখুন। চটপট প্রতিক্রিয়া হয়, এমন ত্বক হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। এই পদ্ধতিতে যে ফেসওয়াশ মিশ্রণে মেশানো হয়েছে, সেটা না মেশালেও চলে। না মেশালে মিশ্রণটি আরও বেশি প্রাকৃতিক হয়। যাকে বলে ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার টোনার (Fermented Rice Water Toner)।