Durga and Chandi: দুর্গাপূজার অষ্টমীতে হয় চণ্ডীপাঠ, কিন্তু চণ্ডী আর দুর্গা কি একই দেবী?

Durga and Chandi: দেবী চণ্ডী ও দুর্গা মাতৃশক্তির দুই ভিন্ন রূপ। চণ্ডী হলেন উগ্র ও ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতীক, আর দুর্গা করুণাময়ী রক্ষাকর্ত্রী মা। জানুন তাঁদের ব্যাপারে পুরাণে কী বলা আছে।

Durga and Chandi: দেবী চণ্ডী ও দুর্গা মাতৃশক্তির দুই ভিন্ন রূপ। চণ্ডী হলেন উগ্র ও ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতীক, আর দুর্গা করুণাময়ী রক্ষাকর্ত্রী মা। জানুন তাঁদের ব্যাপারে পুরাণে কী বলা আছে।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Durga and Chandi

Durga and Chandi: দুর্গা ও দেবী চণ্ডী কি একই দেবী?

Durga and Chandi: হিন্দু ধর্মে দেবী শক্তিকে অসংখ্য রূপে পূজা করা হয়। তার মধ্যেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দেবী চণ্ডী এবং দুর্গা। যদিও দু’জনেই মাতৃশক্তির প্রকাশ, তবুও তাঁদের রূপ, মেজাজ, প্রতীক এবং ভূমিকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দেবী চণ্ডী হলেন দেবীর হিংস্র ও ক্রোধী দিকের প্রকাশ। অসুর বিনাশ, অশুভ শক্তি ধ্বংস এবং অন্ধকারকে দূর করার জন্য তিনি আবির্ভূত হন। তাঁর হাতে তরবারি, ত্রিশূল, ধনুক-সহ নানা অস্ত্র থাকে, যা তাঁর সর্বদিক থেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নির্দেশ করে। পুরাণে বলা হয়েছে, চণ্ডী চণ্ড এবং মুণ্ড নামের অসুরকে বধ করেছিলেন।

Advertisment

দুর্গা রক্ষাকর্ত্রী

অন্যদিকে, দেবী দুর্গা হলেন কল্যাণময়ী মা। তিনি ভক্তদের রক্ষা করেন, দুঃখ-দুর্দশা দূর করেন এবং মহাজাগতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। সিংহ বা বাঘের ওপর আরোহণ করা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। যা অজ্ঞতা ও অহংকারের ওপর জ্ঞানের জয়ের প্রতীক। স্বভাবে দেবী চণ্ডী উগ্র, ধ্বংসাত্মক, ক্রোধী। আর, দেবী দুর্গা শান্ত, রক্ষাকর্ত্রী, দানশীল। 

আরও পড়ুন- বাঙালির কাছে মহালয়া মানে তিনি, জানেন কোথায় থাকতেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র? কীভাবে তৈরি হয়েছিল মহিষাসুরমর্দিনী?

Advertisment

পুরাণ অনুযায়ী, দেবীমাহাত্ম্যম গ্রন্থে চণ্ডী চণ্ড-মুণ্ড ও অন্যান্য অসুর বিনাশে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। দেবীমাহাত্ম্যম ও বিভিন্ন পুরাণে দুর্গা মহিষাসুর বধের জন্য পরিচিত, পাশাপাশি তিনি ধর্ম এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চণ্ডীর প্রতীক অস্ত্র, রক্তিম রূপ, বহু বাহু, ভয়ঙ্কর ভঙ্গী। দুর্গার প্রতীক সিংহ বা বাঘ, শান্ত মুখাবয়ব, বহু বাহুতে অস্ত্র, করুণাময় ভঙ্গী।

আরও পড়ুন- পুজোর মুখে বিপদ! ট্রাম্পের H1B Visa নিয়মে চাকরি সংকটে হাজারো ভারতীয়! কোম্পানিগুলোর কী হবে?

রূপ ও প্রকাশ 

চণ্ডীকে শক্তির নির্দিষ্ট রূপ হিসাবে ধরা হয়, বিশেষত অসুর বিনাশের সময়। তাঁকে অনেক সময় দেবী কালীর সঙ্গেও তুলনা করা হয়। দুর্গা আবার বহুমুখী রূপে প্রকাশিত। তিনি কখনও শান্ত, কখনও চণ্ডী, কখনও আবার কালী রূপিণী। তবে উভয়েই মাতৃশক্তির প্রকাশ। দুজনেই ভক্তদের রক্ষা করেন এবং অশুভ শক্তি ধ্বংস করেন। দেবীমাহাত্ম্যম গ্রন্থে উভয়েরই উল্লেখ আছে। নবরাত্রি ও দুর্গাপূজায় দুজনকেই পূজা করা হয়। 

আরও পড়ুন- বিশ্ব আলঝাইমার দিবস ২০২৫! মহামারীর আকার নিচ্ছে এই রোগ?

চণ্ডী পূজায় হোম, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ, নবরাত্রির বিশেষ আচার পালন করা হয়। আর, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা এবং সারা ভারতে দুর্গাপূজা ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। আর, চণ্ড-মুণ্ড ও মহিষাসুরের সেনা ধ্বংসের আখ্যান চণ্ডীর কাহিনিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্প। আর, মহিষাসুর বধের কাহিনি দুর্গাপূজার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

আরও পড়ুন- জানুন আজকের টিপস, করুন দুর্ভাগ্য দূর!

আজও সারা ভারতেই চণ্ডী ও দুর্গার পূজা অত্যন্ত জনপ্রিয়। চণ্ডীর উগ্র রূপ মানুষকে প্রতিকূলতা জয় করার শক্তি দেয়, আর দুর্গার শান্ত রূপ মানুষকে স্নেহ, সুরক্ষা ও আশ্রয়ের অনুভূতি প্রদান করে। দেবী চণ্ডী ও দেবী দুর্গা একই শক্তির ভিন্ন প্রকাশ। চণ্ডী যেখানে মন্দের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক রূপ, দুর্গা সেখানে রক্ষাকর্ত্রী মা। দু’জনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং ভক্তদের কাছে একইভাবে শ্রদ্ধেয়। 

Chandi durga