/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/20/laxmi-puja-2025-10-20-19-09-42.jpg)
Diwali 2025 Upay: দীপাবলিতে এই টোটকায় জীবন করুন সমৃদ্ধ।
Deepawali 2025 Upay: দীপাবলি বা দীপান্বিতা অমাবস্যা— আলোর এই উৎসব কেবল আনন্দের নয়, এটি সম্পদ, সৌভাগ্য ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনেই মা লক্ষ্মী পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং যাঁর ঘর আলোয় ভরা, পরিশুদ্ধ ও শান্ত, সেখানে তিনি প্রবেশ করেন। তাই দীপাবলির সময় কিছু প্রাচীন 'Diwali Upay' বা প্রতিকার মানলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি ও অর্থলাভ হতে পারে বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
১) ঘর পরিষ্কার রাখুন
দীপাবলির আগে ও সেদিন ঘরের প্রতিটি কোণ পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি বা অগোছালো স্থান মা লক্ষ্মীর আগমনে বাধা সৃষ্টি করে। দরজার সামনে আলপনা বা রঙোলি আঁকুন এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে প্রিয়জনকে পাঠান এই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার বার্তা, চিরকাল মনে রাখবে!
২) প্রদীপ জ্বালানোর উপায় (Deepak Ke Upay)
দীপাবলির রাতে অন্তত ১১টি বা ২১টি প্রদীপ জ্বালান। প্রতিটি প্রদীপে সামান্য ঘি বা সরিষার তেল ব্যবহার করুন। উত্তর দিকে প্রদীপ রাখলে জ্ঞান ও শান্তি লাভ হয়। পূর্ব দিকে প্রদীপ রাখলে সম্পদ বৃদ্ধি হয়। দক্ষিণ দিকে প্রদীপ রাখলে শত্রু নাশ হয়।
আরও পড়ুন- সাক্ষাত যমদূত! খেতে চাষ করার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ল লেপার্ড, আশঙ্কাজনক কৃষক
৩) অর্থলাভের প্রতিকার
একটি নতুন মাটির দীপে ঘি ভরে তুলসী গাছের নীচে জ্বালান এবং মা লক্ষ্মীর নাম উচ্চারণ করুন। বিশ্বাস করা হয়, এই উপায় অর্থভাগ্য বৃদ্ধি করে এবং অপ্রত্যাশিত আয়ের পথ খুলে দেয়।
আরও পড়ুন- কীভাবে শুরু হয়েছিল নৈহাটির বড়মার পুজো, ইতিহাসটা জানেন?
৪) মা লক্ষ্মী ও গণেশ পুজার সময়
দীপাবলির রাতে মা লক্ষ্মী ও ভগবান গণেশের একত্রে পুজো করলে শুভফল বৃদ্ধি পায়। পুজার সময় চিনি, দুধ ও কমলালেবু নিবেদন করুন। শেষে ১১টি প্রদীপ একসঙ্গে জ্বালান এবং লক্ষ্মীচালিশা পাঠ করুন।
আরও পড়ন- বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে শক্তিপীঠ, দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে যান কল্যাণেশ্বরীর আশ্রয়ে
৫) কালো ছায়া দূর করার টোটকা
যদি মনে হয় জীবনে স্থবিরতা এসেছে, দীপাবলির রাতে বাড়ির প্রধান দরজার বাইরে দুটি লেবু রেখে দিন এবং সকালে নদীতে ভাসিয়ে দিন। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে বলে বিশ্বাস।
৬) ধনলাভের বিশেষ টোটকা
একটি নতুন রূপার মুদ্রা মা লক্ষ্মীর পায়ের সামনে রেখে পুজো করুন। পুজোর পর সেই মুদ্রাটি মানিব্যাগে রাখলে সারা বছর অর্থের অভাব থাকে না বলে ধরা হয়।
৭) পরিবারের মঙ্গল কামনার উপায়
দীপাবলির রাতে ঘরে ধূপ ও গুগুল জ্বালান। পরিবারের প্রত্যেকে একে অপরের কপালে সিঁদুর বা চন্দন দিন। এটি সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক মজবুত করে।
৮) দীপাবলির পরের দিন (গোবর্ধন পুজা)
দীপাবলির পরের দিন সকালে গোবর্ধন পূজা করে গরুকে ঘাস খাওয়ান। এটি পিতৃকুলের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য শুভ মনে করা হয়। এই সব টোটকা বা প্রতিকারগুলির মূলে রয়েছে ইতিবাচক চিন্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং আত্মবিশ্বাস। যখন আপনি আলোক ও সৎ চিন্তায় মনোযোগ দেন, তখনই জীবন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। দীপাবলির আলোর এই তিথিতে শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, নিজের জীবন ও মনকেও আলোকিত করুন। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আপনার ঘরে আসুক আনন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।