/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/devi-katyayani-2025-09-28-10-28-52.jpg)
Devi Katyayani: দেবী কাত্যায়নী।
Durga Sasthi 2025: আজ আশ্বিন মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথি। এই দিনটি শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনাদিন এবং বিশেষভাবে পরিচিত দুর্গাষষ্ঠী নামে। সন্তানের মঙ্গল কামনায় আজকের এই ব্রতের রয়েছে গভীর তাৎপর্য। বাংলার ঘরে ঘরে ভক্তরা ভোর থেকেই দেবীকে প্রণাম জানিয়ে, ফুল, ধূপ, প্রদীপ ও নানা সামগ্রী দিয়ে পূজা করে থাকেন।
বাংলা বছরের প্রতিটি মাসেই একটি করে ষষ্ঠী তিথি আসে। কিন্তু আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিন থেকেই শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। তাই এই ষষ্ঠীকে বলা হয় দুর্গাষষ্ঠী। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনে দেবী দুর্গার আরাধনা করলে সন্তানের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা পূর্ণ হয়। আর, এর পিছনে রয়েছে এক কাহিনি।
আরও পড়ুন- একাই সামলেছেন জমিদারি-ব্যবসা, দক্ষিণেশ্বর মন্দির অমর করেছে রাসমণিকে
দুর্গাষষ্ঠী ব্রত পালনের জন্য বিশেষ উপকরণ হিসেবে লাগে ফুল ও ফল, ধূপ, দীপ, আতপচাল, দুর্বা, মিষ্টি। এই দিনে ভক্তরা অন্নভোগ করেন না। সারাদিন ফল-মূল খেয়ে ব্রত পালন করতে হয়। সন্ধ্যায় দুর্গাষষ্ঠীর ব্রতকথা শুনে তারপর ফল ভক্ষণ করা আবশ্যিক।
আরও পড়ুন- মেষ থেকে মীন, এই টিপসে রবিবার পান সাফল্য
শাস্ত্র মতে, দেবী পার্বতী একবার শিবের অনুচর নন্দীকে দ্বাররক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শিব ফিরে এলে নন্দী তাঁকে থামাতে পারেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেবী এমন এক অনুচর তৈরি করেন, যিনি সর্বদা তাঁর আদেশ মেনে চলবেন। নিজের অঙ্গরাগের চন্দন ও হলুদ মেখে দেবী একটি বালকের মূর্তি গড়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন—এবং জন্ম নেন শ্রী গণেশ।
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন, পাহাড় থেকে সমুদ্র, উপভোগ করুন একসঙ্গে!
পরবর্তীতে শনি দেবতার দৃষ্টিতে শিশুটির মুণ্ডচ্ছেদ হলে, মহাদেব হাতির মাথা জোড়া দিয়ে তাকে পুনর্জীবিত করেন। সেই থেকে সেই বালক দেবতা পরিচিত হন গণেশ বা গজানন নামে। এরপর দেবী পার্বতী গণেশ ও কার্তিককে নিয়ে মাতৃগৃহে গেলে, কার্তিক বলেন— 'আশ্বিনের শুক্ল ষষ্ঠীতে যে নারী আমার পূজা করবে ও আমার ব্রতকথা শুনবে, তার সুন্দর ও সুস্থ সন্তান লাভ হবে।' সেই থেকে এই দিন দুর্গাষষ্ঠী ব্রত হিসেবে প্রচলিত।
আরও পড়ুন- নবরাত্রির এই সব তিথিতে কেনাকাটা করলেই চমকাবে কপাল! জানুন দিনগুলো
দুর্গাষষ্ঠীর মাহাত্ম্য
সন্তানের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় এই ব্রত পালন করা হয়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, দেবী দুর্গার আশীর্বাদে সন্তানের জীবনের যাবতীয় বিপদ দূর হয়ে যায়। মা দুর্গার কৃপায় পরিবারে সমৃদ্ধি ও শান্তি আসে। আজকের এই মহাপবিত্র দিনে ভক্তরা দেবীকে প্রার্থনা করে বলেন— 'হে মা দুর্গা, তোমার কৃপায় সকল সন্তানের জীবনে আসুক শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সুখ।'