/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/20/bKEw1bXs0kKVVs6RYdtJ.jpg)
Sour Curd: টকদই।
Benefits and Side Effects of Eating Sour Curd in Summer: দই আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন একটি উপাদান, যা সারা বছর ধরেই জনপ্রিয়। তবে গরমকালে দই খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঠান্ডা স্বাদের জন্য এটি শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন টকদই খেয়ে (food) থাকেন, তাহলে জেনে নিন শরীরে এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলি—
টকদই খাওয়ার উপকারিতা:
১. শরীর ঠান্ডা রাখে
গরমে ঘাম, ডিহাইড্রেশন ও শরীর গরম হয়ে যাওয়া সাধারণ সমস্যা। টকদই খেলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে, ফলে আপনি আরাম অনুভব করেন।
২. হজমশক্তি বাড়ায়
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। এটি হজমের সমস্যা, গ্যাস, ও বদহজম রোধে সাহায্য করে।
৩. ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে
দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত খেলে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি কম হতে পারে।
৪. ত্বক ও চুলের জন্য ভালো
টকদইয়ে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং চুলকে করে মসৃণ ও শক্ত।
টকদই খাওয়ার সম্ভাব্য ক্ষতি:
১. বেশি টক দই হতে পারে ক্ষতিকর
টকদই অতিরিক্ত খেলে গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে রাতে বা খালি পেটে খাওয়া হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. ঠান্ডা লাগতে পারে
যদি আপনি সহজেই ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশির শিকার হন, তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা টক দই খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতা জরুরি।
৩. রাতে খাওয়া উচিত নয়
রাতে টকদই খাওয়া হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই সকালে বা দুপুরে খাওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন- দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট কেটেছেন, RAC দেখালে কী করবেন, PNR কী জানেন তো? জেনে রাখুন
কারা এড়িয়ে চলবেন:
যাঁরা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন
যাঁরা ঠান্ডা বা টনসিলের সমস্যা নিয়ে ভোগেন
যাঁরা পেটের অসুস্থতায় আক্রান্ত
আরও পড়ুন- রাতে গভীর ঘুম কি আপনাকে বানাতে পারে মেধাবী? জেনে নিন, কী বলছে গবেষণা
কীভাবে খাবেন:
ঘরে তৈরি টকদই হলে তাজা অবস্থায় খান
দুপুরে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে খেলে উপকার পাবেন
দই খাওয়ার আগে সেটি ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনুন
গরমকালে দই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করলেও, টকদই প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে, সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে দই খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।