Bishu Baba: হাত নয়, মুখ দেখেই বলেন ভূত-বর্তমান, ভবিষ্যৎ! অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিশু বাবা আলোড়ন তুলেছেন মাতৃসাধক কমলাকান্তের গ্রামে

In the village of legendary Kamalakanta, mystic tantrik Bishu Baba draws devotees from all over. নিঃসন্তান দম্পতিরা তাঁর পরামর্শে লাভ করছেন সন্তান। চাকরিপ্রার্থীরা পাচ্ছেন চাকরি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধি অল্প সময়েই সুস্থ করে তুলছেন।

In the village of legendary Kamalakanta, mystic tantrik Bishu Baba draws devotees from all over. নিঃসন্তান দম্পতিরা তাঁর পরামর্শে লাভ করছেন সন্তান। চাকরিপ্রার্থীরা পাচ্ছেন চাকরি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধি অল্প সময়েই সুস্থ করে তুলছেন।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Bishu Baba's Temple: বিশু বাবার মন্দির

Bishu Baba's Temple: বিশু বাবার মন্দির

Meet Bishu Baba: The Face-Reading Tantrik Changing Lives in Bengal’s Channa Village: জ্যোতিষীদের মত হাত দেখেন না। মুখ দেখেই গড়গড় করে বলে দেন, তাঁর কাছে কী সমস্যা নিয়ে এসেছে ওই ভক্ত। গ্যারান্টি দিয়ে তিন মাসের মধ্যে সারান কঠিন থেকে দুরারোগ্য মানসিক রোগ। চাকরি না পাওয়া অসংখ্য যুবক-যুবতী তাঁর আশীর্বাদের পরই এখন কর্মস্থলে সুপ্রতিষ্ঠিত। এমন বিরাট ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলার এক অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন তান্ত্রিক এখন মাতৃসাধক কমলাকান্তের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছেন। 

Advertisment

সাধক কমলাকান্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খানা পোস্ট অফিস এলাকার চান্না গ্রামের নাম। এই গ্রামে এসেই সাধনা করেছিলেন বাংলার খ্যাতনামা মাতৃসাধক কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। আর, সেই গ্রামেই এখন মুখে মুখে ফিরছে তান্ত্রিক বিশ্বনাথ বাগের নাম। নিঃসন্তান দম্পতিরা ছুটে আসছেন তাঁর কাছে। ফলও মিলছে শীঘ্রই। সন্তান লাভ করে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি

Bishu Baba: তান্ত্রিক বিশু বাবা।
Bishu Baba: তান্ত্রিক বিশু বাবা।
Advertisment

 বাড়ির সঙ্গে লাগানো কালভৈরব মন্দির। সেখানেই প্রতিদিন পুজো (pujo) করেন বিশু বাবা। দেবী ভৈরবী ছাড়াও এই মন্দিরে আছে মা শ্মশানকালী (Kali Temple), মা বিশালাক্ষী, মা মনসার বিগ্রহ। এই সাধক সম্পর্কে জানা যায় যে ছোট থেকেই তিনি কঠোর তন্ত্রসাধনা করতেন। সেই সাধনাতেই মা শ্মশানকালীর কৃপালাভ করেন। তারপর লাভ করেন অন্যান্য দেব-দেবীদের কৃপা। খালি হাতে কেউ এখান থেকে ফিরে যান না। এমনটাই দাবি এই সিদ্ধ সাধকের। 

আরও পড়ুন- অলৌকিক রহস্যে ঘেরা, আজও অগণিত ভক্তের আকর্ষণের কেন্দ্রে গড় চণ্ডীধাম

সাংসারিক থেকে অর্থনৈতিক, যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এই তান্ত্রিক বাবার কাছে এলেই। ১৩ বছর বয়স হওয়ার আগেই করেছিলেন সিদ্ধিলাভ। ১৩ বছর বয়স থেকে মন্দিরে ভক্তদের স্বার্থে নিয়মিত বসছেন তিনি। তিনি যেন দেবীর সন্তান। দেবীর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন। ভরেও পড়েন বিভিন্ন সময়। আগে সেটা নিয়মিত হত। এখন অমাবস্যা, পূর্ণিমা, মন্দিরের বার্ষিক পুজো এবং দুর্গাপুজোয় তিনি ভরে পড়েন। আর, সেটাও ঠিক যজ্ঞের সময়। সন্তানলাভের আগেই তিনি দম্পতিদের বলে দেন, ছেলে হবে না মেয়ে হবে। আর, এসব কারণে রাজ্যের বিভিন্ন থেকে তাঁর কাছে ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য ভক্ত।

আরও পড়ুন- যে মন্দির থেকে খালি হাতে ফেরেন না ভক্তরা, পূরণ হয় মনস্কামনা, সারে দুরারোগ্য রোগও

বংশপরম্পরায় তিনি সাধক। তাঁর কৃপালাভের জন্য বাংলার বাইরে থেকেও চান্না গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য ভক্ত। মন্দির বুধবার বাদে বাকি দিনগুলো খোলা থাকে। তবে, অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমা থাকলে বুধবারও খোলা থাকে এই মন্দির। 

আরও পড়ুন- সেরে উঠছে দুরারোগ্য ব্যাধি, পূরণ হচ্ছে মনস্কামনা, বারুইপুরের হনুমান মন্দিরে ঢল নামছে ভক্তদের

কীভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে বর্ধমান স্টেশনে (East Burdwan) নেমে আসানসোল বা বোলপুর লাইনের ট্রেন ধরতে হবে। এরপর খানা জংশন স্টেশনে নামতে হবে। টোটোচালককে বলতে হবে চান্না পূর্বপাড়া বিশ্বনাথ বাগ বা বিশু বাবার বাড়ি যাব। স্টেশন থেকে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। আবার বর্ধমান স্টেশনের আট নম্বর প্লাটফর্মের দিক থেকে বেরিয়ে এসে নবাবহাটের বাস ধরা যায়। ওখানে নেমে জিজ্ঞেস করতে হবে, হলদি দে পাড়ার বাস কোথায় পাব? হলদি দে পাড়াতে নামলেই রাস্তার ধারে ছোট্ট কালী মন্দির দেখতে পাবেন। সেখান থেকে টোটো ধরে নিলেই পৌঁছে যাবেন চান্না গ্রামে ৪ কিলোমিটার দূরে বিশু বাবার বাড়িতে।

East Burdwan Kali Temple pujo