Liver Health: আমরা প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার রাখছি, যেগুলো আমাদের অজান্তেই লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করছে। সেই কারণেই গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি বলেন, 'একজন লিভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে, আমি এই তিনটি খাবার আমার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি।'
১. ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয়
ফ্রুক্টোজ একটি সাধারণ চিনির ধরনের জিনিস যা মূলত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কোমল পানীয়ে থাকে। লিভার ফ্রুক্টোজকে চর্বিতে রূপান্তরিত করে, যা ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনিযুক্ত পানীয়, কর্ন সিরাপ, প্যাকেটজাত জুস এগুলোতে প্রচুর ফ্রুক্টোজ থাকে।
আরও পড়ুন- রান্নাঘরের ভেষজ, তা দিয়েই চিরতরে দূর করুন ঘাড়ের কালো দাগ
২. শিল্পজাত বীজ তেল (Seed Oils)
যেমন: সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, ভুট্টার তেল- এসব তেলে থাকে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এর অতিরিক্ত ব্যবহার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায় এবং লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন- যদি আপনার ঘরে এই জিনিসগুলো থাকে, ঘর ভরবে সুবাসে!
৩. ফল বা ফলের রস
প্রায় ১০০% প্রাকৃতিক ফলের রসেও আছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ। রসে ফাইবার থাকে না, ফলে ফ্রুক্টোজ সরাসরি রক্তে মিশে লিভারে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এই প্রসঙ্গে ডায়েটিশিয়ান দীপালি শর্মা বলেন, 'ফল খাওয়া ভাল, কিন্তু রস নয়। কারণ ফলের রসে থাকা ফ্রুক্টোজ সরাসরি লিভারে প্রভাব ফেলে, যা MASLD-এর ঝুঁকি বাড়ায়।'
আরও পড়ুন- শুধু এই ১টি কায়দা, একমুহূর্তে আপনার পাকা চুল, দাড়ি হয়ে যাবে কালো!
MASLD – নীরব ঘাতক
MASLD বা Metabolic Dysfunction-associated Steatotic Liver Disease, আগে NAFLD নামে পরিচিত ছিল। এই রোগ মূলত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস-নির্ভর। যদি আপনি প্রতিনিয়ত চিনিযুক্ত পানীয়, রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও বীজ তেল খান, তবে আপনার লিভার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন- ফেসিয়ালের পরেও ত্বক উজ্জ্বল হচ্ছে না? প্রতিদিন ফলো করুন এই টিপসগুলো
লিভার সুস্থ রাখার কিছু উপায়
লিভার সুস্থ রাখতে খাদ্যভ্যাস উন্নত করা প্রয়োজন। এজন্য সবুজ শাকসবজি খান, পর্যাপ্ত জল পান করুন, প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার কম খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, লবণ ও চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা। তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ভালো খাদ্যাভাসই হল সুস্বাস্থ্যের মূল।