/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/02/gandhi-jayanti-2025-2025-10-02-04-18-23.jpg)
Gandhi Jayanti 2025: গান্ধী জয়ন্তী ২০২৫।
Gandhi Jayanti 2025 History, Significance: প্রতি বছর ২ অক্টোবর সারা ভারতে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয়। ২০২৫ সালে এই দিনটি আরও বিশেষ কারণ, তাঁর জন্মের ১৫৬তম বছর উদযাপিত হবে। এই দিনটি কেবল জাতীয় ছুটিই নয়, রাষ্ট্রসংঘও দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস (International Day of Non-Violence) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ও শৈশব
আরও পড়ুন- পুজোর মধ্যেই বাংলার ছেলের এশিয়া জয়, জোড়া সোনা জিতে দেশের গৌরব অঙ্কিত
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সততা, ধর্মবিশ্বাস এবং ন্যায়বোধে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তাঁর পরিবার জৈন ধর্মের প্রভাবিত হওয়ায়, ছোট থেকেই অহিংসা ও সত্যের প্রতি আকর্ষণ তাঁর মধ্যে জন্ম নিয়েছিল। গান্ধীজী লন্ডনে আইন পড়তে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত হন। পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন শুরু করেন, যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ভিত্তি তৈরি করে।
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝান্ডি, মোহময়ী দৃশ্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরাবেই
ভারতে ফিরে এসে গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মত গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তাঁর মূল অস্ত্র ছিল অহিংসা (Non-Violence) ও সত্যাগ্রহ (Satyagraha)। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে যুদ্ধ ছাড়াই জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করতে পারে। গান্ধীজির দর্শনের মূল বার্তা হল সত্য ও অহিংসার পথে চলা, সামাজিক সমতা ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ, নারী-পুরুষের সমান অধিকার, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন। এই দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে বৈষম্য, হিংসা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে তো বটেই।
আরও পড়ুন- দুর্গাপূজায় থিমের ছড়াছড়ি, প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নানা জিনিস দিয়ে, শাস্ত্রে কী বলা আছে?
প্রতিবারের মত গান্ধী জয়ন্তী ২০২৫ সালেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গান্ধীজির জীবনের ওপর প্রবন্ধ ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি দফতরে এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের সংগঠন তাঁর জন্মজয়ন্তীর স্মরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন- রাহুর অশুভ প্রভাব কাটাতে দুর্গার এই রূপের জুড়িমেলা ভার! কীভাবে করবেন আরাধনা?
গান্ধী আশ্রম, রাজঘাট এবং সারা দেশে প্রার্থনা সভা, কীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে গান্ধীজির জীবন এবং চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গান্ধীজীর শিক্ষা আজকের দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ। যখন সারা বিশ্বে সংঘাত, যুদ্ধ এবং হিংসা বাড়ছে, তখন তাঁর অহিংসা ও শান্তির বার্তা মানবসভ্যতার জন্য পথপ্রদর্শক। Gandhi Jayanti 2025 আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সত্য, শান্তি ও সমতার পথই মানবকল্যাণের প্রকৃত রাস্তা।