Ghee Coffee Benefits: অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু সম্প্রতি 'ঘি কফি' বা টবুলেটপ্রুফ কফি' নামের একটি ট্রেন্ড ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যাঁরা কেটো ডায়েট বা ওজন কমানোর পরিকল্পনায় রয়েছেন তাঁদের মধ্যে এই ট্রেন্ড অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঘি কফি হল এক ধরনের কফি যাতে সাধারণ চিনি বা ক্রিমের বদলে এক চামচ ঘি যোগ করা হয়। প্রশ্ন হল, যদি আপনি প্রতিদিন এই কফি খান, বিশেষ করে ৩ মাস ধরে, তাহলে শরীরের ওপরে তার কী প্রভাব পড়ে?
ঘি কফি কীভাবে কাজ করে?
ডায়েটিশিয়ান ও ডায়াবেটিস এক্সপার্ট কণিকা মালহোত্রা বলেন, ঘি একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যাতে বিউটাইরেট (Butyrate), CLA (Conjugated Linoleic Acid) এবং শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলো মেটাবলিজম বাড়ায়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ফ্যাট বার্নে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন- আপনার কি রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়? সপ্তাহে ৩ দিন খান এই ৩টি সবজি, পরামর্শ চিকিৎসকের
ঘি ও কফি একত্রে গ্রহণ করলে ক্যাফেইনের সঙ্গে ঘি ফ্যাট এক ধরনের ধীর শক্তি (sustained energy) তৈরি করে। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে এনার্জেটিক রাখে, ব্রেন ফগ বা অলসতা কমায়, এবং মনোযোগ বাড়ায়।
আরও পড়ুন- চুলের বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেলের সঙ্গে মেশান এই ৫ ঘরোয়া উপাদান, ফল মিলবে দ্রুত!
৩ মাস ধরে ঘি কফি খেলে যা যা হতে পারে:
ইতিবাচক দিক:
-
ওজন কমানোর সহায়ক হতে পারে (বিশেষ করে ফাস্টিং বা কেটো ডায়েটে)
-
এনার্জি বাড়ায় এবং ক্লান্তি কমায়
-
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
-
মানসিক স্বচ্ছতা ও ফোকাস বাড়ে
-
হজমে সহায়তা করে
আরও পড়ুন- সামুদ্রিক শৈবাল ও অ্যালোভেরা জেলের এই ফেস প্যাক লাগান, পার্লার ছাড়াই মিলবে উজ্জ্বলতা
নেতিবাচক দিক:
-
অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমলে ওজন বেড়ে যেতে পারে
-
প্রতিদিন অতিরিক্ত ফ্যাট খেলে লিভারের ওপর চাপ পড়ে
-
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে ঝুঁকি বাড়ে
-
হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে অসুবিধা হতে পারে
আরও পড়ুন- বয়স হয়ে গেলে টাক পড়লে কি চুল আর গজায় না? কী বলছেন চিকিৎসক, জানুন বিস্তারিত
কারা প্রতিদিন ঘি কফি খাবেন না?
-
যাঁদের উচ্চ কোলেস্টেরল আছে
-
যাঁদের হজম সমস্যা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়
-
যাঁরা ওজন কমানোর ডায়েট মানছেন না
-
যাঁদের কিডনি বা লিভার সমস্যা রয়েছে
খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি কী?
-
ঘাস খাওয়া গরুর দুধ থেকে তৈরি অরগানিক ঘি ব্যবহার করুন
-
সকালে খালি পেটে বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চলাকালে খান
-
এক চামচ ঘি-এর বেশি খাবেন না
-
চিনি বা অতিরিক্ত দুধ এড়িয়ে চলুন
ঘি কফি সঠিকভাবে ও পরিমিত পরিমাণে খেলে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে একে দৈনিক অভ্যাসে পরিণত করার আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি আপনার আগে কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে তো।