Hair Recovery Growth: চুল পড়া একটি সাধারণ অথচ মানসিক চাপের ব্যাপার। বিশেষ করে আজকের দিনে তরুণ থেকে মধ্যবয়সী অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে, চুল পড়ে গেলে কি আর গজাবে? আর কত বছর বয়স পর্যন্ত সেটা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিথ্যা। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে সঠিক যত্ন নিলে চুল গজানোর সম্ভাবনা অনেক বছর পর্যন্ত থাকে।
চুল গজানোর সাধারণ বয়সসীমা
ডা. নিথ্যার মতে, সাধারণভাবে ৩৫-৩৮ বছর বয়সের মধ্যে চুল গজানোর হার বেশি থাকে। কারণ এই বয়সে শরীরের কোষগুলোর পুনর্জন্ম হয়। ফলিকল অ্যাকটিভিটির হার তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে এটি সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। ব্যাপারটা জেনেটিকস, লাইফস্টাইল এবং সঠিক চিকিৎসার ওপরও নির্ভর করে। তার ভিত্তিতে ৪০ বছৎ বয়সের পরও মাথায় চুল গজাতে পারে।
আরও পড়ুন- বাজারে প্রচুর ওঠে, অনেকেই কেনেন না! প্রতিদিন সকালে ভেজানো ২টি ডুমুর খেলে শরীরে কী হয় জানেন?
চুল ফের গজানোর ৩টি মূল শর্ত
১. জেনেটিক বা বংশগতি:
যাঁদের পরিবারে চুল ঘন ও শক্তিশালী, তাঁদের ক্ষেত্রে ফলিকল তুলনামূলকভাবে বেশি সক্রিয় থাকে। ফলে বয়স একটু বেশি হলেও তাঁদের মাথায় চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকে।
২. খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি:
প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, বায়োটিন এবং ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমন—ডিম, বাদাম, মাছ, শাকসবজি চুলের গ্রোথে সহায়ক।
৩. ফলিকলের স্বাস্থ্য:
চুল গজায় চুলের ফলিকল থেকে। যদি ফলিকল জীবিত থাকে, তাহলে চুল গজানো সম্ভব। তবে যদি তা সম্পূর্ণ মরে যায়, তখন চিকিৎসাতেও ফল পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- কপিল শর্মার ওজন ঝরার পিছনে ২১-২১-২১? কোন কৌশলে কমেডিয়ান ৬৩ দিনে হলেন ফিট, জানালেন ট্রেনার
অল্প বয়সে চুল পড়লে কী করবেন?
আজকাল ২০-২৫ বছর বয়সের মধ্যেই অনেকে চুল পড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। এর প্রধান কারণ—
এইসব কারণ ঠিকমতো চিহ্নিত করে সময়মতো চিকিৎসা করালে আবার চুল গজানো সম্ভব বলেই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- এই প্রাণীগুলো মিলনের শেষে সঙ্গীকে খায়, জানুন ৮ ভয়ংকর জীবের কথা
চুল গজানোর চিকিৎসা
চুল ফেরানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল:
-
ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
-
PRP থেরাপি বা লেজার স্টিমুলেশন
-
মিনক্সিডিল ও ফিনাস্টেরাইডের মত চিকিৎসা (চিকিৎসকের পরামর্শে)
-
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা ও চুলে তেল-ম্যাসাজ
-
আয়ুর্বেদিক হেয়ার প্যাক ও আয়ুর্বেদিক উপাদান (যেমন ব্রাহ্মী, ভৃঙ্গরাজ) মাথায় ব্যবহার
আরও পড়ুন- বর্ষাকাল এলেই ঝপঝপ করে চুল পড়ে? এই টিপসগুলো মানুন, চুল উঠবে না
চুল না গজানোর সম্ভাব্য কারণ
-
ফলিকল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া
-
স্কাল্পে বা মাথার ত্বকে দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন
-
বারবার রাসায়নিক হেয়ার ট্রিটমেন্ট
-
বংশগত পুরুষালি টাক (Androgenic Alopecia)
ডা. নিথ্যার মতে, চুল গজানো নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে। বয়স ৩৮-এর পরেও অনেকের ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় চুল নতুন করে গজাতে দেখা গেছে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং সমস্যাটি চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যা মিটতে পারে। তাই আপনার বয়স যতই হোক না কেন, যদি ফলিকল জীবিত থাকে, তাহলে চুল গজানোর চিকিৎসায় আশানুরূপ ফল পেতেই পারেন। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক।