Hot Water Benefits: আমরা প্রতিদিন নানা খাবার খাই, দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেই এবং আমাদের শরীরে ধীরে ধীরে জমে যেতে থাকে বিষাক্ত পদার্থ। এটি কেবল হজম নয়, বরং রক্তপ্রবাহ, ত্বক, হরমোন এবং এমনকী মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু কীভাবে খুব সহজভাবে শরীর পরিষ্কার করা যায়?
সেলিব্রিটি শেফ ভেঙ্কটেশ ভাট জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিন গ্লাস গরম জল পান করলে শরীর থেকে অর্ধেক বিষাক্ত উপাদান এমনিই বেরিয়ে যায়। আর এর ফলে বাড়ে হজম শক্তি, বৃদ্ধি পায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা। সহজে ওজনও কমে যায়।
আরও পড়ুন- এই ১০টি জিনিস ছাড়ুন, ৩ মাসে ২০ কেজি ওজন কমবে সহজেই!
গরম জল পান করার ৬টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
১. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
গরম জল পান করলে শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়ে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তনালির চারপাশে জমে থাকা চর্বি দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা ব্লকেজের ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন- গ্লিসারিন দিয়ে বানানো এই শ্যাম্পু এবং স্প্রে, চুল পড়া, খুশকি আর রুক্ষতা দূর করতে জাদুর মতো কাজ করে
২. হজম শক্তি বাড়ায়
খালি পেটে গরম জল পান করলে পেট পরিষ্কার হয়। এটি অন্ত্রের গতি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স, গ্যাস ও অম্বল দূর করে।
আরও পড়ুন- পেটের চর্বি ক্রনিক রোগের গোপন কারণ, মহিলাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক! সাবধানবাণী চিকিৎসকদের
৩. ডিটক্সিফিকেশনে সহায়ক
গরম জল শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, যার ফলে ঘাম তৈরি হয় এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে ত্বকও পরিষ্কার থাকে। চাইলে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ডিটক্স প্রভাব আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন- রাখুন এই ৫ জিনিস, অর্থ ও সৌভাগ্য ঘরে আসবে ঠিক চুম্বকের মত
৪. কোলেস্টেরল ও লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে
গরম জল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এটি লিভারে ফ্যাট জমার প্রবণতাও কমায়, ফলে গরম জল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সহায়ক।
৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে
গরম জল মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি শরীরে জমে থাকা ফ্যাট গলাতে সহায়তা করে। অনেক ফিটনেস কোচ সকালে লেবু-গরম জল পানের পরামর্শ দেন।
৬. মাসিকের ব্যথা কমায়
মাসিকের সময় অনেক মহিলাই পেট বা কোমরের ব্যথায় কষ্ট পান। এই সময় গরম জল পান করলে পেশি রিল্যাক্স হয় এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
কখন গরম জল পান করবেন?
সতর্কতা: অতিরিক্ত গরম জল নয়
খুব বেশি গরম জল পান করলে তা গলা বা পাকস্থলির সমস্যা তৈরি করতে পারে। জল পানের সময় হালকা গরম, স্পর্শে সহনীয় তাপমাত্রা বেছে নিন।
আপনি প্রতিদিন যে ছোট অভ্যাস গড়ে তুলছেন, তার প্রভাব আপনার শরীরের ভিতরকার সুস্থতার ওপর পড়ে। প্রতিদিন সকালে ১-২ গ্লাস গরম জল পানের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হবে এবং আপনি নিজেই বুঝবেন পার্থক্য। শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য তাই গরম জল হতে পারে আপনার রোগের আয়ুর্বেদিক ও সহজ সমাধান।