Street Lassi and Juice Shops: বর্তমানে শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক পর্যন্ত, প্রায় সর্বত্র দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট লস্যি ও জুসের দোকান। বিশেষ করে গরমের দিনে ঠান্ডা পানীয়ের তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন এই দোকানগুলিতে। কিন্তু একটু ভেবে দেখেছেন কি, এই লোভনীয় পানীয়গুলোর স্বাদ নিতে গিয়ে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনছেন আপনিই?
সচেতনতা বাড়াতে জানুন
১. অপরিষ্কার জল ও বরফের ব্যবহার
বেশিরভাগ ছোট দোকানে যে জল বা বরফ ব্যবহার করা হয়, তা বিশুদ্ধ নাও হতে পারে। অপরিষ্কার জল বা বরফের মাধ্যমে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, ডায়েরিয়ার মত ভয়ংকর রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২. ফলের গুণমান ও সংরক্ষণ সমস্যা
জুস বানানোর জন্য ব্যবহৃত ফল অনেক সময়ই বাসি বা নষ্ট হয়ে যায়। আবার সেগুলি ঠিকভাবে সংরক্ষিত না হলে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন- অন্তত ১ মাস প্রতিদিন সকালে খান ডালিমের সরবত! ভাবতেই পাচ্ছেন না কী হবে
৩. অতিরিক্ত চিনি ও কেমিক্যাল মেশানো
অনেক দোকানদার স্বাদ বাড়াতে অতিরিক্ত চিনি বা কখনও কখনও কৃত্রিম ফ্লেভার ও রঙ ব্যবহার করেন। এগুলি ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন- সকালে উঠেই খাচ্ছেন চায়ের সঙ্গে বিস্কুট? একবার অন্তত জেনে নিন, এতে আপনার শরীরের ভিতরে কী হচ্ছে
৪. অপরিষ্কার পরিবেশ ও হাতের সংস্পর্শ
এই দোকানগুলির পরিবেশ অনেক সময় নোংরা থাকে। বিক্রেতারা হাতও হয়তো ঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না। এর ফলে সহজেই খাবারে জীবাণু মিশে যেতে পারে, যা শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটায়।
আরও পড়ুন- সহজে ভাঙতে চায় না ঘুম! জেনে নিন, সকালে জলদি ওঠার সহজ ৫ কার্যকরী টিপস
৫. স্বাস্থ্যকর বিকল্প কী হতে পারে?
- বাইরে থেকে জুস বা লস্যি খাওয়ার আগে দোকানটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যাচাই করুন।
- বরং বাড়িতে নিজে হাতে বিশুদ্ধ জল ও ভালো ফল ব্যবহার করে লস্যি বা জুস তৈরি করুন।
- প্রয়োজন হলে বোতলজাত বা নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের পানীয় বেছে নিন।
- অল্প সময়ের জন্য ঠান্ডা পানীয়ের লোভে দীর্ঘমেয়াদি রোগের শিকার না হওয়ার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন- শরীরের কোন অংশে তিল থাকলে, সেটা কীসের ইঙ্গিত দেয়? জেনে নিন, জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে
গরমে ঠান্ডা পানীয়ের প্রয়োজন অবশ্যই আছে, তবে সেটা যেন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে না আনে, সেদিকে সতর্ক থাকা জরুরি। মনে রাখুন, 'সতর্কতা ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব নয়।'