Maha Sasthi 2025: ষষ্ঠীতে দুর্গাপূজার বোধন! নবরাত্রি তো শুরুই হয়ে গিয়েছে, বোধনের দরকার কী?

Maha Sasthi 2025: আজ মহাষষ্ঠী। আজকের দিনে হয় দেবীর বোধন। বোধনের পর থেকেই কার্যত শুরু হয়ে যায় বাঙালির দুর্গাপুজো। কিন্তু, এর কি আদৌ কোনও শাস্ত্রীয় গুরুত্ব আছে?

Maha Sasthi 2025: আজ মহাষষ্ঠী। আজকের দিনে হয় দেবীর বোধন। বোধনের পর থেকেই কার্যত শুরু হয়ে যায় বাঙালির দুর্গাপুজো। কিন্তু, এর কি আদৌ কোনও শাস্ত্রীয় গুরুত্ব আছে?

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Bodhon

Maha Sasthi 2025: মহাষষ্ঠী ২০২৫।

Maha Sasthi 2025: শারদীয়া দুর্গাপূজার সূচনা হয় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। ষষ্ঠীর দিনে দেবীর বোধন সম্পন্ন হয়। শাস্ত্রমতে, দক্ষিণায়ণের সময়ে দেবতারা নিদ্রিত থাকেন। শরৎকাল যেহেতু দক্ষিণায়ণের অন্তর্গত, তাই এই সময়ে দেবী দুর্গাকে পূজা করার আগে তাঁকে জাগ্রত করতে হয়। এই জাগরণের নামই বোধন। আবার, শরৎকালে দুর্গাপূজো মূলত 'অকালবোধন' নামেও পরিচিত, কারণ এটি দেবীর পূজার প্রকৃত ঋতু নয়।

Advertisment

ষষ্ঠীতে আরাধনা করা হয় দেবী কাত্যায়নীর

ষষ্ঠীর দিনে দেবী দুর্গার কাত্যায়নী রূপের আরাধনা করা হয়। পুরাণ মতে, মহর্ষি কাত্যায়নের কঠোর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তাঁর ঘরে কন্যারূপে জন্ম নেন। এজন্যই তাঁর নাম কাত্যায়নী। শাস্ত্রবর্ণনায় দেবী কাত্যায়নীকে চতুর্ভুজা, আবার মতান্তরে দশভুজা বা অষ্টাদশভুজা রূপেও বর্ণনা করা হয়েছে। দেবীর ডান হাতের দুটি ভঙ্গি বরদান ও অভয়মুদ্রা। বাঁ হাতে রয়েছে পদ্ম এবং খড়্গ। সিংহবাহিনীর গায়ের রং স্বর্ণবর্ণা। তিনি 'দানবঘাতিনী' নামে খ্যাত, মহিষাসুর বধের কাহিনির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িত।

আরও পড়ুন- কেন এদিনের ষষ্ঠীকে দুর্গাষষ্ঠী বলা হয়? এর পিছনে রয়েছে এই কাহিনি!

Advertisment

বৃন্দাবনের গোপিনীরা কার্তিক মাসব্যাপী দেবী কাত্যায়নীর পূজা করেছিলেন। ভোরে উঠে যমুনায় স্নান করে তাঁরা দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করে ফুল, ধূপ, প্রদীপ ও তণ্ডুল অর্পণ করতেন। তাঁদের প্রার্থনা মন্ত্র ছিল— 'কাত্যায়নী মহামায়ে মহাযোগিন্যধীশ্বরি। নন্দগোপসুতং দেবি পতিমে কুরু তে নমঃ।।' এই পূজার ফলেই গোপিনীদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। 

আরও পড়ুন- একাই সামলেছেন জমিদারি-ব্যবসা, দক্ষিণেশ্বর মন্দির অমর করেছে রাসমণিকে

তন্ত্রশাস্ত্র মতে, দেবী কাত্যায়নী আজ্ঞাচক্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। দুই ভ্রুর মাঝখানে এই চক্র অবস্থিত। সাধনায় এই চক্র জাগ্রত হলে সাধক দিব্যদৃষ্টি, ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা ও মানসিক দৃঢ়তা লাভ করেন। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বিল্বশাখায় দেবীর বোধন সম্পন্ন হয়। তারপর অধিবাস ও আমন্ত্রণের মাধ্যমে পূজার মূল আচার শুরু হয়।

আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন, একসঙ্গে উপভোগ করুন পাহাড় থেকে সমুদ্র!

Vizag Travel Guide: সমুদ্র আর পাহাড়ের অনন্য মিশ্রণে ভাইজ্যাগ ভ্রমণ আজ বাঙালির কাছে অন্যতম আকর্ষণ। পরিবহণ, হোটেল, খরচ— সবকিছুই জেনে নি

বোধন মানে জাগরণ। দেবীকে মন্ত্রোচ্চারণে আহ্বান জানানো হয়। রামায়ণ অনুযায়ী, রাবণ বধের জন্য রামচন্দ্র শরৎকালে দেবীর পূজা করেন। সেটিই অকালবোধন নামে পরিচিত। পুরাণ, চণ্ডী ও দেবীভাগবতে বোধনের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই বোধন থেকেই দুর্গাপূজার সূচনা।

আরও পড়ুন- মেষ থেকে মীন, এই টিপসে রবিবার পান সাফল্য

মহাষষ্ঠীর বোধন কেবল একটি আচার নয়, এটি দেবী দুর্গার জাগরণের প্রতীক। আজকের দিনে দেবী কাত্যায়নীর পূজায় ভক্তরা দানব-অসুর থেকে মুক্তি, মনোবাঞ্ছা পূরণ ও আধ্যাত্মিক উন্নতির কামনা করেন। মহাষষ্ঠীতে (Maha Sasthi 2025) তাই প্রত্যেক অবিবাহিত কন্যা দেবীর কাছে বিবাহের জন্য প্রার্থনা করেন।

2025 Maha Sasthi