Mango leaves face pack: ত্বক নিয়ে আমরা সবাই সচেতন। বাজারে নানারকম প্রসাধনী থাকলেও, প্রাকৃতিক উপাদানের কদর সবসময়ই বেশি। বিশেষ করে এমন উপাদান যা ত্বকের গভীরে কাজ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়, তা সবসময় সবার প্রথম পছন্দ। আম পাতার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও সি। যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। এই কারণে, আম পাতাকে ফেসপ্যাকে ব্যবহার করা গেলে তা ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল, টানটান এবং তরুণের মত উজ্জ্বল।
কেন কোলাজেন গুরুত্বপূর্ণ?
কোলাজেন এমন এক প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ কমে গেলে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা এবং ঢিলাভাব। প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে হলে চাই ভিটামিন সি। যা আম পাতায় প্রচুর পরিমাণে আছে।
আরও পড়ুন- আজকেই আটায় মেশান এই ৫ জিনিস, দ্বিগুণ হবে স্বাদ, রুটি উঠবে দোকানের মত ফুলে
কীভাবে তৈরি করবেন আম পাতার ফেসপ্যাক?
আম পাতা এবং দইয়ের ফেসপ্যাক। আম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে এবং বেটে নিন। এবার এতে লাগান দই। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা আসবে। স্কিন টোন হবে। এর সঙ্গে মধুও মেশাতে পারেন। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে। স্কিন মসৃণ হবে।
আরও পড়ুন- আপনার কিডনিতে পাথর আছে? ঘরোয়া এই ৫ পানীয়েই মিলবে আরাম, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আম পাতার টোনার
৪-৫টি আম পাতা জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করুন এবং স্প্রে করা যায়, এমন বোতলে ভরে রাখুন। সকাল এবং সন্ধ্যায় তুলো দিয়ে মুখে লাগান। এতে ত্বক সতেজ থাকবে। রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
আরও পড়ুন- চুল গজাবে ঠিক জঙ্গলের মত! মাথায় তেলের সঙ্গে এই ভেষজটি মেশালেই দেখবেন ম্যাজিক, দাবি ডা. কার্তিকেয়নের
আম পাতার পেস্ট ফেসপ্যাক
শুধু আম পাতার গুঁড়ো বা পেস্ট করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এর উপকারিতা হল, ত্বকের দাগছোপ হালকা করে এবং মুখে ফ্রেশভাব আনতে সাহায্য করে। প্যাক ব্যবহারের নিয়ম হল, সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। মুখ পরিষ্কার করে ফেসপ্যাক লাগান। ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগান।
আরও পড়ুন- মাত্র ২০ টাকায় বাথরুমের দাগ আর দুর্গন্ধ দূর করুন! এই ঘরোয়া কায়দা একবার ট্রাই করলেই যথেষ্ট
একথা সত্যি যে, ত্বকের যত্নে আম পাতার ব্যবহার এককথায় অসাধারণ। এটি ত্বককে শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবেই নয়, ভিতর থেকেও সুন্দর করে তোলে। একবার ব্যবহারেই ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। তাই আজ থেকেই শুরু করুন এই প্রাকৃতিক যত্ন।