Health Style Sugar: আজকের ব্যস্ত জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করার প্রবণতা বেড়েছে। খাওয়ার সময়ও মোবাইল স্ক্রল করা, ভিডিও দেখা কিংবা চ্যাট করা এখন অনেকের অভ্যাস। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ছোট অভ্যাসটিই আপনার হজমশক্তির ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে?
স্মার্টফোন ও খাওয়ায় মনোযোগের সম্পর্ক
মুম্বই-এর পারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (ইন্টারনাল মেডিসিন) ডা. মঞ্জুষা আগরওয়াল বলেন, 'খাওয়ার সময় ফোন ব্যবহারে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়, যা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে।' এর ফলে একজন ব্যক্তি নিজের চাহিদার চেয়ে বেশি খাবার খেয়ে নেন। অর্থাৎ তিনি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা ওজন বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন- অবিবাহিত দম্পতিরা কেন পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না? শুনলে চমকে যাবেন!
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কী?
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এমন একটি অবস্থা, যেখানে শরীরের কোষগুলো ইনসুলিন হরমোনের ক্ষমতা নষ্ট করে। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজ জমে যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুন- দাঁত ব্যথার পিছনে কি সাইলেন্ট অ্যাসিড রিফ্লাক্স? বড় আশঙ্কা চিকিৎসকদের
মোবাইল ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকি
খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহারের ফলে একজন ব্যক্তি হঠাৎ করেই বেশি ক্যালোরিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত বা প্রসেসড খাবার খেতে শুরু করেন। এর সঙ্গে দ্রুত খাওয়া, অযত্নে খাওয়া এবং শরীরের ক্ষুধা-তৃপ্তি সংকেতকে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা তৈরি হয়। সবকিছু মিলিয়ে, সময়ের সঙ্গে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন- একমুঠো লবঙ্গেই চুল হবে কালো, রাসায়নিক রঙের প্রয়োজনই পড়বে না!
সচেতনভাবে খাওয়ার উপকারিতা
ডায়েটিশিয়ান কণিকা মালহোত্রা বলেন, 'মনোযোগ দিয়ে খাওয়ার অর্থ হল- খাবারের স্বাদ, গন্ধ এবং পরিমাণের ওপর খেয়াল রাখা। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয় এবং হজমশক্তি বাড়ে।'
আরও পড়ুন- গাজরের টুকরোতেই তৈরি করুন স্কিন টোনার, ত্বক হবে উজ্জ্বল!
সচেতন খাওয়ার কিছু কার্যকরী টিপস
-
খাওয়ার সময় মোবাইল, টিভি ও অন্যান্য স্ক্রিন বন্ধ রাখুন
-
খাওয়ার আগে খিদে পাচ্ছে কি না, তা বুঝে নিন
-
খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান
-
পেট ভরে গেলে খাওয়া বন্ধ করুন
যদিও খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহারের সঙ্গে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সরাসরি কোনও সম্পর্ক এখনও গবেষণায় পাওয়া যায়নি, তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন— খাবারের সময় মোবাইল স্ক্রিন থেকে দূরে থাকাই ভালো। এটি শুধু খাবারের প্রতি আপনার মনোযোগ বাড়াবে না, বরং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টির সঠিক শোষণে সাহায্যও করবে।