Coconut Ladoo: রাখী বন্ধন শুধুমাত্র একটি রাখী বেঁধে দেওয়ার উৎসব নয়, এটি ভাই-বোনের ভালোবাসার এক অমূল্য প্রতীক। এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের কপালে টিকা দিয়ে তাঁকে মিষ্টিমুখ করানো যেন রীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই মিষ্টিমুখ যদি হয় নিজের হাতে তৈরি নারকেল লাড্ডু দিয়ে, তাহলে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়!
চলুন দেখে নিই কীভাবে সহজ কয়েকটি উপাদানে আপনি নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই মজাদার নারকেল লাড্ডু। কী কী লাগবে? নারকেল গুঁড়ো ৩ বাটি, দেশি ঘি ২ চা চামচ, দুধ দেড় বাটি, চিনি ১ বাটি বা স্বাদ অনুযায়ী।
আরও পড়ুন- চুল পাকা ও পড়া আটকাতে ব্যবহার করুন এই হেয়ার সিরাম, বানান বাড়িতেই!
বানানোর কায়দা
বাজারে সহজেই নারকেলের গুঁড়ো পাওয়া যায়। চাইলে নিজেও শুকনো নারকেল কুরিয়ে নিতে পারেন। তিন বাটি নারকেল গুঁড়ো একপাশে রেখে দিন। একটি প্যান চুলায় বসান, আঁচ কম রাখুন। এতে ২ চা চামচ দেশি ঘি দিন। ঘি গরম হলে নারকেলের গুঁড়ো দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন। এবার দেড় বাটি দুধ প্যানে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে নারকেল দুধ শুষে নেবে। সব সময় চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন, যেন তলায় না লেগে যায়।
আরও পড়ুন- এই প্রোটিন ব্লক করলে বাড়তে পারে আয়ু, জানুন নতুন গবেষণার ফলাফল
নারকেল নরম হয়ে গেলে তাতে একবাটি চিনি দিন। মিষ্টির মাত্রা আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। এবার ফের নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি ভালোভাবে গলে যায়। যখন দেখবেন মিশ্রণটি শুকনো এবং আঠালো হয়ে উঠেছে, তখন গ্যাস বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। হাতে সামান্য ঘি মেখে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। চাইলে এই বলগুলিকে নারকেল গুঁড়োয় মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন- একটুকরো কলকাতা এখন জাপানের ফুকুওকায়! মাটির থালায় পাবেন করলা ভাজা থেকে পুঁইশাক, সবই
একটি প্লেটে রাখুন লাড্ডুগুলি, পাশে রাখী ও চন্দনের তিলক রাখলে উৎসবের আবহ তৈরি হবে। চাইলে রুপোর পাত্রেও পরিবেশন করতে পারেন। চাইলে মিশ্রণে কিসমিস, কাজু বাদাম বা এলাচ গুড়ো স্বাদ বাড়াতে মেশাতে পারেন। বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন। খাঁটি নারকেল গুঁড়ো ব্যবহারে স্বাদ আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন- বিড়াল ভালোবাসেন? আঁচড়ে কী হতে পারে জানেন, শুনলে শিউড়ে উঠবেন
এই রেসিপিটি শুধু রাখীই নয়, যে কোনও উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্যও দারুণ উপযোগী। চটজলদি তৈরি, স্বাস্থ্যকর উপাদান এবং ঘরোয়া স্বাদ—সব মিলিয়ে নারকেলের লাড্ডু সব সময় একটি সেরা মিষ্টি। আর ভাইয়ের মুখে নিজের হাতে বানানো মিষ্টির স্বাদ তুলে দিতে পারা—এর চেয়ে বড় উপহার আর কী-ই বা হতে পারে!