/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/14/sania-mirza-2025-09-14-22-11-39.jpg)
Sania Mirza: সানিয়া মির্জা।
Sania Mirza on Failure: সফলতা আমাদের সবারই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু সেই সফলতার পথে সবচেয়ে বড় শিক্ষক হল ব্যর্থতা। ভারতের টেনিস আইকন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের রসায়ন।
সানিয়ার সাফল্যের সূত্র
এই ব্যাপারে সানিয়া বলেছেন, 'Before you start winning, you lose a lot!' তাঁর মতে, শুধুমাত্র ফলাফলের দিকে তাকালে চলবে না, বরং প্রতিদিনের চেষ্টা এবং চলার ওপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। তাঁর মতে, এই ভাবনা শুধু খেলাধূলাতেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে ব্যর্থতা মেনে নেওয়া সহজ নয়। বিশেষত যখন সবার চোখ আপনার দিকে থাকবে, তখন হারের মানসিক চাপ অনেক বেশি হতে পারে। তবে, সেটা সহ্য করতে হবে।
আরও পড়ুন- তিনি নাকি প্রেমে পজেসিভ? অভিনেত্রী তারা সুতারিয়ার জবাব অনেককেই চিন্তায় ফেলবে!
মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বারবার ব্যর্থতা একজন মানুষের আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে দেয়। ক্রমাগত হারের কারণে মানসিক চাপ বাড়ে, ঘুমের সমস্যা, একাগ্রতা হ্রাস এবং ইমিউন সিস্টেমেও তার প্রভাব পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে হতাশা, উদ্বেগ এমনকী বার্নআউট সিনড্রোম (burnout syndrome)-এর ঝুঁকিও তৈরি হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি ব্যর্থতাকে শেষ নয় বরং শেখার ধাপ হিসেবে দেখা যায়, তাহলে সেটাই সফলতার সোপান তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন- 'এটা বাড়ি না মিউজিয়াম!' শিল্পা শেট্টির বাড়িতে ঢুকে বিস্ময়ে হতবাক ফারহা
সানিয়া মির্জা মনে করেন, খেলায় বা জীবনে চাপকে সবসময় নেতিবাচকভাবে দেখা ঠিক নয়। তিনি বলেন, 'It is not the result that matters, it is actually what you are working on.' আর, এই কারণেই চলার পথের ওপর ভরসা রাখলে আগামিকাল আরও ভালো হবে বলেই সানিয়ার বিশ্বাস। তিনি জানান, প্রতিটি হারের মধ্যেই শেখার সুযোগ লুকিয়ে থাকে। এই মানসিকতা আসলে একজন ক্রীড়াবিদকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে এবং সাধারণ মানুষকেও একইভাবে অনুপ্রাণিত করে।
আরও পড়ুন- এবার দেবী দুর্গার কীসে আগমন, কীসেই বা গমন, জানুন বাহনের শুভাশুভ তাৎপর্য
মনোবিজ্ঞানী নেহা কাদবাম জানান, ব্যর্থতাকে সামলাতে কিছু কৌশল কাজে দিতে পারে। সেগুলো হল- নিজের নেতিবাচক চিন্তা লিখে রাখলে বোঝা যায় কোন পরিস্থিতি আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করছে। নিজেকে দোষারোপ না করে, নিজের প্রতি সদয় হওয়া বা নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ানো জরুরি। 'আমি পারব, আমি যথেষ্ট ভালো'– এই ধরনের বাক্য প্রতিদিন বললে মানসিক শক্তি বাড়ে। পরিপূর্ণতার চাপ না নিয়ে ধাপে ধাপে লক্ষ্য ঠিক করুন। হারের পর হাল ছেড়ে না দিয়ে শান্তভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করুন।
আরও পড়ুন- পাশ করা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, বেশি পরিচিতি পেলেন 'অনুকূল ঠাকুর' নামে
সফল মানুষদের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাঁরা জীবনে একাধিকবার ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের আলাদা করেছে ব্যর্থতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। হারের অভিজ্ঞতা তাঁদের আরও প্রস্তুত করেছে। ব্যর্থতা তাঁদের নমনীয় করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এই মানসিক শক্তিই সফলতার চাবিকাঠি হয়েছে। সানিয়া মির্জা যেমন বলেন, ফলাফল নয়, যাত্রার ওপর ভরসা রাখাটাই আসল। ব্যর্থতা সাময়িকভাবে কষ্ট দিলেও তা সফলতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের উচিত ব্যর্থতাকে ভয় না করে শেখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us