Shani Rahu Ketu: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি, রাহু ও কেতু গ্রহের অশুভ প্রভাব বেশিরভাগ সময়ই আমাদের জীবনে দুর্ভাগ্য, বাধা, ব্যর্থতা এবং মানসিক চাপ ডেকে আনে। বহু মানুষ দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও সফলতা পান না, অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন বা সম্পর্কের টানাপোড়েনে ভোগেন। এই সব কিছুর পিছনে এই গ্রহগুলির অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীরা। এইসব অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বহু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। তবে একটি অত্যন্ত সহজ এবং কার্যকর প্রতিকার হল— ঘরের বাইরে নিম গাছ লাগানো।
নিম গাছ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নিম গাছকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য করা হয়। একে 'নীমারি দেবী'-র প্রতীক বলেও ধরা হয়। নিম গাছ শুধুমাত্র ঔষধি গুণেই সমৃদ্ধ নয়, বরং জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনি, রাহু ও কেতু গ্রহের অশুভ শক্তি দূর করার এক শক্তিশালী প্রতীকও। নিম গাছের উপস্থিতি ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে, ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত করে এবং পরিবারের ওপর রক্ষাকবচের মত কাজ করে।
আরও পড়ুন- রাস্তায় এই ৫টি জিনিস দেখলেই বুঝবেন, আপনি লটারি জিততে চলেছেন
নিম গাছ লাগানোর সঠিক দিক কী?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দক্ষিণ দিক হলো নিম গাছ লাগানোর শ্রেষ্ঠ স্থান। দক্ষিণ দিক শনি এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে যুক্ত এবং এই দিক শক্তিশালী রাখলে জীবনে স্থিতিশীলতা ও উন্নতি আসে। এই দিকে নিম গাছ লাগানো হলে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ বন্ধ হয় এবং বহু সময় আটকে থাকা কাজও ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- ভুবনেশ্বর AIIMS-এ কবে, কখন বসেন কোন চিকিৎসক? কীভাবেই বা এখানে ডাক্তার দেখাবেন?
নিম গাছ সংক্রান্ত জ্যোতিষ টিপস ও প্রতিকার:
- নিয়মিত সকালে নিম গাছে জল অর্পণ করুন। এতে হনুমানের কৃপা পাওয়া যায় এবং শনি দোষ শান্ত হয়।
- নিম কাঠ দিয়ে ঘরে হবন করলে বাস্তু দোষ দূর হয়।
- নিম পাতা শুকিয়ে পোড়ালে ঘর থেকে অশুভ দৃষ্টি ও নেতিবাচক শক্তি সরে যায়।
আরও পড়ুন- হাঁটা নাকি দৌড়ানো, প্রেসার-সুগার গায়েব কীসে? আপনি জানেন তো?
- যাদের রাশিতে শনি সপ্তম বা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করছে, তাঁরা নিমের মালা ব্যবহার করতে পারেন।
- নিম গাছের ছায়ায় বসে ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে এবং আধ্যাত্মিক স্থিতি অর্জন হয়।
আরও পড়ুন- ঘি-নারকেল তেল-মাখন খাচ্ছেন? হতে পারে লিভার ড্যামেজ! দেখুন, কী বলছেন চিকিৎসক
জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস রাখুন ছাই না রাখুন, প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং গাছপালার গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। নিম গাছ শুধু ধর্মীয় বা জ্যোতিষগত দিক থেকেই নয়, পরিবেশগত দিক থেকেও একটি অমূল্য সম্পদ। সুতরাং, শনি বা রাহু-কেতুর যন্ত্রণা কমাতে চাইলে আজই ঘরের দক্ষিণ দিকে একটি নিম গাছ লাগান, এবং দেখুন কীভাবে বদলে যায় আপনার জীবনের ছন্দ।