Dog Sleep in Bed: অনেকেই তাদের কুকুরকে শুধুমাত্র পোষা প্রাণী মনে করেন না, বরং পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখেন। এমনকী সেই ভালোবাসার টানে নিজের বিছানাতেও কুকুরকে নিয়ে শোন। কিন্তু প্রশ্ন হল— এটা কি স্বাস্থ্যকর? না কি কুকুরের সাথে বিছানা ভাগ করায় সমস্যা হতে পারে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কথা বলেছে মার্স পেটকেয়ার ইন্ডিয়ার পশুচিকিৎসক ডা. উমেশ কাল্লাহাল্লির সঙ্গে।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে কী হয়? জানলে এখনই খাওয়া শুরু করবেন!
সতর্ক থাকা জরুরি
ডঃ কাল্লাহাল্লি বলেন, 'কুকুরকে বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে এটি আপনার কুকুরের স্বাস্থ্য, আচরণ এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যবিধির ওপর নির্ভর করছে।' অর্থাৎ, এটা সবার জন্য এক নিয়ম হতে পারে না।
আরও পড়ুন- মেকআপ রিমুভার কিনে খালি করবেন না পকেট! ঘরে বানানোর সহজ টিপস দেখে নিন
ইতিবাচক দিক
যেসব কুকুর ভালো আচরণ করে, মানসিকভাবে স্থিতিশীল, এবং পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিশে গেছে, তাদের সঙ্গে বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক শান্তি এনে দিতে পারে।
-
কুকুরের উপস্থিতি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
-
কুকুরের শ্বাস-প্রশ্বাস বা শরীরের উষ্ণতা ঘুম আনতে সহায়ক হতে পারে
-
একসঙ্গে ঘুমানো সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে
Mars Global Pet Parent Survey অনুযায়ী, ভারতীয় পোষা প্রাণীর বাবা-মায়ের প্রায় অর্ধেক এই ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করেন এবং এটি তাদের মানসিক সন্তুষ্টি বাড়ায়।
আরও পড়ুন- দিনে ক’বার গ্রিন টি পান করলে দ্রুত ঝরবে মেদ, পুষ্টিবিদ কী বলছেন জেনে নিন
কখন বিছানায় তোলা উচিত নয়?
সব কুকুর এই ঘনিষ্ঠতার জন্য উপযুক্ত নয়। নীচের পরিস্থিতিগুলিতে কুকুরকে বিছানায় না তোলাই ভালো—
-
আচরণগত সমস্যা যেমন: কুকুরের মধ্যে সম্পত্তি রক্ষা, আগ্রাসন, বিছানা দখলের প্রবণতা থাকলে বিছানায় তোলা উচিত না।
-
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটালে বিছানায় তোলা উচিত নয়
-
জেগে উঠলে ঘেউ ঘেউ করা বা অস্থিরতার অভ্যাস থাকলে তোলা উচিত নয়
-
বিছানা ছাড়তে বললে বিরক্ত বা আক্রমণাত্মক হলেও বিছানায় তোলা উচিত নয়
ডা. কাল্লাহাল্লি বলেন, 'যদি আপনার কুকুর বিছানায় থাকার কারণে আপনার ঘুমের সমস্যা হয় বা আপনি সরাতে গেলে তেড়ে আসে, তাহলে তাদের জন্য আলাদা বিছানা রাখাই ভালো।'
আরও পড়ুন- এক চা চামচ তেলের সঙ্গে এই দুই জিনিস মেশালেই মশা উধাও, রইল ঘরোয়া টোটকা
স্বাস্থ্যবিধি এবং অ্যালার্জির দিক
-
যদি পরিবারের কারও অ্যালার্জি থাকে, বিশেষ করে ত্বক বা শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা, তাহলে বিছানায় কুকুর থাকা সমস্যার কারণ হতে পারে।
-
কুকুরের লোম, পোকামাকড় বা মাটি বিছানায় চলে আসতে পারে, যা অস্বাস্থ্যকর।
আদর্শ ঘুমের ব্যবস্থা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—আপনার কুকুরের জন্য একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়ক ঘুমের জায়গা নিশ্চিত করা। সেটা আপনার বিছানাই হোক বা আলাদা খাট। ডা. কাল্লাহাল্লি বলেন, 'প্রতিটি পরিবার আলাদা, প্রতিটি কুকুরও আলাদা। লক্ষ্য রাখা উচিত— যা করছে, তা কি আপনার এবং আপনার কুকুর, উভয়ের জন্যই মানসিক ও শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যকর?'
তাই, আপনার কুকুরকে বিছানায় আপনার পাশে নিয়ে ঘুমানোর সময় এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখুন:
-
সে কি ভালো আচরণ করছে?
-
আপনার ঘুমে কি ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে?
-
কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে কি?
-
আপনি আর আপনার কুকুর—দুজনেরই কি এতে আরাম হচ্ছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর 'হ্যাঁ' হলে, তাহলে কুকুরকে নিশ্চিন্তে বিছানায় আপনার পাশে জায়গা করে দিন। তবে যদি সমস্যা থাকে, তাহলে আলাদা বিছানা দিন। কুকুরের প্রতি আপনার ভালোবাসা তাতে কমবে না।